আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আসসালামুআলাইকুম,
জনৈক মহিলার চতুর্থ সন্তান হয়েছে,তার প্রত্যেক সন্তানের সময় ৪০ দিনের বেশি সময় রক্তস্রাব থাকে,অর্থাৎ ৪০ দিন পর কখনো সাদাস্রাব দেখা যায় ,কখনো বাদামী রঙের স্রাব দেখা যায়,এভাবে মোট ৭০দিনের মত থাকে,প্রত্যেক সন্তানের সময়।

এখন সে ৪০ দিন পর থেকে নামাজ শুরু করেছে, কিন্ত এখনো তার সাদাস্রাব কখনো হয়,কখনো বাদামী স্রাব হয়,তার আজকে  মোট  ৬১ দিন হয়েছে,আর ৯ দিন পরে সম্পুর্ন সাদাস্রাব দেখতে পারবে ইনশাআল্লাহ, কারন পূর্বের সন্তানের সময় এভাবে ৭০ দিন থাকতো।

(প্রশ্ন) আমার প্রশ্ন হলো,তার যে নিফাসের ৪০ দিন পর আরও ৩০দিন ইস্তেহাযা থাকে,এই পুরো ৩০ দিনকে ইস্তেহাযা ধরতে হবে,নাকি এই ৩০ দিনের মধ্যে প্রথম ২২ দিনকে ইস্তেহাযা ধরতে হবে, আর শেষের ৭/৮দিনকে হায়েজ ধরতে হবে?যেহেতু তার হায়েজ ৭/৮দিন থাকে।

1 Answer

0 votes
by (592,410 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]

فى تنوير الابصار: والنفاس لغة : دمن ويخرج عقب ولد، لا حد لاقله، واكثره أربعين يوما (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497)
সারমর্মঃ সন্তান ভুমিষ্ঠের পর যেই রক্ত বের হয়,সেটাকে নেফাস বলা হয়,তার সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। 
,

নেফাস এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনের মধ্যে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে যেদিন বন্ধ হবে, সেদিন গোসল করে নামায পড়া শুরু করে দিতে হবে।
 কিন্তু বন্ধ না হয়, তাহলে এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনেও বন্ধ না হয়, তাহলে চল্লিশ দিন পর বন্ধ না হলেও নামায পড়তে হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
নেফাস শেষ হওয়ার নুন্যতম ১৫ দিন পর হায়েজ শুরু হবে।
১৫ দিনের আগে হায়েজ হবেনা,এক্ষেত্রে ১৫ দিনের আগেই রক্ত আসলে সেটি ইস্তেহাজা।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোন নেফাস শেষ হওয়ার ৫৬ তম দিন থেকে হায়েজ ধরবেন।

যেহেতু তার হায়েজ ৭/৮দিন থাকে।
তাই তিনি ৫৬ তম দিন থেকে ৭/৮ দিন হায়েজ ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
আসসালামুআলাইকুম,
নেফাস শেষ হওয়ার ১৫ দিন পর থেকে ৭/৮ দিন হায়েজ হিসেবে ধরার পর যদি ইস্তেহাযা ভালো না হয়,তাহলে কি ৭/৮ দিন পর আবার ১৫দিন ইস্তেহাযা ধরতে হবে?

এভাবে ১৫ দিন পর পর কি ৭/৮ দিনকে হায়েজ হিসেবে ধরতে হবে? নাকি আগে যেহেতু প্রতিমাসে একবার হায়েজ হত,অর্থাৎ ২৩/২৪ দিন পর ৭/৮ দিন হায়েজ হত,সেভাবে ২৩/২৪ দিন পর পর ৭/৮দিনকে হায়েজ ধরতে হবে?

দয়া করে জানাবেন 
by (592,410 points)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নেফাস এর ৪০ দিন শেষ হওয়ার পর দিন থেকে হিসাব করে ১৫ দিন পর থেকে ৭/৮ দিন হায়েজ হিসেবে ধরার পর যদি ইস্তেহাযা ভালো না হয়,তাহলে ৭/৮ দিন পর আবার ১৫দিন ইস্তেহাযা ধরতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...