আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লহ্, উস্তায।

আমার মা আল্লাহর নামসমূহ মুখস্থ করতে পেরেছেন আলহামদুলিল্লাহ্। তিনি আর রহমান, আর রহিম, আল মালিক, আল কুদ্দুস এভাবে "আল" যুক্ত করে মুখস্থ করেছেন। এখন, জিকির করার সময় যেহেতু আলেমগণকে "ইয়া রহমান ইয়া রহিম বলে জিকির করতে শুনেছেন, তাই তিনিও ওভাবে চেষ্টা করেন কিন্তু যেহেতু অন্যভাবে মুখস্থ করেছেন তাই এভাবে তার গুলিয়ে যায় জিকিরের সময়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, এতে কি কোনো পার্থক্য হয়? জিকির ছাড়াও, দুয়া কিংবা মোনাজাতের মধ্যেও আল্লাহ্ কে যদি তার সুন্দর নামে ডাকতে চাই, তখন কি " ইয়া মালিক" এবং "আল মালিক" এর কারণে কোনো পার্থক্য হবে?
closed

1 Answer

0 votes
by (65,970 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব,

https://ifatwa.info/17651/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

 হাদীসে যেভাবে এসেছে সেভাবে সেই ক্রমে পড়াই উত্তম।

যিকির মানে স্বরণ করা, আল্লাহকে আল্লাহর গুনাগুনকে সম্মান ও আজমতের সাথে স্বরণ করা।

যিকির প্রসঙ্গে  আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻗُﻞِ ﺍﺩْﻋُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺃَﻭِ ﺍﺩْﻋُﻮﺍْ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦَ ﺃَﻳًّﺎ ﻣَّﺎ ﺗَﺪْﻋُﻮﺍْ ﻓَﻠَﻪُ ﺍﻷَﺳْﻤَﺎﺀ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰ-

(হে নবী আপনি) বলুনঃতোমরা  আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই তোমরা আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই।(সূরা বনী ইসরাঈল-১১০)

 ﻭَﻟِﻠّﻪِ ﺍﻷَﺳْﻤَﺎﺀ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰ ﻓَﺎﺩْﻋُﻮﻩُ ﺑِﻬَﺎ ﻭَﺫَﺭُﻭﺍْ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﻠْﺤِﺪُﻭﻥَ ﻓِﻲ ﺃَﺳْﻤَﺂﺋِﻪِ ﺳَﻴُﺠْﺰَﻭْﻥَ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ

আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে।

নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই তারা পাবে।(সূরা আ'রাফ ১৮০)

ﺳﺒﺢ ﺍﺳﻢ ﺭﺑﻚ ﺍﻷﻋﻠﻰ

অর্থ, তোমার প্রভূর নামের তাসবীহ পাঠ কর।

ﻗﺪ ﺃﻓﻠﺢ ﻣﻦ ﺗﺰﻛﻰ ﻭﺫﻛﺮ ﺍﺳﻢ ﺭﺑﻪ ﻓﺼﻠﻰ

এ আয়াতের মাঝেও বলাহয়েছেঃ প্রকৃত সফলকাম ঐ ব্যক্তি যে তার রবের নামের যিকির করে ৷ (সূরাঃ আ'লা-১৪-১৫)

এবং নবীজী সাঃ বলেন, হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ; ﺇِﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﺗِﺴْﻌَﺔً ﻭَﺗِﺴْﻌِﻴﻦَ ﺍﺳْﻤًﺎ ﻣِﺎﺋَﺔً ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﺍﺣِﺪًﺍ ﻣَﻦْ ﺃَﺣْﺼَﺎﻫَﺎ ﺩَﺧَﻞَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ

নবীজী সাঃ বলেন,নিশ্চয় আল্লাহর নিরান্নব্বইটা নাম রয়েছে,যে ব্যক্তি তা ঈমান ও আমলের সাথে ডাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সহীহ বুখারী-২৭৩৬)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

শুরুতে আলিফ-লামসহ ও আলিফ-লাম ছাড়া পড়ার দ্বারা অর্থগত কোন পরিবর্তন হবে না। তবে আরবী গ্রামার অনুপাতে ইয়া শব্দের পরে  আলিফ লাম ছাড়া সাধারণত ব্যবহার হয়।  ইয়া আল কুদ্দুসু , ইয়া আর রহমানু এভাবে সাধারণত ব্যবহার হয় না।  বরং ইয়া রহমানু ইয়া রাহিমু ইত্যাদী ব্যবহার হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...