আসসালামু আলাইকুম
১। (আমার আব্বার) কোনো কথা বা আচরনে আমি কষ্ট পাওয়ার ফলে আমার মনে আসতেছিলো আর টাকা চাইবো না আবার এটাও আসছিলো যে শুধু শুধু বলে কি হবে টাকা তো চাওয়ায় লাগবে মনে মনেই তখন বলি এগুলো (আর টাকা চাইবো না) বলে মনকে শান্তনা দেয়া, তখন মনে মনেই বললাম আর টাকা চাইবো না এসব বলতেছিলাম আর কান্না করতেছিলাম, কষ্ট লাগতেছিলো । আল্লাহর কথাও স্মরনে ছিলো, আর টাকা চাইবো না আল্লাহ্ এমন কিছুও বলছিলাম আকাশের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে না না বলতে বলতে, কান্না করা অবস্থায় , আমি মনে মনে বলছি এগুলো কিন্তু মুখে কিছু বলেছি কিনা পুরোপুরি সিউর হতে পারি না, যদি বলেও থাকি (আওয়াজ ব্যতীত ফিশফিশ করে) আমি কি এখন টাকা চাইতে পারবো?
২।নিয়ত, কসম, শপথ, ওয়াদা এগুলোর মাঝে পার্থক্য কি, কিভাবে কোনো কিছু বললে সেটা শপথ বা কসম হয়ে যায়, ফিশফিশ করে কিছু বললে কি কসম হবে নাকি কসমের জন্য আওয়াজ করে কিছু বলতে হয়?
৩। কোনো একটা ভুল কাজ করার পর যদি বলি আল্লাহ্ আমি এই কাজটা না করার চেষ্টা করবো বা করবো না , এটা কি শপথ বা কসম হবে?
৪। নামাজ পড়ার সময় চারপাশের শব্দের জন্য যদি আমি নামাজে কি বলছি এগুলো শুনতে না পায় তাহলে কি নামাজ হবে?
৫।কতটুকু সাদাস্রাব নিয়ে নামাজ পরা যাবে? নামাজের সময় সাদাস্রাব গেলে যদি আমি টের না পায়, নামাজ শেষে চেক করলে যদি খুবই সামান্য সাদাস্রাব দেখতে পায়,এর ফলে কি নামাজ পুনরায় পরতে হবে?
৬।লজ্জাস্থানে সরাসরি হাত না দিয়ে যদি আমি হাতে টিস্যু নিয়ে লজ্জাস্হান চেক করি তাতেও কি ওযু নষ্ট হবে?
৭। ওযুর নিয়ত কেমন হওয়া উচিত? ওযু শুরুর আগে কি মনে মনে বলতে হবে 'আমি নামাজের জন্য ওযু করছি'? নাকি আমি যে ওযু করতে গেলাম উদ্দেশ্য তো নামাজ পড়ায় মনে মনে কিছু না বললেও কি হবে?
৮।আমার খাতা একজনের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছিলাম এরপর সে এখনো নেয়নি, কিন্তু আমার এখন খাতা গুলো দরকার, আমি কি এখন ওর কাছে বলতে পারবো যে খাতা গুলো আমার দরকার বিক্রি করবো না? এতে যদি সে রাজি থাকে আমি কি আমার কাজে খাতা ব্যবহার করতে পারবো? তাকে একবার বলছি এত টাকা দিয়া দিস আবার হয়তো বলছিলাম দোকানের দামে দিস ওর মাকে বলছিলাম দোকানের দামে দিয়া দিতে। এখন ওরা যদি খাতা নিতে চাই আমি কোন দামে বিক্রি করবো?