ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব,
https://ifatwa.info/2721/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
পেশাব করার পর আসলে আমরা পুরুষরা
এই জন্যই টিস্যু ব্যবহার করি যে,ডাক্তাদের মত অনুযায়ী (পেশাবের রগ একটু বাকা হওয়ার
কারনে) আমাদের অনেকের পেশাবের পর ফোটা ফোটা
করে আরো কিছু পেশাব পড়ে, যা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য আমরা আগে টিস্যু ব্যবহার করি,তারপর যখন নিশ্চিত হই যে আর ফোটা ফোটা বের হবেনা। তখন আমরা উক্ত জায়গা পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
পেশাব থেকে পবিত্র হওয়া আবশ্যক। এখন কারো পেশাব করে পানি ব্যবহার করা দ্বারাই সে
পবিত্র হয়ে যায়। তার পেশাব ঝরে না। আবার কারো একটু বসে থাকলে,
একটু দাড়ালে,
নড়াচড়া করলে অবশিষ্ট পেশাব বের হয়।
যার যেভাবে পবিত্র হয়, সে সেইভাবে পবিত্র হবে। পবিত্র হওয়াটা উদ্দেশ্য । যেন কিছুতেই শরীরে পেশাবের ছিটা
না পড়ে।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ:
مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ”
إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا:
فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا
الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে
অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে
সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}
عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ
الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ: «إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ»
হযরত ঈসাব বিন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন,
যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে,
তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার
ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩২৬}
وَمَنْ اسْتَجْمَرَ
فَلْيُوتِرْ، مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ، وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ
যে ব্যক্তি ঢিলা/টিস্যু ব্যবহার করে সে
যেন বেজোড় ব্যবহার করে। যে তা করবে সে উত্তম কাজ করল,
আর যে করেনি তাতে কোন সমস্যা নেই।
{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫}
ইস্তেঞ্জার সেই টিস্যুর যেই অংশ আপনার হাতে/কাপড়ে লেগেছে,সেই অংশ কি ভেজা ছিলো?
যদি শুকনো অংশ আপনার শরীরে/কাপড়ে লেগে থাকে,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই। আর যদি ভেজা অংশ শরীরে/কাপড়ে
লেগে যায়,তাহলে আপনার শরীর,কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে হাত ও কাপড়ে লাগা পুরো নাপাকি যদি এক দিরহাম
থেকে কম হয়,সেক্ষেত্রে সেটি মাফ। এ অবস্থায় নামাজ পড়লে নামাজ হয়ে যাবে। আর যদি সেই নাপাকি এক
দিরহাম সমপরিমাণ হয় বা তার চেয়ে বেশি হয়। তাহলে সেই স্থান পাক না করলে নামাজ হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/5372/
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. পেশাব যেহেতু নাপাক,তাই সেই পেশাব যুক্ত হাত বা টিস্যুও নাপাক।
যেহেতু উল্লেখিত টিস্যু ভেজা,
তাই সেই ভেজা অংশ হাতে লাগলে হাত নাপাক
হয়ে যাবে। তবে শুকনো স্থান হাতে লাগলে হাত নাপাক হবেনা। মোটকথা হাতে পেশাব না লাগলে হাত ধোয়া
জরুরি নয়। তবে পেশাব করার পর হাত দিয়ে টিস্যু ধরলে বা হাত লজ্জাস্থানে লাগলে অনেক ক্ষেত্রে
হাতে পেশাব লেগেই যায়, তাই সতর্কতামূলক সেই হাত ধোয়া লাগবে।
২. আপনার যদি শুধু পানি ব্যবহার করলেই
চলে, আপনি যদি নিশ্চিত হোন যে আপনার আর পরবর্তীতে ফোটা ফোটা পরবেনা, তাহলে আপনার টিস্যু ব্যবহারের করার কোন প্রয়োজন নেই । যেই পানির কথা
আপনি বলেছেন, সেটা যদি পেশাবের রাস্তা থেকে বের না হয়, শুধু মাত্র শরীরের সাথে লেগে থাকে,
তাহলে তা পবিত্র। এটা আর টিস্যু দিয়ে
মুছে ফেলতে হবেনা। আর যদি আপনার মনে হয় যে পরবর্তীতে আপনার ফোটা ফোটা করে পেশাব পড়ে,
তাহলে আপনাকে অবশ্যই টিস্যু বা অন্য
কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করতেই হবে।