ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) হজ্ব এবং উমরাহর মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য রয়েছে। হজ্ব একটি ফরয বিধান।সামর্থবানদের উপর হজ্ব ফরয। হ্যা, ফরয আদায়ের পর নফল হিসেবেও হজ্ব করা যায়। হজ্বের নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট কিছু আমলের নাম। উমরাহ বৎসরের যেকোনো দিন করা যায়। উমরাহর পদ্ধতি হজ্ব থেকে কিছুটা পৃথক।
(২)
হজ্বে আরাফার দিনে দোয়া কবুল হয় এবং গুনাহও মাফ হয়। উমরাহতেও দোয়া কবুল হয়। উমরাহতে আরাফাহ এবং মুযদালিফায় কোনো কাজ নেই।বরং এগুলো হজ্বের সাথেই সীমাবদ্ধ।
আরাফার দিবসের দো‘আ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«خَيْرُ الدُّعَاءِ دُعَاءُ يَوْمِ عَرَفَةَ وَخَيْرُ مَا قُلْتُ أَنَا وَالنَّبِيُّونَ مِنْ قَبْلِى. لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِير»
‘উত্তম দো‘আ হচ্ছে আরাফার দিনের দো‘আ, আর সেই বাক্য যা আমি ও আমার পূর্ববতী নবীগণ বলেছি, (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।) ‘আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব ও সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ (তিরমিযী : ৩৫৭৫)
(৩)
হজের সফরে কাবা শরিফ ও তার সংলগ্ন দোয়া কবুলের স্থানগুলো হলো:
(১) প্রথম কাবা শরীফ দেখে
(২) মুলতাযাম( হাজরে আসওয়াদ এবং কাবার চৌকাঠের মধ্যেবর্তী আনুমানিক ২ মিটার জায়গা)
(৩) মিজাবে রহমত
(৪) বাইতুল্লাহ শরীফের ভিতর
(৫) জমজমের পানি পান করার সময়।
(৬) মাকামে ইব্রাহিম
(৭) সাফা মারওয়া
(৮) সাঈ
(৯) আরাফার মাঠে
(১০) মিনা ও মুযদালিফা
(১১) কঙ্কর নিক্ষেপের সময়
(১২) জামারাত তথা কঙ্কর নিক্ষেপন স্তম্বের পাশে
(১৩) হাতিম এবং রুকনে ইয়ামানির পাশে
(১৪) তাওয়াফের সময়
(১৫) জমজম কুপের পাশে
لما في الدر المختار :
"وهو من مواضع الإجابة وهي بمكة خمسة عشر نظمها صاحب النهر فقال:
دعاء البرايا يستجاب بكعبة … وملتزم والموقفين كذا الحجر
طواف وسعي مروتين وزمزم … مقام وميزاب جمارك تعتبر
زاد في اللباب: وعند رؤية الكعبة وعند السدرة والركن اليماني، وفي الحجر وفي منى في نصف ليلة البدر". (کتاب الحج،ھ:2،ص:507،508،سعید)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হজ্বের মত উমরাহতে অনেক জায়গায় দোয়া কবুল হয়। বিশেষ করে প্রথম কা'বা দেখে যে দু'আ করা হবে, সেই দু'আ কবুলের সম্ভাবনা খুবই বেশী, তাছাড়া তাওয়াফের সময়ও দু'আ কবুল হয়। আরাফা,মিনা ও মুযদালিফা
কঙ্কর নিক্ষেপ ও জামারাত যেহেতু উমরাহতে নেই, তাই এগুলো ব্যতিত অন্যান্য স্থানে দু'আ কবুল হতে পারে।
(৪) কাবা প্রথমবার দেখে যে দোয়া করা হয়, সেটা কবুলের সম্ভাবনা বেশী।