আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in সাওম (Fasting) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম।
রোজা অবস্থায় ঠোঁটে ফাটায় তেল বা ভেসলিন/ মেরিল  দিলে এবং  সেটা পরবর্তীকে  মুখে চলে গেলে সমস্যা হবে?

♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

সুফিয়ান সাওরী রহ. বলেন, ‘রোযা অবস্থায় কুলি করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ৭৩৮০)

https://www.ifatwa.info/1199 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
রোযাবস্থায় ভেসলিন বা লিজেল ব্যবহার করাতে কোনো সমস্যা নাই। কেননা তা সাধারণত গলা দিয়ে পাকস্থলীতে গিয়ে প্রবেশ করে না।তবে হ্যা যদি তা এত অধিক পরিমাণে হয় যে, তা মূখের লালার সাথে মিলিত হয়ে আধিক্যতার সাথে পাকস্থলীতে গিয়ে প্রবেশ করে, তাহলে তখন রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।

ঠিক তেমনিভাবে নামাযেও কোনো সমস্যা হবে না।তবে লালার চেয়ে ভেসলিনের আধিক্য থাকলে এবং গিলে ফেললে তখন নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وَلَوْ ابْتَلَعَ دَمًا بَيْنَ أَسْنَانِهِ لَمْ تَفْسُدْ إذَا كَانَتْ الْغَلَبَةُ لِلرِّيقِ. كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
যদি দাতের মাড়ি থেকে রক্ত নির্গত হয়ে লালার সাথে মিলিত হয়ে যায় এবং গিলে ফলে তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত নামায ফাসিদ হবে না যতক্ষণ লালার আধিক্য থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে হহিন্দিয়া-১/১০২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
রোজা অবস্থায় ঠোঁটে ফাটায় তেল বা ভেসলিন/ মেরিল  দিলে এবং সেটা পরবর্তীকে  মুখে চলে গেলে সেক্ষেত্রে লালার চেয়ে ভেসলিনের আধিক্য থাকলে এবং গিলে ফেললে তখন রোযা ভেঙ্গে যাবে।

অন্যথায় রোযা ভেঙ্গে যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...