আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।

আমি বর্তমানে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষে, ঔষধবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়ন করছি।

আমার বাবা, মা দুইজন ই শিক্ষক,তারা এমনিতে আমাকে খুব ভালোবাসেন, কিন্তু দ্বীনের ব্যাপার আসলে জুলুম করে ফেলেন ,আমার পরিবারে কারো দ্বীনি বুঝ নাই।তারা মানতে চায়না,তাদেরকে বলেছি আমি এই সহশিক্ষায় পড়তে চাইনা,তারা কিছুতেই মানতে চাচ্ছেন না,বলেছেন তারা আমাকে ঘরে রাখবেন না।আমি যদি চলে আসি তারা কাউকে মুখ দেখাতে পারবেন না।

এর আগেও এরকম চেষ্টা করেছি বোঝানোর, তারা আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।

আমার পরিবারে দ্বীনের বুঝ নেই,আমার বাবা যদিও মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডে পড়েছেন, তিনি আমার পক্ষ নেন না,তিনি বাধ্য করেন পড়তে, আমার বাসায় পর্দা,দ্বীনি ইলম অর্জন কঠিন,ভার্সিটি টিকার আগে আরো কঠিন ছিলো, আমাকে আমার পরিবারের সদস্যরা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেত গায়রে মাহরামের সামনে যেতে না চাইলে।ঈদের দিন পর্দা করতে পারতাম না,তাদের সাথে বোরকা,নিকাব ছাড়া বের হতে বাধ্য করতো।

ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পর বাহ্যিক পর্দা করতে দেওয়া শিথিল হয়েছে।কিন্তু এখনো বাসায় বেশিক্ষণ তিলাওয়াত করলে দ্বীনি বই পড়তে দেখলে অনেক বকা শুনতে হয়।

আমি জানি সহশিক্ষা হারাম,কিন্তু আমি চেয়েও মানতে পারছিনা,ওখানে গিয়ে আমার অন্তরের হালত খারাপ হয়ে যায়,আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাসা থেকে সফরের দূরত্বে তাই সেখানে মেসে থাকতে হয়,আমার ভার্সিটির পরিবেশে গেলে ইবাদতে স্বাদ পাইনা,প্রতিনিয়ত মানসিক যন্ত্রণা বোধ করি যে আমি সহশিক্ষায় আছি,ভাইভা বোর্ডে স্যারদের দিতে তাকাতে হয়,এগুলো আমার আগুনের মতো লাগে,যে আমার প্রতিনিয়ত গুনাহ হচ্ছে।আমি এতো মানসিক চাপে পড়ালেখায় মন দিতে পারিনা।

আমি আল্লাহর বিধান মানতে পারছিনা বলে প্রতিনিয়ত অপরাধবোধে ভুগছি,

উস্তায এই অবস্থায় আমার কি করা উচিত?

উস্তায,আমি কি মাযুর?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1982

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার পরিবারের হেদায়তের জন্য দু'আ করবেন। নিজে সর্বদা ইসলামের বিধান মেনে চলার চেষ্টা করবেন। পরিবারের নিকট হেদায়েতের বাণী সময় সুযোগ বুঝে পৌছানোর চেষ্টা করবেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আরোও বলেন:
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ( ﺍﻟﻨﺤﻞ : ١٢٥ (
আপনি আপনার প্রতিপালকের দিকে আহবান করুন হিকমত বা প্রজ্ঞা দ্বারা এবং সুন্দর ওয়াজ-উপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে উৎকৃষ্টতর পদ্ধতিতে আলোচনা-বিতর্ক করুন। (সূরা নাহল: ১২৫)

নিজ ঈমান আমলকে সংরক্ষণ করে সহশিক্ষা ব্যবস্থায়ও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...