আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,138 views
in সালাত(Prayer) by (32 points)

বাসায় একাকি নামাজ পড়লে, মাঝে মধ্যে এমন হই যে কেউ দরজা নক করলো। আর আমি নামাজরত অবস্থায়। এ অবস্থায় নামাজ ভেঙে দরজা খোলা যাবে কি? না নামাজ পড়ে যাব। অনেক সময় অনেকে জোরে জোরে দরজা নক করে আর নামাজে ধ্যান থাকে নাহ৷ 

নামাজ পড়ার সময় কোনো মুভমেন্ট করা যাবে কি? যেমন কোনো বাচ্চা জায়নামাজে বসে আছে আর তাকে সরিয়ে দিয়ে সিজদা দেওয়া লাগবে। এমন অবস্থায় কি করা দরকার। 

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বগৃহে দরজার খিল বন্ধ করে নফল নামায পড়ছিলেন। মা আয়েশা রা. এসে দরজা খুলতে বললে তিনি হেঁটে গিয়ে তাঁর জন্য দরজা খুলে দিলেন। অতঃপর পুনরায় নিজের মুসাল্লায় ফিরে গেলেন। অবশ্য দরজা ছিল কিবলার দিকেই। (আহমাদ, মুসনাদ ৬/২৩৪, আবূদাঊদ, সুনান ৯২২, তিরমিযী, সুনান ৬০১, নাসাঈ, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ, আবু য়্যা’লা ৪৪০৬, দারাকুত্বনী, সুনান, বায়হাকী ২/২৬৫, মিশকাত ১০০৫ নং)

দারুল উলুম দেওবন্দ এর 20986 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে যদি নামাজের জায়গা থেকে দরজা খোলা,ফিরে আসা পর্যন্ত কিবলা থেকে না ফিরতে হয়,আর সেটি (এক দু পা) তথা সামান্য দুরত্বে থাকে,এবং অন্য কোনো নামাজ ভঙ্গ কারী আমল না পাওয়া যায়, তাহলে এটি জায়েজ আছে।
,

শায়েখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল বলেছেন,
নামায পড়ার সময় কেউ যদি ঘরের ভিতরে আসার জন্য দরজায় করাঘাত করে বা কলিং বেল টিপে তখন করণীয় হল, গলায় কাশি দেয়া বা ‘সুবহানাল্লাহ’ ‘সুবহানাল্লাহ’ পড়া। মহিলা হলে হাতে তালি দেয়া। এতে আগন্তক ব্যক্তি বুঝতে পারবে যে, আপনি নামায পড়ছেন । ফলে সে নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
,
কিন্তু সে যদি আপনার আওয়াজ না শোনে এবং দরজা কিবলার দিকে সামান্য দূরত্বে থাকে তাহলে হেঁটে গিয়ে তা খুলে দেয়া জায়েয রয়েছে। 

তবে দরজা দূরে থাকলে এবং দরজা খুলতে বিলম্ব করার কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে নামাজ ছেড়ে দিবে এবং গিয়ে দরজা খুলে তারপর পুনরায় নতুন ভাবে নামাজ আদায় করবে।


 (فروع) مشیٰ مستقبل القبلة ہل تفسد، إن قدر صف، ثم وقف قدر رُکنٍ ثم مشی ووقف کذلک وہکذا لا تفسد وإن کثر مالم یختلف المکان بأن خرج من المسجد أو تجاوز الصفوف لو الصلاة في الصحراء فحینئذٍ تفسد، کما لو مشی قدر صفّین دفعةً واحدةً (الدر المختار مع رد المحتار: ۲/۳۸۸، زکریا دیوبند)
সারমর্মঃ
কিবলার দিক হয়েই এক কাতার সমপরিমাণ চলার দ্বারা নামাজ ফাসেদ হবেনা।  
,
(০২)
নামাজে মুভমেন্ট করা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144108200595 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে সেজদার জায়গা থেকে বাচ্চাকে সড়ানো আমলে কাছির নয়।
সুতরাং এর দ্বারা নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 201 views
...