আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
https://www.ifatwa.info/112630/
এই প্রশ্ন আমি করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ হুজুর উত্তর দিয়েছিলেন তবুও আমার মনে ভয় থেকে যাওয়াতে আবার কয়েকটা বিষয় জানতে চাচ্ছি। আবার প্রশ্ন করার জন্য মাফ করে দিবেন দয়া করে।

ওই যে হাদিসের উল্লেখ করলাম আগের প্রশ্নে সেই হাদিসে ওই মহিলা জান্নাত জাহান্নামের কসম খাওয়ার পর মিথ্যা বলায় তার ওপর যদি জাহান্নাম অবধারিত হয়ে যায় তাহলে আমিওতো কসমে এটা বলতে বাধ্য হয়েছিলাম যে আমি মিথ্যা বললে আমার ওপর যেনো জান্নাত হারাম হয়ে যায় আর জাহান্নাম ফরজ হয়ে যায় তারপর ও মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছি তাহলে কী কোনোভাবে সত্যি সত্যি আমার ওপর জান্নাত হারাম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে??
সবসময় এটা নিয়ে ভেবে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি যে আমি বোধহয় আমার এই কসমের জন্য আর কোনোদিন জান্নাতে যেতে পারবোনা আমার ওপর তা হারাম হয়ে জাহান্নাম ফরজ হয়ে গেছে।

শায়েখ দয়া করে আমাকে জানিয়েন আমার ওপর এই কসমের জন্য কী জান্নাত হারাম হয়ে গেছে?

আর যদি মাফ চাইলে এই কসম থেকে মাফ পাওয়া যায় তাহলে কীভাবে মাফ চাইবো বা কাফফারা হিসেবে কী করতে পারি একটু জানাবেন শায়েখ? কী কী করতে হবে আমার?এটা কী কবিরা গুনাহ হয়েছে নাকি একবারে জান্নাত হারাম হয়ে গেছে সে বিষয়েও একটু বিস্তারিত জানিয়েন প্লিজ। ( আমি খুবই কষ্টে পাগল হয়ে যাচ্ছি তাই আবার প্রশ্নটার দ্বিধা বললাম দয়া করে উত্তর দিয়েন)

1 Answer

0 votes
by (591,480 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

لَقَدۡ کَفَرَ الَّذِیۡنَ قَالُوۡۤا اِنَّ اللّٰہَ ہُوَ الۡمَسِیۡحُ ابۡنُ مَرۡیَمَ ؕ وَ قَالَ الۡمَسِیۡحُ یٰبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اعۡبُدُوا اللّٰہَ رَبِّیۡ وَ رَبَّکُمۡ ؕ اِنَّہٗ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰہِ فَقَدۡ حَرَّمَ اللّٰہُ عَلَیۡہِ الۡجَنَّۃَ وَ مَاۡوٰىہُ النَّارُ ؕ وَ مَا لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ اَنۡصَارٍ ﴿۷۲﴾ 

যারা বলে, নিশ্চয় আল্লাহু তিনি তো মারইয়াম-তনয় মসীহ, অবশ্যই তারা কুফরী করেছে। অথচ মসীহ বলেছিলেন, হে ইসরাঈল-সন্তানগণ! তোমরা আমার রব ও তোমাদের রব আল্লাহর ইবাদাত কর। নিশ্চয় কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত অবশ্যই হারাম করে দিয়েছেন এবং তার আবাস হবে জাহান্নাম। আর যালেমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।
(সুরা মায়েদা ৭২)

তোমরা আল্লাহরই ইবাদাত কর, যারা তার সাথে অন্য কারও ইবাদাত করে তাদের জন্যে আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নামে। যেমন অন্য আয়াতেও আল্লাহ বলেছেন, “আল্লাহ শির্কের গোনাহ কখনও ক্ষমা করবেন না”। [সূরা আন-নিসা ৪৮, ১১৬]

অনুরূপভাবে জাহান্নামবাসীরা যখন জান্নাতবাসীদের কাছে খাদ্য ও পানি চাইবে, তখন তারা উত্তরে বলবে, নিশ্চয় আল্লাহ এ দুটি জিনিস কাফেরদের উপর হারাম করে দিয়েছেন। [সূরা আল-আরাফ: ৫০]

হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করতে বলেছেন যে, শুধু মুমিন মুসলিমরাই জান্নাতে যাবে’। [মুসলিম: ১১১] 

আরও বলেছেন, যতক্ষণ তোমরা ঈমানদার না হবে ততক্ষণ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। [মুসলিম: ৫৪]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হবেনা।

এক্ষেত্রে মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করে নিবেন, পাশাপাশি আপনি যেহেতু আপনার স্বামীর কাছে মিথ্যা কথা বলেছেন, তাই স্বামীর থেকেও ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোন কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...