ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব,
হাদীসে বর্ণিত অনেকগুলো দরুদ শরীফ আছে। কিছু উল্লেখ করছিঃ
وَعَنْ
أَبِي مُحَمَّدٍ كَعْبِ بن عُجْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا
النَّبِيُّ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ عَلِمْنَا
كَيْفَ نُسَلِّمُ عَلَيْكَ، فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ ؟ قَالَ: «قُولُوا: اَللهم
صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ
إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجيدٌ . اَللهم بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وعَلَى آلِ
مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجْيدٌ»
আবূ মুহাম্মদ কা‘ব ইবনে ‘উজরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
(একদা) আমাদের নিকট এলে। আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনার প্রতি কিভাবে সালাম পেশ
করতে হয় তা জেনেছি, কিন্তু আপনার প্রতি দরূদ কিভাবে পাঠাব?’ তিনি বললেন, “তোমরা বলোঃ-
اَللهم
صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ
إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجيدٌ . اَللهم بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وعَلَى آلِ
مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجْيدٌ» .
যার অর্থ, হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ তথা মুহাম্মদের পরিবারবর্গের উপর দরুদ
পাঠ করো; যেমন দরূদ পেশ করেছিলে ইব্রাহীমের পরিবারবর্গের উপর। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও অতি
সম্মানার্হ। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ ও তাঁর পরিজনবর্গের প্রতি বরকত নাযিল কর;
যেমন বরকত নাযিল করেছ ইব্রাহীমের পরিজনবর্গের
প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও মহা সম্মানীয়।” (সহীহুল বুখারী ৩৩৭০,
৪৭৯৭,
৬৩৫৭,
মুসলিম ৪০৬,
তিরমিযী ৪৮৩,
নাসায়ী ১২৮৭-১২৮৯,
আবূ দাউদ ৯৭৬,
ইবনু মাজাহ ৯০৪,
আহমাদ ১৭৬৩৮,
১৭৬৩১,
১৭৬৬৭,
দারেমী ১৩৪২)
وَعَنْ
أَبي حُمَيدٍ السَّاعِدِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى
الله عليه وسلم كَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ ؟ قَالَ: «قُولُوا: اَللهم صَلِّ عَلَى
مُحَمَّدٍ، وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ
إبْرَاهِيمَ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ،
كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ إنَّكَ حَميدٌ مَجِيدٌ»
আবূ হুমাইদ সায়েদী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন,
লোকেরা বলল,
‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা
কিভাবে আপনার প্রতি দরূদ পেশ করব?’ তিনি বললেন, “তোমরা বলো,
اَللهم
صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا صَلَّيْتَ
عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى أَزْوَاجِهِ
وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ إنَّكَ حَميدٌ مَجِيدٌ»
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ,
তাঁর পত্নীগণ ও তাঁর বংশধরের উপর সালাত
পেশ কর; যেমন তুমি ইব্রাহীমের বংশধরের উপর সালাত পেশ করেছ। আর তুমি মুহাম্মদ,
তাঁর পত্নীগণ ও তাঁর বংশধরের উপর বরকত
বর্ষণ কর যেমন তুমি ইবরাহীমের বংশধরের উপর বরকত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত।
(সহীহুল বুখারী ২৩৬৯, ৬৩৬০, মুসলিম ৪০৭, নাসায়ী ১২৯৪, আবূ দাউদ ৯৭৯, ইবনু মাজাহ ৯০৫, আহমাদ ২৩০৮৯, মুওয়াত্তা মালিক ৩৯৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. জ্বী না এটি প্রতারণা
হবে না। যেহেতু আপনার স্বামী আপনার দ্বীনদারিতাকে প্রাধাণ্য দিয়েছেন বিধায় এই
বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা মোটেও উচিত হবে না।
২. সাধারণত সর্বোত্তম দুরূদ
হচ্ছে দুরূদে ইব্রাহীম। আমরা সবাই যা সালাতে পাঠ করে থাকি। আপনি দুরূদে ইব্রাহীম পড়ে
যে সওয়াব ও ফজীলত পাবেন, অন্য কোন
দুরুদ পড়ে তার সমান সওয়াব ও ফযীলত পাবেন না। তবে
হাদিসে বর্ণিত যে কোন দুরুদ পাঠের ক্ষেত্রে
ভালোবাসার সাথে পাঠ করা উচিত। এবং যে যত বেশি
পাঠ করবে অবশ্যই সে দরুদ পাঠের ফজিলত প্রাপ্ত হবে ইনশাআল্লাহ।
৩. তাওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-
(বান্দার হক থাকলে আগে সেটি
আদায় করে আসতে হবে,বা তার
কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে।)
এক. পূর্বের গোনাহের জন্য
লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।
দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার
ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।
তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট
ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আর ইস্তেগফার হল শুধু মৌখিকভাবে
আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।
★তবে শুরুতে ২ রাকাত তাওবার
নফল নামাজ পড়ার পর তওবা করা উত্তম, সুন্দর পদ্ধতি, এটাই বুযুর্গানে দ্বীনদের বাতলিয়ে দেওয়া
আমল।
আরো বিস্তারিত জানুন:- https://ifatwa.info/105859/