আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
মিশকাত হাদিস নং ৪৬৬২ তে উল্লেখ আছে যে আদম (আ:) এর হায়াত থেকে ৪০ বছর দিয়ে দিতে বলেন। সে অনুযায়ী আজরাইল জান কবজ করতে আসলে আদম(আ:) তা অস্বীকার করেন। এবং নবি (স:) বলেন যে সেদিন থেকেই লিখে রাখা এবং স্বাক্ষী রাখা চালু করা হয়। কিন্তু আমরা জানি যে ৫০০০০ বছর আগে থেকেই তাকদির লিখে রাখা হয়।

১.উক্ত হাদিসে সেদিন  থেকে লিখে রাখা এবং স্বাক্ষী রাখা চালু করা হয় বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
২.৫০০০০ হাজার বছর আগে তাকদির লেখা হয়েছে তার সাথে কি উক্ত ৪৬৬২ নং হাদিসের "সেদিন থেকে লিখে রাখা এবং স্বাক্ষী রাখা চালু হয় " কথাটির বৈপরীত্য আছে?
ago by (3 points)
আমি জানতে চেয়েছি যে উক্ত হাদিসে "লিখে রাখা এবং স্বাক্ষী রাখা সেদিন থেকে চালু হয় "কথা দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে? 
এবং আমরা জানি যে মানুষ সৃষ্টির ৫০০০০ বছর আগে তকদির লিখে রাখা হয়েছে তাহলে এই হাদিসে বলা" লিখে রাখা এবং স্বাক্ষী সেদিন থেকে চালু হয় "কথা টি এর বিপরীত 

1 Answer

0 votes
ago by (64,590 points)
edited ago by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব,

হাদীসে বর্ণিত আছে যে,

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَسَقَطَ مِنْ ظَهْرِهِ كُلُّ نَسَمَةٍ هُوَ خَالِقُهَا مِنْ ذُرِّيَّتِهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَجَعَلَ بَيْنَ عَيْنَىْ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ وَبِيصًا مِنْ نُورٍ ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى آدَمَ فَقَالَ أَىْ رَبِّ مَنْ هَؤُلاَءِ قَالَ هَؤُلاَءِ ذُرِّيَّتُكَ فَرَأَى رَجُلاً مِنْهُمْ فَأَعْجَبَهُ وَبِيصُ مَا بَيْنَ عَيْنَيْهِ فَقَالَ أَىْ رَبِّ مَنْ هَذَا فَقَالَ هَذَا رَجُلٌ مِنْ آخِرِ الأُمَمِ مِنْ ذُرِّيَّتِكَ يُقَالُ لَهُ دَاوُدُ . فَقَالَ رَبِّ كَمْ جَعَلْتَ عُمْرَهُ قَالَ سِتِّينَ سَنَةً قَالَ أَىْ رَبِّ زِدْهُ مِنْ عُمْرِي أَرْبَعِينَ سَنَةً . فَلَمَّا انْقَضَى عُمْرُ آدَمَ جَاءَهُ مَلَكُ الْمَوْتِ فَقَالَ أَوَلَمْ يَبْقَ مِنْ عُمْرِي أَرْبَعُونَ سَنَةً قَالَ أَوَلَمْ تُعْطِهَا ابْنَكَ دَاوُدَ قَالَ فَجَحَدَ آدَمُ فَجَحَدَتْ ذُرِّيَّتُهُ وَنَسِيَ آدَمُ فَنَسِيَتْ ذُرِّيَّتُهُ وَخَطِئَ آدَمُ فَخَطِئَتْ ذُرِّيَّتُهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .

৩০৭৬. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ () বলেছেনঃ আল্লাহ্ তাআলা যখন আদম সৃষ্টি করলেন তখন তাঁর পিঠে হাত বুলালেন। এতে তাঁর যে সব সন্তান-সন্ততি কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ্ তাআলা সৃষ্টি করবেন সব প্রাণই তাঁর পিঠ থেকে বের হয়ে এল। প্রত্যেকটি মানুষের দু’চোখের মাঝে জ্যোতির ঔজ্জ্বল্য প্রকাশ করলেন। এরপর তাদের আদম (আলাইহিস সালাম)-এর সামনে পেশ করলন। তিনি বললেনঃ হে পরওয়ারদিগার এরা কারা? আল্লাহ্ বললেনঃ এরা তোমার বংশধর।

আদম (আলাইহিস সালাম) এদের আরো একজনকে দেখলেন। তার দু’চোখের মাঝের উজ্জ্বলতায় তিনি বিস্মিত হলেন। তিনি বললেনঃ হে আমার রব! এইটি কে? আল্লাহ্ বললেনঃ এ হলো তোমার সন্তানদের শেষের দিকের উম্মতদের একজন। তার নাম দাউদ। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ হে আমার রব! তার বয়স কত নির্ধারণ করেছেন?

আল্লাহ্ বললেনঃ ষাট বছর। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ হে আমার রব! আমার বয়স থেকে চল্লিশ বছর একে দিয়ে দিন।

পরে আদমের বয়স শেষ হলে মৃত্যুর ফিরিশতা তাঁর জান কবয করতে এলেন। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ আমার বয়স থেকে তো এখনও চল্লিশ বছর বাকী। মৃত্যুর ফিরিশতা বললেনঃ আপনি তো তা আপনার বংশধর দাউদকে দিয়েছিলেন। আদম (আলাইহিস সালাম) অস্বীকার করলেন ফলে তার বংশধররাও অস্বীকার করে; আদম ভুলে যান তাঁর সন্তানরাও ভুলে যায়; আদম ভূল করেন তাঁর সন্তানরাও ভূল করে। (আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু হুরায়রা ......... নবী () থেকে একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত আছে। (জামে' তিরমিযী) (হাদীস নং: ৩০৭৬ আন্তর্জাতিক নং: ৩০৭৬)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. সেদিন থেকে লিখে রাখা হয় এবং সাক্ষ্য রাখা হয় দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যে, আদম আঃ এর হায়াত থেকে নূহ আলাইহিস সালামকে যেই হায়াত দেওয়া হয়েছে তা লিখে রাখা হয়েছে এবং ফেরেশতারা এর সাক্ষী। কারণ, তাকদিরের যে দুটি প্রকার রয়েছে তার মধ্যে এটি তাকদিরে মুয়াল্লাকের অন্তর্ভুক্ত। যা বান্দার কাজের উপরে নির্ভর করে।  পরিবর্তন হতে পারে।  কিন্তু মুবরমের মধ্যে কোন পরিবর্তন ঘটে না, অপরিবর্তিত। আরো জানুন: https://ifatwa.info/74645/

২. জ্বী না! উভয় কথার মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। কারণ, যা পরে লেখা হয়েছে তা তাকবীরে মুয়াল্লাক এবং পূর্বে মুবরাম ও মুয়াল্লাক উভয়টাই লিপিবদ্ধ হয়েছে। বিধায় যা বান্দার কাজের উপরে নির্ভরশীল  তাতে পরিবর্তন হলে তাকদিরের সাথে বৈপরীত্য হয় না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...