আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
356 views
in সাওম (Fasting) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম,

প্রথমে একটা পরিস্থিতি বর্ণনা করি,

কোন একটি বাসায় দুজন শিশুসহ মোট  আটজন সদস্য রয়েছেন। তাদের সবার রান্নার দায়িত্ব একজনের। এজন্য সবমিলিয়ে তাকে দিনে মোট আটবার বিভিন্ন খাবার রান্না করতে হয় সাধারণভাবে।  এরকম অবস্থায় তাদের মধ্যে কেউ একজন যদি সোমবার ও বৃহস্পতিবার নফল রোজা রাখার নিয়ত করেন তাহলে যিনি রান্না করেন তাকে অতিরিক্ত আরো দুবার রান্না করতে হচ্ছে এবং এতে তার বেশ কষ্ট হচ্ছে। এখন যিনি রোজা রাখার নিয়ত করেছিলেন তার জন্য নফল রোজা রাখা টা উত্তম নাকি যিনি রান্না করছেন তার কষ্টের কথা বিবেচনা করে নফল রোজা না রেখে নিজে নিজে বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করা বা জিকির করা  উত্তম?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


রাসূল সাঃ নিজে বৃহস্পতি ও সোমবার রোজা রাখতেন। তাই এদিন রোজা রাখা রাসূল সাঃ এর সুন্নত।
 হাদীসে এসেছে-

عن أبى قتادة الأنصارى رضى الله عنه أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- سئل عن صوم الاثنين فقال « فيه ولدت وفيه أنزل على

হযরত আবু কাতাদা আনসারী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কে সোমবার দিনে রোযা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ এ দিন আমি জন্ম নিয়েছি, আর এদিনই আমার উপর [কুরআন] নাজিল হয়েছে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৮০৭, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-২১১৭, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-২৯২৬, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২৫৫০, সুনানে আবী দাউদ, হাদীস নং-২৪২৮}

عن ربيعة بن الغاز أنه سأل عائشة عن صيام رسول الله صلى الله عليه و سلم فقالت كان يتحرى صيام الاثنين والخميس

হযরত রাবীয়া বিন গাজ রহঃ হযরত আয়শা রাঃ এর কাছে রাসূল সাঃ এর রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি জবাবে বলেনঃ রাসূল সাঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোযা রাখার ব্যাপারে খুবই মনোযোগী ছিলেন। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৭৩৯, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৬৪৩, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-২৪৯৬, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহুয়া, হাদীস নং-১৬৬৫, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-৪৩৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৩১৫৪}

عن أبي هريرة : أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال تعرض الأعمال يوم الإثنين والخميس فأحب أن يعرض عملي وأنا صائم

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল উপস্থাপন করা হয় [আল্লাহর কাছে]। আর আমার আমল উপস্থাপন করার সময় রোযারত থাকাকে পছন্দ করছি। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৭৪৭, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-২৬৬৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২১৭৫৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৬১৭, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৫৪১, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৪১৯১}
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিজেরা রান্না করেই হোক বা অন্য কোনো মাধ্যমেই হোক,রোযাদার গন সাহরী ইফতারির আয়োজন করতে পারে। 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নফল রোযা উত্তম হবে নাকি নফল সালাত জিকির আদায় করা?
আসলে এই বিষয়টি ব্যাক্তির হালত (অবস্থা) হিসেবে বিভিন্ন হবে।
আর এটার আন্দাযা একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানবেন।
কারন কে কোন আমলের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্যপাপ্ত হয়,সেটি একমাত্র মহাম আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।
,
উক্ত রোযা আবশ্যকীয় রোযা নয়,আপনি চাইলে নাও রাখতে পারেন,কোনো গুনাহ নেই।
অনুমতি রয়েছে।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 522 views
...