আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
মুফতি ইমদাদুল হক সাহেবের কাছে প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম
১.আমার গত এক প্রশ্নের জবাবে আপনি বলেছিলেন যে তালাকের অধিকার প্রাপ্ত মহিলা তালাক হয়ে যাক এই নিয়তে যদি বলে সংসার করবে না।তাহলে ও তালাক হয়ে যাবে।

আমার স্বামী আমাকে কাবিননামায় তালাকের অধিকার দেন নি।কিন্তু ঝগড়ার সময় তিনি বলতেন যে, "তোমার ডিভোর্স দেয়ার হলে তুমি দাও/সংসার না করার হলে না করো,সংসার বাদ দাও,সংসার করি ও না।তোমার লাগলে তুমি ডিভোর্স দাও" এসব বলতেন।এসব নাকি তিনি নিজে তালাক প্রদানের নিয়তে বলেন নি এবং আমাকে ও এসব বলতেন কারন উনি জানতেন যে শরীয়ত অনুযায়ী  মহিলারা তালাক দিতে পারে না,কিন্তু বাংলাদেশের আইনে কোর্টের মাধ্যমে মহিলারা তালাক দিতে পারে। আমিও জানতাম মহিলা তালাক দিতে পারে না।আমিও রাগের মাথায় উনার এসব কথার উত্তরে বলতাম যে , "হ্যাঁ সংসার করবো না,তোমার ভাত খাবো না।আমার বাসায় কল দিয়ে বলতাম যে এই ছেলের সাথে আমি থাকতে পারতেসি না।তোমরা ব্যবস্থা নাও।"এসব বলার সময় আমার আর সম্পর্ক টানার বা হাসবেন্ড এর সাথে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা থাকতোনা আমি চাইতাম আমার পরিবার/ হাসবেন্ড তালাকের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিক।আমার ওসব কথার দ্বারা ই সম্পর্ক /তালাক হয়ে যাক এই নিয়তে কিছু বলিনি কোনোদিন।কারণ আমি কোনোদিন তালাক গ্রহণ করিনি আর করবো ও না।

আমার উপরোক্ত কথাগুলোর জন্য সমস্যা হবে?

২.হাসবেন্ড এর সাথে স্বাভাবিক কথোপকথন এ হাসবেন্ড বলেছে, "ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে তোমাকে আমি চিনবো না।শুধু দিনের শেষ এ চিনবো।"

তখন আমি জিগ্যেস করসি," তুমি কি এটা তা...ক এর নিয়তে বলসো?"

তখন উনি বলসেন,"না বলি নি।ওই নিয়তে বললে দিনের শেষ এ চিনবো কেনো বলসি? বলসি কারণ ফেব্রুয়ারী থেকে পড়াশোনা করবো শুধু।

আমার এসব এর জন্য কি সমস্যা হবে?

জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (633,180 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 248 views
...