আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আগের প্রশ্ন,https://ifatwa.info/112793/,

//হুজুর ট্রেড এর বিষয় টা আমি কম জানি কিন্ত ড্রপশিপিং এর ব্যাপারে যেতটুকু জানসি ওই হিসাবে বলি এইটাই সাইট ডোমেইন, হোস্টিং কিনতে হয় এর পরে সাপ্লাইয়ার যেমন - aliexpress, salehoo, oberlo ইত্যাদি এই সাপ্লাইয়ার এর কাছে যেই পণ্য আছে সেইটা আমি আমার সাইট এ লিস্ট করবো আর সাপ্লাইয়ার এর কাছে যত টাকা আছে এই পন্য এর দাম আমি কিছুটা বেশি দাম সেট করে আমার সাইট এ দিবো যেইটা marketting হবে এর পরে কাস্টমার সেই পন্য  order দিবে আর পেমেন্ট করার পরে আমি কাস্টমার এর ঠিকানা সাপ্লাইয়ার কে দিয়ে সেই পন্য order দিবো সাপ্লাইয়ার পরে সেই ঠিকানাই পাঠাইয়া দিবে সেই পন্য আর সাপ্লাইয়ার যত টাকা সেই পন্য বিক্রি করে সেই টাকা ও পাবে আর আমি আমার হিসাব অনুযায়ী প্রফিট সেট করে আগেই তা কাস্টমার থেকে নিয়ে নিবো মনে করে আমি সাপ্লাইয়ার থেকে যেই পণ্য ১০টাকা আমি সেইটা কাস্টমার এর কাছে আমার হিসাবে ৩০ টাকা চাবো বা চাইতে পারি মানে সাইট এ লিস্ট করবো এর পরে কাস্টমার ৩০ টাকা দিয়ে সেইটা কিনবে আর আমি সাপ্লাইয়ার থেকে ১০ টাকা করে সেই পন্য order করে ঠিকানা দিবো customer এর পরে সাপ্লাইয়ার কাস্টমার এর ঠিকানায় সেইটা পাঠাইয়া দিবে তো আমার এই প্রফিট আমার মত করে select করে সেই প্রফিট আমি নিতে পারবো সহজ কথায় এই ড্রপ শিপিং ব্যবসা কি করা জায়েজ হবে ❓আমি যেতটুকু ঘাটাঘাটি করে বুজসি ওই হিসাবে বলার চেষ্টা করসি।
//আগের প্রশ্নে কমেন্ট এ এই কথা বলসিলাম জবাব দেন নাই তাই পুনরায় আবারও এইখানে কথাটা বলতাসি উত্তর দিয়েন উস্তাদ তা হল আগের প্রশ্নের বিবাহ নিয়ে জবাব তো দিয়েছেন এইটা বলে নাই যে এখন এর বিবাহিত সম্পর্ক ও তো ঠিক আছে তাহলে কোন সমস্যা তো নাই❓

1 Answer

0 votes
by (591,840 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

dropshipping এর বিধানঃ-

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن  ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: أَمَّا الَّذِي نَهى عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهُوَ الطَّعَامُ أَنْ يُبَاعَ حَتَّى يُقْبَضَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَلاَ أَحْسِبُ كُلَّ شَيْءٍ إِلاَّ مِثْلَهُ

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিষেধ করেছেন, তা হল অধিকারে আনার পূর্বে খাদ্য বিক্রয় করা। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি মনে করি, প্রত্যেক পণ্যের ব্যাপারে অনুরূপ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।
(সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৩৪: ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৫৫, হাঃ ২১৩৫; মুসলিম, পর্ব ২১: ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৮, হাঃ ১৫২৫)

https://ifatwa.info/60300/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে(সুনানু নাসায়ী-৪৫৯৬)

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لِمَرْوَانَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الرِّبَا . فَقَالَ مَرْوَانُ مَا فَعَلْتُ . فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الصِّكَاكِ وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ حَتَّى يُسْتَوْفَى . قَالَ فَخَطَبَ مَرْوَانُ النَّاسَ فَنَهَى عَنْ بَيْعِهَا . قَالَ سُلَيْمَانُ فَنَظَرْتُ إِلَى حَرَسٍ يَأْخُذُونَهَا مِنْ أَيْدِي النَّاسِ .
তিনি একদা মারওয়ানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি সূদী কেনাবেচা বৈধ করে দিয়েছেন? মারওয়ান বললেনঃ না, আমি তো তা করিনি। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি রেশন কার্ড বিক্রি বৈধ করে দেননি? অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্যদ্রব্য পুরোপুরি হস্তগত করার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। এরপর মারওয়ান এক বক্তৃতায় তা বিক্রি করতে লোকদের নিষেধ করে দেন।
রাবী সুলাইমান (রহঃ) বলেনঃ আমি দেখলাম যে, মানুষের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারীগণ রেশন কার্ড ফিরিয়ে নিচ্ছে। (মুসলিম ৩৭৪১.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৭০৬, ইসলামিক সেন্টার ৩৭০৬)

’’( وأما ) بيع المشتري العقار قبل القبض فجائز عنه عند أبي حنيفة ، وأبي يوسف استحسانا‘‘
স্থাবর সম্পত্তি কবজা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়েজ আছে।(বাদায়ে সানায়ে-১১/২৫৯)

,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,
আপনার নিকট পন্য না থাকাবস্থায় অন্যর সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন না। এবং মাল ক্রয় করে কবজা করার পূর্বে অন্যত্র বিক্রয় করতেও পারবেন না। হ্যা, আপনি কোম্পানির নিয়ম তান্ত্রিক এজেন্ট হয়ে কমিশন ভিত্তিতে তাদের মাল বিক্রয় করতে পারবেন। যদি কোম্পানি আপনাকে তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/44

★আপনার নিকট পন্য থাকাবস্থায় অন্যর সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন। মাল ক্রয় করে কবজা করার পর অন্যত্র বিক্রয় করতে পারবেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  উক্ত কোম্পানি যদি আপনাকে তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে,
সেক্ষেত্রে কোম্পানির নিয়ম তান্ত্রিক এজেন্ট হয়ে কমিশন ভিত্তিতে তাদের মাল বিক্রয় করতে পারবেন। 

এক্ষেত্রে আপনার কমিশন নির্দিষ্ট থাকতে হবে।

★আপনার এখনকার বিবাহিত সম্পর্ক ঠিক আছে। কোন সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...