জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো শুধু শুক্রবার বা শুধু শনিবার রোযা রাখা মাকরূহ।
মুশরিকদের বিরোধীতা করার জন্য। কারণ তারা এ দু’দিন রোযা রাখতো। হাদীসে খাস করে শুধু এ দু’দিন আলাদা আলাদা রোযা রাখতে অপছন্দ করা হয়েছে। তবে আগে বা পরের দিনের সাথে মিলিয়ে একসাথে দু’টি রোযা হলে কোন সমস্যা নেই।
হাদীস শরীফে এসেছে
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يصومن أحدكم يوم الجمعة إلا يوما قبله أو بعده
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ জুমআর আগে অথবা পরে একদিন মিলানো ব্যতিত শুধু জুমআর দিন রোযা রেখো না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৮৮৪}
عن جويرية بنت الحارث رضي الله عنها أن النبي صلى الله عليه و سلم دخل عليها يوم الجمعة وهي صائمة فقال ( أصمت أمس ) . قالت لا قال ( تريدين أن تصومي غدا ) . قالت لا قال ( فأفطري )
হযরত জুআইরিয়া বিনতে হারেস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ একদা শুক্রবার তার কাছে এলেন। সেদিন তিনি রোযা ছিলেন। রাসূল সাঃ জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি গতকাল রোযা ছিলে? তিনি বললেনঃ না। রাসূল সাঃ বললেনঃ তোমার কি আগামীকাল রোযা রাখার ইচ্ছে আছে? তিনি বললেনঃ না। রাসূল সাঃ বললেনঃ তাহলে রোযা ভেঙ্গে ফেল। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৮৮৫, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪২৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৬১১, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-২১৬২}
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
★রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবারে রোযা রাখতেন,কেননা এ দিন আল্লাহর সামনে আ'মল পেশ হয়ে থাকে।যেমন,হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُعْرَضُ الْأَعْمَالُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,সোমবার এবং বৃহস্পতিবার আল্লাহ তা'আলার নিকট আ'মল পেশ করা হয়ে থাকে।সুতরাং আমি চাই আল্লাহর নিকট আমার আ'মল এমন অবস্থায় পেশ করা হউক যে, আমি রোযাদার। (সুনানু তিরমিযি-৭৪৭)
হযরত আবু কাতাদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الِاثْنَيْنِ فَقَالَ : ( فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে সোমবারের রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো(কেননা রাসূলুল্লাহ এ দিন প্রায় রোযা রাখতেন)রাসূলুল্লাহ সাঃ প্রতিউত্তরে বললেন,কেননা এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি,এবং এই দিনে আমার উপর অহী নাযিল করা হয়েছে।(সহীহ মুসলিম-১১৬২)
সোমবারে রাসূলুল্লাহ সাঃ এ জন্য রাখতেন যে,সেদিন মাগফিরাতের দিন।যেমন হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
من حديث أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ الاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ، فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؛ إِنَّكَ تَصُومُ الإِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ، فَقَالَ إِنَّ يَوْمَ الاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ يَغْفِرُ اللَّهُ فِيهِمَا لِكُلِّ مُسْلِمٍ إِلَّا مُهْتَجِرَيْنِ، يَقُولُ دَعْهُمَا حَتَّى يَصْطَلِحَا.
রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন।রাসূলুল্লাহ সাঃ কে ঐ দিনগুলোতে রোযা রাখার হেকমত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন,আল্লাহ তা'আলা সোমবার এবং বৃহস্পতিবার প্রত্যেক মুসলমানকে ক্ষমা করে দেন।শুধুমাত্র ঝগড়াটে ব্যক্তি ছাড়া যতক্ষণ না তারা আপসে সংশোধন করছে।(সুনানু ইবনি মা'জা-১৭৪০)