ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় পাপ বা গোনাহ হলো-
আল্লাহ তায়ালা বান্দার জন্য যা যা পালন করাকে আবশ্যক করেছেন, তা থেকে বিরত থাকা, এবং যা যা হারাম করেছেন, তা পালন করা।
শয়তানের ধোঁকায় এবং নফসের প্ররোচনায় মানুষ বারবার গোনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ে। তবে গোনাহের মধ্যে অবিচল না থেকে আল্লাহর কাছে ফিরে আসা এবং তওবা করার জন্য আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে আহ্বান জানিয়েছেন। তওবা হলো- জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জগতের সবার গোনাহ মাফের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সর্বদা আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। কারণ আল্লাহ তায়ালার সার্বক্ষণিক সাহায্য ও অনুগ্রহ ছাড়া কারও পক্ষে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।
তাই গোনাহ থেকে রক্ষা পেতে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কিছু দোয়া পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। আবার মহান আল্লাহ তায়ালাও পবিত্র কোরআনে ক্ষমা পার্থনার কিছু আয়াত নাজিল করেছেন। নাযিলকৃত আয়াত ও দোয়াগুলো হলো—
এক. ‘রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা ওয়াহাব লানা মিল্লাদুনকা রাহমা- ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব। ’
এ দোয়া বেশি বেশি পাঠ করলে দ্বীনের পথে ও হেদায়েতের ওপর টিকে থাকা সহজ হয়। দোয়াটি পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত। যা সূরা আল ইমরানের ৮ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! হেদায়েত প্রদান করার পর আপনি আমাদের অন্তঃকরণকে বক্র করবেন না এবং আপনার নিকট থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন! নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর দাতা।
কোনো এক ব্যক্তির কোনো একটি নির্দিষ্ট গুনাহ করার ক্ষমতা নেই। এখন, সেই ব্যক্তি যদি ঐ নির্দিষ্ট গুনাহ থেকে বেচে থাকে, তাহলেও সে সওয়াব পাবে। কেনান সে আল্লাহর বিধানকে মেনেছে।