আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (46 points)
আস সালামু আলাইকুম শয়েখ। আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার ছিলো।

প্রশ্ন ১: আমাদের ও চাচাতো  চাচার জমি পাশাপাশি। আমার চাচাতো চাচা গাছ লাগিয়েছে 10 বছর আগে ।এখন জমি মাপার পরে দেখা গেছে চাচাতো চাচার গাছ আমাদের ভিতরে এসেছে ১০-১২ টি।
এখন আমার প্রশ্ন এই গাছের মালিক কে আমার চাচা নাকি আমরা।
প্রশ্ন 2: আমার জমিতে এতোদিন গাছ বড় হয়েছে আমার জমি ব্যবহার হয়েছে।  এই বাবাদ আমাদের কি কোনো অংশ পাওয়ার আছে ওই গাছ বাবাদ ।

 
এখন আমার চাচা মারা যাবার পরে আমার দাদি চাচার অংশ পেয়েছে।  আমার দাদি আমাদের এখানেই থেকেছে।  চাচারা দেখাশোনা করেন নি ভাত দেয়নি। ৩-৪ দিন দাদি না খেয়ে ছিলো। এখন চাচার সম্পতি দাদি পাওয়ার পরে।  যেহেতু  ৯ বছর কেচ চলছে একটা জমি নিয়ে।  তো আমার বাপ বলেছে মা তুমি তো জমি পেয়েছো দিদার মরে যাবার পরে তার অংশ ।  আমার কি দিবা।  দাদি বলেছে নেও। এখন সেটা আমরা নিয়েছি।

এখন আমার চাচতো ভাইয়েরা বলে তাদের তো হক ছিলো  দাদি তো তাদের দিলোনা।

প্রশ 3: দাদির জমি তিনি যদি ইচ্ছায় আমার পিতার দেয় তাহলে কি চাচতো ভাইদের হক মারা হবে। জমিতো যেহেতু দাদির সে তো বেচে থাকতে তার বড় ছেলের মানে আমার পিতার দিয়ে গেছে।
শায়েখ আমি যদি না বুঝাতে পারি প্রশ্ন এবং আপনি যদি না বুঝতে পারেন। আমিকি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি মোবাইল ফোনে

1 Answer

0 votes
by (592,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।

(আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।)

https://ifatwa.info/57281/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
কেহ যদি অন্যের জায়গায় অনুমতি ছাড়া গাছ লাগায়,তাহলে এক্ষেত্রে সেই জায়গার মালিকের অধিকার আছে,তার জায়গায় গাছ লাগানোর কারনে গাছের মালিক থেকে ভাড়া নেয়ার।
অথবা জায়গার মালিক চাইলে বলতে পারবে যে আপনি আপনার গাছ কেটে নিয়ে যান,অথবা গাছটি আমার কাছে বিক্রয় করুন।

অথবা তারা পরস্পরে সম্মতিতে গাছ/লতাপাতার ফল খাওয়ার চুক্তি করতে পারে।
সেক্ষেত্রে জায়গার মালিক হিসেবে আপনাদের জন্য ফল খাওয়া জায়েজ হবে। 

যদি কোনো কিছুতেই গাছের মালিক উপরোক্ত কোনো বিষয়ের উপর রাজি না হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত জায়গার মালিকের জন্য অনুমতি রয়েছে সে যে গাছের গোড়া সহ কেটে তাহা গাছে মালিককে ফেরত দিবে।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

"(ومن بنى أو غرس في أرض غيره بغير إذنه أمر بالقلع والرد) لو قيمة الساحة أكثر كما مر (وللمالك أن يضمن له قيمة بناء أو شجر أمر بقلعه)
(قوله بغير إذنه) فلو بإذنه فالبناء لرب الدار، ويرجع عليه بما أنفق جامع الفصولين من أحكام العمارة في ملك الغير". (6/194، کتاب الغصب، ط؛ سعید)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি অন্যের ভূমিতে অনুমতি ছাড়া ঘর নির্মান করে,অথবা গাছ লাগায়,তাহলে তাহা কেটে ফেলার আদেশ দেয়া হবে।
অথবা মূল্য দিয়ে সেটা নিজ মালিকানাতেও নিতে পারবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই গাছের মালিক আপনার চাচাতো চাচা।

তবে এটা যেহেতু আপনাদের জায়গা,তাই আপনাদের জন্য অধিকার রয়েছে,আপনারা চাইলে গাছের মালিক (আপনার চাচাতো চাচাকে) বলতে পারবেন যে আপনি আপনার গাছ কেটে নিয়ে যান,অথবা গাছটি আমার কাছে বিক্রয় করুন।

অথবা আপ্নারা (জায়গার মালিক) চাইলে আপনারা পরস্পরে সম্মতিতে গাছ/লতাপাতার ফল খাওয়ার চুক্তি বা উক্ত গাছ হতে উপকৃত হওয়ার চুক্তি করতে পারেন।

