আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু
আমি দীর্ঘদিন যাবত একটা অনুশোচনায় ভোগছি,,,

(১)

আমি যখন দ্বীনের কিছুই বুঝতাম না তখন আমার একটা ছেলে বন্ধু ছিলো(আস্তাগফিরুল্লাহ)
তখন আমার এক সহপাঠির সামনে সেই বন্ধ বলেছিলো চল বিয়ে করে ফেলি আমরা  তখন আমি  মোবাইলে বিবাহিত ছিলাম আমার হাজবেন্ড এর সাথে।আমাকে ৩ বার কবুল বলতে বলছিলো আমি বলছি দুষ্টামির ছলে সে ও বলছিলো কবুল,, ২ জনের কথাই আমাদের এক সহপাঠী শুনেছিলো,,,,
৩ বছর আগের কথা।
এখন আমি বিবাহিত,,, ওই ছেলে ও বিবাহিত।
এখন আমার অনেক ভয় হয় আমাদের কি সেদিন বিয়ে হয়েছিলো? এটার বিধান কি? করনীয় কি? আল্লাহ কিভাবে আমাকে মাফ করবেন?
(২)

আমার মোবাইলে যে বিয়ে হয়েছে ( পারিবারিক ভাবে) হাজবেন্ড ইউরোপ প্রবাসী।
বিয়ে হয়েছে অলমোস্ট ৩ বছর শেষ।
কিন্তুু সে এখনো বাংলাদেশ এ আসে নাই,,,,আসবো আসবো বলে শুধু সময় নিচ্ছে বার বার,,, আর বলে আমাদের ফিউচার এর জন্যি ভালো,,,(সিটিজেন কার্ড এর অপেক্ষা)

আমি সবসময় বলি এসব দেশ আমাদের জন্য ভালো না,,, আমি আলহামদুলিল্লাহ হারাম কিছুতে নাই যখন থেকে একটু দ্বীন বুজতে শিখেছি,,, এখন এবারের দেওয়া সময়ে ও যদি ওনি না আসেন তবে আমার করনীয় কি??
নির্দিষ্ট কোনো আমল আছে ওনাকে দেশে আনার!
আর আমার পরিবার বা আমি নেগেটিভ কিছু বুঝালে সে খুবি রিয়েক্ট করে মানে আমাকে হাড়াতে চায় না।
আমি কি ওনার এই বছরের পর বছর আল্লাহর দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করবো??
নাকি এবারের দেওয়া সময়ে না আসলে ভিন্ন চিন্তা করবো!! আমার কি দায়বদ্ধতা থাকবে??

জাযাকাল্লাহ খয়রান।

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/11771 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনাদের সেদিন বিবাহ হয়নি। সুতরাং এটি নিয়ে চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

তবে উক্ত কর্মকান্ড এবং বিবাহ পূর্বক ছেলে বন্ধু রাখা, হারাম রিলেশনে থাকা ইত্যাদি কারণে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে লজ্জিত হয়ে খালেস দিলে তওবা করতে হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে মোবাইলে আপনাদের বিবাহ কিভাবে হয়েছে? সেটি কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করলে ভাল হত।

কেননা আদৌ যদি বিবাহ শুদ্ধ না হয়ে থাকে, তাহলে তো সেউ ব্যক্তি আপনার স্বামীই না।

তাই তার জন্য অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই। সে আপনার গায়রে মাহরাম। আপনি দেশে কোনো দ্বীনদার ছেলের সাথে বিবাহ বসবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
বিয়ে যেভাবে হয়েছিলো- ছেলের সাথে ৪-৫ জন ছিলো (প্রবাসে) 
আমার সাথে আমার পরিবার+ ছেলের পক্ষের ২ জন ছিলো।
হুজুর বিবাহ পড়িয়েছেন ওনি ওখান থেকে কবুল বলেছেন আমি এখান থেকে।
কাবিন ও হয়েছে আমি সাইন দিয়েছি,,,ওনি দেন নি ( এসে দিবেন)
এক্ষেত্রে কি বিবাহ সহীহ হয় নি!  জানাবেন মিন ফাদলিক

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...