ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মিলাদ কিয়াম বিদআত।নির্দিষ্ট পদ্ধিতিতে মিলাদ কিয়াম করাকে সওয়াব মনে করলে সওয়াবের বিপরীতে গোনাহ হবে।কেননা মিলাদ কিয়ামের প্রচলিত পদ্ধতি রাসূলুল্লাহ সাঃ, এবং সাহাবায়ে কেরাম বা তার পরবর্তী যুগে ছিল না।বরং এটা অনেক পরে মানুষের আবিস্কৃত একটি বিদআত।যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
হাদিস শরীফে এসেছে..........
وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ»
তরজমা- প্রত্যেক নবসৃষ্টই বিদআত(আবু-দাউদ হাদিস নং৪৬০৭-লম্বা হাদিসের অংশ বিশেষ) উক্ত হাদিসের ব্যখ্যায় বিদআতের আলোচনা করতেড়ড়ড় যেয়ে আব্দুর রহমান মোবারকপুরি রাহ বলেন
والمراد بالبدعة ما أحدث في الدين ما لا أصل له في الشريعة يدل عليه)مراعاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح -ج1ص264(
তরজমা- বিদআত দ্বারা উদ্দেশ্য হল,দ্বীনের মধ্যে এমন কোনো জিনিষ নবআবিস্কৃত হওয়া,যাকে শরীয়তের মূলনীতি সমর্থন দেয়না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2907
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)
অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1982
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মিলাদ করা এবং তাতে সহযোগিতা করা কোনোটাই জায়েয হবে না। মিলাদ কিয়াম থেকে দূরে থাকতে হবে। সুদের টাকাকে সদকাহ করতে হবে। মিলাদ কিয়ামে সুদের টাকা ব্যয় করা যাবে না।