আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ,

উস্তাদ আমার প্রথম প্রশ্ন হল,

প্রতিদিনের পরিধেয় কাপড় কিভাবে ধৌত করতে হবে? যাতে কোন প্রকার নাপাকি নাই। আমরা শহরে সাধারণত টাইলসের উপর কাপড় রেখে সাবান মেখে মগ দিয়ে পানি ঢেলে ধৌত করি, এটা কি ভুল?

দ্বিতীয় প্রশ্ন,

নাপাকি কাপড় ধোয়ার সঠিক মাসালা আগে জানা ছিল না। তাহলে ওই কাপড় দিয়ে যে সালাত আদায় করেছি, তা কি সঠিক বলে গণ্য হবে?

তৃতীয় প্রশ্ন,

নাপাকি কাপড় সাবান দিয়ে ধুয়ে নিয়ে তারপর তিনবার বালতিতে চুবিয়ে ধৌত করলে কি হবে?

চতুর্থ প্রশ্ন,

তিনবারের বেশি পানি ব্যবহার করলে তা কি অপচয় হিসাবে গণ্য হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (609,210 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إلي أن قال ...............وإن كانت غير مرئية يغسلها ثلاث مرات. كذا في المحيط ويشترط العصر في كل مرة فيما ينعصر ويبالغ في المرة الثالثة حتى لو عصر بعده لا يسيل منه الماء
(অতঃপর এক পর্যায়ে বলা হয়)
নজাসত যদি অদৃশ্যমান হয় তাহলে তিনবার দৌত করতে হবে।(মুহিত)প্রতিবার দৌত করার সময় কাপড় ইদ্যাদি নিংড়ানো শর্ত।বিশেষ করে তৃতীয়বার এমনভাবে নিংড়াতে হবে যে, এরপর যদি কেউ আবার নিংড়াতে চায় তাহলে এত্থেকে পানি ঝড়ানো যাবে না।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/৪১-৪২)
 
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে,
কাপড়কে কয়েক কারণে দৌত করার প্রয়োজন পড়ে।

(১)দৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগার কারণে।
(২)অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগার কারণে।
(৩)ময়লা বা ঘামে কাপড় সিক্ত হওয়ার কারণে।

বিশ্লেষণঃ
কাপড়ে কোনো প্রকার নাজাসত না লেগে থাকলে তা দৌত করা জরুরী নয়।তবে ময়লা হলে অবশ্যই পরিস্কার করে রাখতে হবে।যা সভ্যতা ও ভদ্রতার আলামত।
আর যদি কাপড়ে দৃশ্যমান কোনো নাজাসত লেগে থাকে তাহলে নাজাসত দূর হওয়া পর্যন্ত দৌত করতে হবে।যদি একবার দৌত করা দ্বারা নাজাসত দূর হয়ে যায় তাহলে একবারই এর জন্য যথেষ্ট হবে।কিন্তু একবার দৌত করার পর নাজাসত দূর না হলে দূর হওয়া পর্যন্ত দৌত করতে হবে।

আর যদি অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লেগে থাকে তাহলে তা তিনবার দৌত করতে হবে।কেননা তা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/12596

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)  টাইলসের উপর কাপড় রেখে সাবান মেখে মগ দিয়ে পানি ঢেলে ধৌত করলে হবে।তবে নাপাক কাপড়কে তিনবার নতুন পানি দ্বারা ধৌত করে তিনবার নিংড়াতে হবে।

(২)
নাপাকি কাপড় ধোয়ার সঠিক মাসআলা জানা না থাকাবস্থায়, ঐ কাপড় দিয়ে যত সালাত আদায় করা হয়েছে, সকল সালাতকে পূনরায় পড়তে হবে।

(৩)
নাপাকি কাপড় সাবান দিয়ে ধৌত করে তারপর তিনবার বালতিতে নতুন পানিতে চুবিয়ে ধৌত করলেও হবে। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়াতে হবে।

(৪)
তিনবারের বেশি পানি ব্যবহার করলে তা অপচয় হিসেবে গণ্য হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 227 views
...