বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শা'বানের পনেরতম রাত শুধুমাত্র তাদেরকেই ক্ষমা করে দেয়া হবে, যারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে। হ্যা, তাদেরকেও ক্ষমা করা হতে পারে , যারা ক্ষমা চাচ্ছেনা যদি আল্লাহর হুকুম হয়। যেমন নিম্নের একটি হাদীসে পাওয়া যায়,
’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَقُومُوا لَيْلَهَا وَصُومُوا يَوْمَهَا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَنْزِلُ فِيهَا لِغُرُوبِ الشَّمْسِ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ: أَلَا مِنْ مُسْتَغْفِرٍ فَأَغْفِرَ لَهُ؟ أَلَا مُسْتَرْزِقٌ فَأَرْزُقَهُ؟ أَلَا مُبْتَلًى فَأُعَافِيَهُ؟ أَلَا كَذَا أَلَا كَذَا حَتَّى يطلع الْفجْر . رَوَاهُ ابْن مَاجَه
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ শা’বান মাসের পনের তারিখ রাত হলে তোমরা সে রাত্রে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় কর ও দিনে রোযা রাখো। কেননা, আল্লাহ তা’আলা এ রাত্রে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং (দুনিয়াবাসীকে উদ্দেশ্য করে) বলেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো। কোন রিযক্বপ্রার্থী আছে কি, আমি তাকে রিযক্ব (রিজিক/রিযিক) দান করব? কোন বিপদগ্রস্ত কি আছে, আমি তাকে বিপদ মুক্ত করে দেব? এভাবে আল্লাহ মানুষের প্রতিটি দরকার ও প্রতিটি বিপদের নাম উল্লেখ করে তাঁর বান্দাদেরকে সকাল হওয়া পর্যন্ত আহবান করতে থাকেন। (ইবনু মাজাহ-১৩০৮)
এই হাদীসের সনদ অত্যান্ত দুর্বল, (আত্ তারগীব ৬২৩) কারণ এর সানাদের বর্ণনাকারী ইবনু আবী সাবরাহ্ সম্পর্কে ইমাম আহমাদ এবং ইবনু মা‘ঈন (রহঃ) বলেছেন, সে হাদীস বানিয়ে বর্ণনা করে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যারা কবীরা গুনাহে লিপ্ত তারা যদি মাফ না চায়, তাহলে সাধারণত তাদেরকে আল্লাহ শবেবরাতে মাফ করে দিবেন না। তবে হঠাৎ আল্লাহ নিজ দয়া গুণে মাফ করে দিতে পারেন।
(২) যারা গুনাহ করেনি তাদের কে মাফ করে দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।