আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমার বিয়ের ছয় বছর চলছে।দুই সন্তানের জননী আলহামদুলিল্লাহ।আমার আর আমার হাসবেন্ডের মধ্যে তেমন কোন বড় ইস্যু নেই।আমরা দুইজনই দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করি।আমার জ্বীন যাদুর সমস্যা ছিল তারপরও আমাদের হাসবেন্ড ওয়াইফের সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল।আমার হাসবেন্ড ও আমাকে খুব ভালোবাসেন।রুকইয়াহ করেছি বেশ অনেকবার কিন্তু জ্বীন যেতো  চায়না।এর ইফেক্ট আমার সালাতে ও পড়েছিল।আমি ফজরের সালাতে অনিয়মিত ছিলাম।আমার হাসবেন্ডও ফজরে নিয়মিত হতে পারছিলেন না।যদিও ঘুম থেকে উঠেই উনি প্রথমে কাযা আদায় করে নেন।একদিন কোন কারণ ছাড়াই আমি এমনি কথা বলছিলাম উনি হঠাৎ বলে ফেলেন (আল্লাহ কসম করে বলছি আজকের পর থেকে ফজর কাযা করলে তোমাকে তালাক দিয়ে দিব)যদিও উনি তালাকের নিয়তে বলেননি।

দুইদিন আগের ঘটনা আমার হাসবেন্ড আমার স্ক্রিনটাইম এপ দিয়ে কন্ট্রোল করেন।আমিও কখনো এটা নিয়ে কিছু বলিনি।প্রয়োজন হলে আবার খুলে দেন বা বাড়িয়ে দেন সময়।আমার মেয়ের স্পিস ডিলে আছে।বার বার পড়াতে পড়াতে গলা ব্যাথা হয়ে যাচ্ছিল।তাই আমি উনাকে বললাম সময় বাড়িয়ে দিতে আমি রেকর্ড করে মেয়েকে শুনতে দিব।ডাউনটাইম খুললে দেখি আমার ছোট বোন কল দেয়।আমি কল বেক করে ছেলে মেয়েকে কথা বলতে দেই।এরপর আমার হাসবেন্ড বলেন তোমাকে কি আমি কথা বলার জন্য খুলে দিয়েছি আল্লাহ কসম আজকের পর যদি আমি তোমার উপর চিল্লাচিল্লি করি তুই করে বলে আমাদের তালাক হয়ে যাবে।এরপর আবার বলেন আল্লাহ কসম তোমার সাথে আমি আর চিল্লাচিল্লি করব না তুই করে বলব না।(সেদিন দুপুরের দিকে উনার সাথে কথা কাটাকাটি হয়,বলেছিলাম বিয়ের পর থেকে উনি চিল্লাচিল্লি করলে আমি চুপ করে কান্না করতাম।কিন্ত ইদানিং উনি একটু বেশি করছিল সবার সাথেই উনার এমপ্লয়ি থেকে শুরু করে সবার সাথে।আমি অনেকবার বুঝিয়ে বলেছি আমার কিছু পছন্দ না হলে আমাকে বুঝিয়ে বললে হবে আর আমি হঠাৎ রিয়েক্ট নিতে পারিনা।আর তুই করে বলা বা গালি দেওয়া আমার অপছন্দ) তাই উনি দ্বীতীয়বার এই কসম করেন)

এখন আমার হাসবেন্ড ববদমেজাজি,প্লাস উনার অলমোস্ট মোটা এমাউন্টের লোন,কাজের প্রেশার,অনলাইন বিজনেস হওয়াতে প্রায়ই অলমোস্ট মোবাইল ইউজ করেন,বাথরুমে ও।আর উনি হতাশাগ্রস্ত নিজের রুটিন সেট করতে পারছেন না।আর আমল করতে পারছেন না তাই।উনি এই কথা বলার কারণ।

 এখন আমার সাথে চিল্লাচিল্লি করেন বা তুই করে বলেন তাহলে কি আমাদের তালাক হয়ে যাবে। আর আমরা কি কি সর্তকতা অবলম্বন করতে পারি জানাবেন প্লিজ।আমি কোনকিছুতেই মনোযোগ দিতে পারছিনা।আমার মনে ভয় ঢুকে গিয়েছি তালাক হয়ে গেল আমি যদি বুঝতে না পারি।যদি একটু আর্লি জানাতে পারেন আমার জন্য ইহসান হবে।

জাযাকাল্লাহু খইরন ফিদ দুন্নিয়া ওয়া আখিরহ।

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার স্বামীর বক্তব্য,
(আল্লাহ কসম করে বলছি আজকের পর থেকে ফজর কাযা করলে তোমাকে তালাক দিয়ে দিব)যদিও উনি তালাকের নিয়তে বলেননি)

একথা দ্বারা ভবিষ্যতে ফজর কাযা করলেও তালাক হবে না। কেননা এখানে তালাকের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। তালাক পতিত হয়ে যাবে, এমনটা বলা হচ্ছে না। তবে তালাক দেওয়ার জন্য কসম করার কারণে যদি কসম কে ভঙ্গ করে তালাক দেয়া না হয়, তাহলে কাফফারা দিতে হবে।

আপনার স্বামীর পরবর্তী বক্তব্য,
(আল্লাহ কসম আজকের পর যদি আমি তোমার উপর চিল্লাচিল্লি করি,তুই করে বলি, আমাদের তালাক হয়ে যাবে)

এই কথা দ্বারা ভবিষ্যতে চিল্লাচিল্লি করলে,তুই করে বললে তালাক হয়ে যাবে। এই তালাক কখনো ফিরবে না।কেননা এটা শর্তযুক্ত তালাক , তাই শর্ত পাওয়ার সাথে সাথেই এক তালাক পাতিত হয়ে যাবে। তিন তালাকের নিয়ত স্বামীর থাকলে তিন তালাকই পতিত হবে।

আপনার স্বামীর শেষ বক্তব্য,
(আল্লাহ কসম তোমার সাথে আমি আর চিল্লাচিল্লি করব না তুই করে বলব না।)

এখানে আরেকটি কসম করা হচ্ছে, সুতরাং ভবিষ্যতে যদি কখনো চিল্লাচিল্লি করা হয় বা তুই করে বলা হয় , তাহলে কাফফারা আসবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।উস্তাদ উনি কসম করেছেন এটার জন্য কি কাফফারা দিতে হবে?
by (632,880 points)
জ্বী, উনাকে কসমের কাফফারা  দিতে হবে। 
by (632,880 points)
জ্বী, উনাকে কসমের কাফফারা  দিতে হবে। ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...