আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
5,293 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by
বিকাশ থেকে যে ক্যাশব্যাক দেয় সেটা শপিং মল থেকে দেয়না বরং বিকাশ অর্থাৎ ব্র্যাক ব্যাংক থেকে দেয়। বিকাশে পেমেন্ট করলেই কেবল এটা পাওয়া যায়। দোকান থেকে ডিসকাউন্ট দিলে যেকোনো ভাবে পেমেন্ট করলেই তা পাওয়া যায়। কিন্তু এই ডিসকাউন্ট যেহেতু ব্যাংক দেয় তাই বিকাশে পেমেন্ট করলেই কেবল এটা পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে এটা নেওয়া জায়েজ হবে কি ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিহি তা'আলা

সমাধানঃ-

বিক্রেতার পক্ষ্য থেকে ক্রেতাকে যা কিছু দান করা হবে তা জায়েয।

কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/২৪৯

ব্যাংক বা কম্পানি যে কারো পক্ষ থেকেই ক্যাশব্যাক দেয়া হোক না কেন, তা জায়েয।

কেননা,ব্যাংক উক্ত ব্যক্তিকে ঋণ দিয়েছে। তাই ব্যাংক হল ঋণদাতা।আর ক্রেডিটককার্ড যিনি ব্যাংক থেকে গ্রহণ করেছেন,তিনি হলেন ঋণগ্রহিতা।

ঋণ দাতার পক্ষ থেকে ঋণ গ্রহিতাকে উপহার উপটোকন দেয়া জায়েয।অন্যদিকে ঋণগ্রহিতার পক্ষ্য থেকে ঋণদাতাকে কিছু দেয়ার নাম হল সুদ।

তাই এখানে সুদ হচ্ছে না।

জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম(দারুল এশায়ত);১/১৬৪

তাছাড়া এখানে 'পেমেন্ট মেথড পদ্ধতিসমূহ ও  কম্পানির সাথে ব্যবসায় শরীক। অবশ্য তাদের সবার প্রফিট চুক্তি আকারে সু-নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত থাকে।

বিধায় তা জায়েযই হবে।

এ দৃষ্টিকোণে ক্যাশব্যাক গ্রহণ না জায়েয হওয়ার কোনো কারণ নেই।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, IOM.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এখানে ব্যাংক কীভাবে ঋন দাতা হলো আমাকে বুঝিয়ে বলবেন?? 
আপনিতো পুরো মাসয়ালাটাই পালটে দিলেন?? 
by
হানাফি ফিকহ গ্রুপের মুফতিগন বললেন জায়েজ হবেনা।আর বললেন যে,এক্ষেত্রে ঋণদাতা আমি নিজেই,আর ঋণগ্রহীতা হচ্ছে ব্যাংক।এজন্য আমি সমাধান পেলাম না,ফতোয়া পুরোই বিপরীত মুখী হয়ে গেলো শায়েখ,আফওয়ান।
by (0 points)
edited by
ব্যাংকের সাথে টাকার সম্পর্ক

ব্যাংকের সাথে টাকার সম্পর্ক এতটাই নিবিড় যে, খুব সহজ বাংলায় আমি বলে থাকি- 'টাকা ব্যাংকের সন্তান।' পিতা-মাতা ছাড়া যেমন সন্তান কল্পনা করা অসম্ভব, ঠিক তেমনি বর্তমান অর্থব্যবস্থায় ব্যাংক ছাড়া টাকা নিয়ে আলোচনা করাটা প্রায় অসম্ভব।

অর্থনীতির সংজ্ঞানুযায়ী ব্যাংক হচ্ছে একটি মধ্যস্বত্ব প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকে টাকা কেবল হাতবদল করে। তাই আমরা যদি ব্যাংকে টাকা রাখি, ব্যাংক সেই টাকা অপর কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ হিসেবে দিয়ে দেয়। সোজা বাংলায় ব্যাংকে টাকা জমা রাখা' বলতে আমরা যে ধারণা করে থাকি-তা অনেকটাই ভুল। চিন্তা করে দেখুন, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি আপনার টাকা নিরাপদে সঞ্চয় করে রাখত, তাহলে নিশ্চয়ই সেই প্রতিষ্ঠানকে সার্ভিস চার্জ দিতে হতো, তাই না? কারণ, সম্পদ সঞ্চয় করে রাখার কিছু খরচ আছে। কিন্তু ব্যাংকে টাকা রাখলে আমরা আরও বাড়তি টাকা পাই। এর কারণ কী? কারণ হচ্ছে ব্যাংকে টাকা জমা রাখার প্রকৃত অর্থ হলো, আমরা ব্যাংককে ঋণ দিই এবং ব্যাংক আমাদের থেকে ঋণ নেয়। এ কারণে ব্যাংক আমাদের সুদ প্রদান করে। ব্যাংক যখন এই টাকা ঋণ হিসেবে দিয়ে দেয়, তখন ব্যাংক হয়ে যায় ঋণ প্রদানকারী এবং অপরপক্ষ হয়ে যায় ঋণ গ্রহণকারী। আমাদের থেকে কম সুদে ঋণ নিয়ে ব্যাংক বেশি সুদে ঋণ দেয় এবং এই দুই সুদের হারের পার্থক্যই হচ্ছে ব্যাংকের আয় ও লাভ।

বই : সুদ হারাম, কর্জে হাসানা সমাধান, লেখক : মোহাইমিন পাটোয়ারী, Page : 42-43
by
এখানে ক্রেডিট কার্ডের সাথে বিকাশের মাসয়ালা একদম গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।
ক্রেডিট কার্ড এক জিনিস আর বিকাশ একাউন্ট আরেক জিনিস।
ক্রেডিট কার্ডের ওপর কিয়াস করে বিকাশের ক্যাশব্যাক এর মাসয়ালা বের করা কোনোভাবেই সম্ভব না।।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...