মসজিদ মাদ্রাসার পাশে কবর দেয়ার সময় আশা করা হয় যে, পাশের কবর স্থানে কেহ থাকলে প্রায় নামাজের পরেই ঈসালে ছওয়াব করা হয়,দোয়া করা হয়,এতে আশা করা হয় যে, মৃতব্যক্তি এর ফলে উপকৃত হবে।
,
তবে মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত জমিতে কবর দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ছহীহ বুখারী হা/১৩৫১, ১/১৮০ পৃঃ, (ইফাবা হা/১২৬৯, ২/৪০৮ পৃঃ), ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭৭ ও হা/৪২৮, ১/৬১ পৃঃ, ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৪৮।
,
মসজিদের পার্শ্বে পৃথক জমিতে কবর থাকলে অবশ্যই প্রাচীর দিয়ে মসজিদকে আলাদা করে নিতে হবে। ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩০১ পৃঃ; তালখীছু আহকামিল জানাইয, পৃঃ ৯১।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘সাবধান! তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা তাদের নবীগণ ও নেক ব্যক্তিগণের কবর সমূহকে মসজিদে পরিণত করেছিল। সাবধান! তোমরা কবর সমূহকে মসজিদে পরিণত করো না। আমি তোমাদেরকে এ থেকে কঠোর ভাবে নিষেধ করছি’ (মুসলিম হা/৫৩২; মিশকাত হা/৭১৩)।
মসজিদের ভেতরে কবরের চারপাশে উঁচু দেয়াল দ্বারা যদি বেষ্টন করে দেওয়া হয়, তাহলে ওই মসজিদে নামাজ পড়া বৈধ হবে।
উল্লেখ্য, মৃতকে মসজিদের ভেতর কবর দেওয়া বা কবরের ওপর মসজিদ নির্মাণ করা ইসলামে নিষিদ্ধ। (বুখারি, হাদিস : ১৩৩০, মিশকাত, পৃ : ৭১, হিন্দিয়া : ৩১৯-৩২০, ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ : ৪/৭৩)
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলার গন এটি সম্পূর্ণরুপে নিষেধ করে থাকে।
(০২)
যদি সেই ছওয়াব পৌছিয়ে দেওয়া হয়,তাহলে পাবে।
,
(০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, ‘আমার মিম্বার ও ঘরের মাঝখানের অংশটুকু জান্নাতের বাগিচাসমূহের একটি বাগিচা।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৯৫)
মসজিদে নববীর পাশে আয়েশা (রা.)-এর হুজরায় অবস্থিত নবীজির রওজা শরিফ। তারই পাশে হজরত আবু বকর (রা.) ও উমর (রা.)-এর কবর। এর পাশে আরেকটি কবরের জায়গা খালি আছে, এখানে হজরত ঈসা (আ.)-এর সমাধি হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৬১৭)
রওজা শরিফের পশ্চিম দিকে রাসুল (সা.)-এর মিম্বার পর্যন্ত স্থানটুকুকে ‘রিয়াজুল জান্নাত’ বা বেহেশতের বাগিচা বলা হয়। এটি দুনিয়ায় একমাত্র জান্নাতের অংশ।
মসজিদে নববীর পূর্ব দিকে অবস্থিত ‘জান্নাতুল বাকি’ গোরস্তানে অসংখ্য সাহাবা, তাবেইন, আউলিয়া ও নেককার মুসলমানের কবর রয়েছে। এর মধ্যে হজরত উসমান, আলী, ইবনে মাসউদ, ফাতিমা, আয়েশা, রাসুল (সা.)-এর দুধমা হালিমা, চাচা আব্বাস, রাসুল (সা.)-এর ছেলে ইব্রাহিম, হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহুমসহ অনেকের কবর আছে। রাসুল (সা.) প্রায়ই জান্নাতুল বাকিতে জিয়ারতে যেতেন।
,
প্রিয় নবী (সা.) তাঁর উম্মতকে মদিনায় আবাসস্থল বানাতে এবং এর মধ্যে মৃত্যু কামনা করতেও উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি একনিষ্ঠভাবে আমার কবর জিয়ারত করবে, কিয়ামতের দিন সে আমার পাশে থাকবে। আর যে মদিনায় বসবাস করবে এবং তার বিপদাপদের ওপর ধৈর্য ধারণ করবে, কিয়ামতের দিন আমি তার সাক্ষী ও সুপারিশকারী হব। আর যে ব্যক্তি দুই পবিত্র নগরীর (মক্কা-মদিনা) যেকোনো একটিতে মৃত্যুবরণ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে নিশ্চিন্ত করে ওঠাবেন।’ (শুআবুল ইমান, হাদিস : ৩৮৫৬)
অন্য হাদিসে এসেছে : ‘তোমাদের মধ্যে যার পক্ষে সম্ভব হয়, সে যেন মদিনায় মৃত্যুবরণ করে। কেননা যে ব্যক্তি মদিনায় মৃত্যুবরণ করবে, আমি তার জন্য সুপারিশ করব।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৯১৭)
যদি মাথার দিকে কিছুটা উঁচুতে হয়, কাহারো পা সেই পরিমান সাভাবিক ভাবেই না উঠে তাহলে এটি জায়েজ।
তবে মাথা খালি রাখা দেখতে অসুন্দর দেখা যায় বলে হয়তো মুরুব্বীগণ বলে থাকেন। তাই এটিকে সর্বোচ্চ আদব বলা যেতে পারে।
ولا بأس بالأكل متكئا، أو مشكوف الرأس فى المختار (رد المحتار، كتاب الحظر والإباحة-9\490)