যদি কোনো কিছুতেই গাছের মালিক (আপনার চাচাতো চাচা) উপরোক্ত কোনো বিষয়ের উপর রাজি না হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত আপনাদের (জায়গার মালিকের) জন্য অনুমতি রয়েছে যে আপনারা চাইলে গাছের গোড়া সহ কেটে তাহা গাছের মালিক (আপনার চাচাতো চাচা) কে ফেরত দিবেন।

(০২)
আপনার জমিতে এতোদিন গাছ বড় হয়েছে, আপনার জমি ব্যবহার হয়েছে।

এই বাবদ আপনারা কোনো অংশ পাবেননা,

এক্ষেত্রে কোনো অংশ পাওয়ার আকাঙ্খা করলে সেক্ষেত্রে আপনার চাচাতো চাচার সাথে পরামর্শ করতে হবে।
তিনি সন্তুষ্টি চিত্তে কিছু দিতে চাইলে দিতে পারেন। আপনারা তাকে বাধ্য করতে পারবেননা।

(০৩)
★আপনার দাদি যখন আপনার বাবাকে সেই জমি দিয়েছে,তখন আপনার দাদীর কোন কোন ওয়ারিশ জীবিত ছিলো,সেটি বিস্তারিত আকারে কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করলে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো। 
জাযাকাল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
দাদি যখন দিয়েছে তখন ওয়ারিশ হলো আমার বাবা ছিলো আর মৃত চাচার পক্ষে থিকে তার ছেলে মেয়েরা ছিলো।  

মূলত যেহেতু বিবাদ ৯ বছর ধরে হচ্ছিলো তারা আমার পিতাকে মারতে গেছিলো আমার দাদি ঠেকাইছে। দাদিকে দেখতো না তারা।  আমার পিতাকে মারতে যাওয়ার পরেই দাদি সব দিয়ে গেছে । 
একটা জমি দেওয়ার সময় শর্ত দিয়েছে যে যদি তুমার জমি ওরা দখল ছেড়ে দেয় তাহলে 1.5 বিঘা তোমার ভাইপোদের দিয়ে দিবে। আমার বাপ সেটা দিতে রাজি আছে এবং দিয়েও দিতে চাই।  
কিন্তুুু আমার বপের কথা তার মা যেগুলো শর্ত দিয়ে জমি দেয়নি সেগুলো দিবে না 

আপনাকে কল দিয়ে হজরত ২-৫ মিনিট কথা বল্লে ভালো হয়। আপনার নম্বর আছে আপনি অনুমতি দিলেই হবে
by (592,050 points)
তার মানে আপনার দাদি যখন আপনার বাবাকে সে জমি দিয়েছিল তখন ওয়ারিশ হিসেবে আপনার বাবা শুধু জীবিত ছিল।

আপনার কোন ফুফু নেই।

সুতরাং শরীয়তের একটি মাসআলা আছে যে কোন ব্যক্তির ছেলে জীবিত থাকলে তার মৃত ছেলের সন্তানেরা অর্থাৎ ব্যক্তির ছেলে জীবিত থাকলে তার নাতি-নাত্নিরা সম্পদ পায় না।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার চাচার ছেলে মেয়েরা আপনার দাদীর সম্পদ এমনিতেই পাবে না।

যতদিন পর্যন্ত আপনার বাবা জীবিত আছে আপনার চাচার ছেলে মেয়েরা আপনার দাদীর কোন সম্পত্তি পাবেনা।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবাকে জমিটি লিখে দেওয়া জায়েজ আছে, কোন সমস্যা নেই।
by (592,050 points)
জ্বী,আপনি ফোন দিতে পারেন।
by (592,050 points)
তারমানে আপনার দাদি যখন আপনার বাবাকে সে জমি দিয়েছিল তখন ওয়ারিশ হিসেবে আপনার বাবা শুধু জীবিত ছিল।

আপনার কোন ফুফু নেই।

সুতরাং শরীয়তের একটি মাসআলা আছে যে কোন ব্যক্তির ছেলে জীবিত থাকলে তার মৃত ছেলের সন্তানেরা অর্থাৎ ব্যক্তির ছেলে জীবিত থাকলে তার নাতি-নাত্নিরা সম্পদ পায় না।

প্রশ্নের উল্লেখিত ছুরতে আপনার চাচার ছেলে মেয়েরা আপনার দাদীর সম্পদ এমনিতেই পাবে না।

যতদিন পর্যন্ত আপনার বাবা জীবিত আছে আপনার চাচার ছেলে মেয়েরা আপনার দাদীর কোন সম্পত্তি পাবেনা।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবাকে জমিটি লিখে দেওয়া জায়েজ আছে, কোন সমস্যা নেই।
by (46 points)
হয়রত মুফতি ইমদাদুল হুজুর এর নম্বর আছে। আপনার টা নেই।আপনার নম্বর টা  দিলে আমার খুবই উপকৃত হতাম

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...