আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

উস্তাদ, কেউ যদি ফজর নামাজ শেষ করে দেখে যে, কয়েক মিনিট আগেই মাকরুহ টাইম শুরু হয়ে গিয়েছিল।

তাহলে কি নামাজ টা রিজেক্ট হয়ে যায়?

 কি নামাজটা কাযা পড়তে হবে?

ওযু করার পর যদি দেখে এমন অল্প সময় বাকি (১/২ মিন)যে, দু রাকাত পড়া সম্ভব না, তখন কি নামাজ শুরু না করে ইশরাক পর্যন্ত অপেক্ষা করবে?

1 Answer

0 votes
by (63,420 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

যদি নামাজ পড়ার মধ্যেই ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়, তাহলে তার ফরজ নামাজ আদায় হবেনা। পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। তবে ঐ দিনের আছরের নামাজ পড়তে পড়তে যদি সূর্য ডুবে যায়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই। নামাজ আদায় হয়ে যাবে।    (কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১৮৭)

উকবা বিন আমের জুহানী রাযি. বলেন,

ثَلاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا : حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ

তিনটি সময়ে রাসুল আমাদেরকে নামাজ পড়তে এবং মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতোক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে নিয়ে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত। যখন সূর্য অস্ত যায়। (সহীহ মুসলিম ১৩৭৩)

অন্য হাদীসে এসেছে-

عَنْ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ .

উকবা ইবনু আমির জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনটি সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সালাত আদায় করতে ও মৃত ব্যাক্তিকে কবরস্থ করতে নিষেধ করেছেন (১) যখন সুর্য আলোকিত হয়ে উদয় হয়, যাবৎ না ঊর্ধাকাশে উঠে; (২) যখন দ্বিপ্রহর হয়, যাবৎ না সুর্য হেলে পড়ে আর (৩) যখন সুর্য অস্ত যাওয়ার উপক্রম হয়, যাবৎ না সম্পূর্ণ অস্ত যায়।( সুনান আন-নাসায়ী ,৫৬১)

*তাশাহুদ পরিমান বৈঠক করার পর হুদুস অথবা নামাজ ভাঙ্গার কোনো কারণ সংঘটিত হলে উক্ত নামাজ সহীহ হয়ে যাবে।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عن عليِّ بن أبي طالب - رضي الله عنه - إذا جلسَ قدرَ التشهدِ ثم أحدثَ تمَّتْ صلاتُه.

যদি তাশাহহুদ পরিমাণ বৈঠক করে অতঃপর কোন হুদুস সংঘটিত হয় তাহলে তার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। (আল-খুলাসা, ১/৪৫০)

তবে এক্ষেত্রে অন্যান্য মাযহাবের ইমামদের মত বিরোধ রয়েছে, তারা বলেন যে এতে সে উক্ত নামাজই আদায় হয়ে যাবে। পুনরায় আদায় করতে হবেনা। সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। কোনো সমস্যা নেই।         

★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

আরো জানুনঃ  https://ifatwa.info/11201/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

সাধারণত তাশাহুদ পরিমান বৈঠক করার পর নিষিদ্ধ সময় (সূর্যাদয় হলে)  শুরু হলে তাহলে আপনার নামাজ সহীহ হয়ে যাবে। পুনরায় আর কাযা করা লাগবে না। আর যদি তাশাহুদ পরিমান বৈঠক করার আগেই নিষিদ্ধ সময় (সূর্যাদয় হলে) শুরু হলে তাহলে আপনার নামাজ হবে না। পুনরায় আপনাকে উক্ত নামাজ কাযা করতে হবে।

তবে আপনার বর্ণনা মতে ফজরের নামাযে থাকাবস্থায় সূর্যোদয় হয়েছে, তাই আপনার উক্ত নামায ফাসিদ বলে গণ্য হয়েছে। উক্ত নামায কাযা করতে হবে। যদি উক্ত সময়ের মধ্যে নামাজ শেষ করা কোন ভাবেই সম্ভব না হয় তাহলে ইশরাকের ওয়াক্তে ফজরের নামাজ কাযা আদায় করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...