بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
https://ifatwa.info/93121/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺒﺮِّ ﻭَﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯ ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ
ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ
তরজমাঃ সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের
ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।
সূরা মায়েদা-২
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ،
عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ،
ح وَعَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ
الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَخْرَجَ مَرْوَانُ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَبَدَأَ
بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا مَرْوَانُ خَالَفْتَ
السُّنَّةَ أَخْرَجْتَ الْمِنْبَرَ فِي يَوْمِ عِيدٍ وَلَمْ يَكُنْ يُخْرَجُ فِيهِ
وَبَدَأْتَ بِالْخُطْبَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ
مَنْ هَذَا قَالُوا فُلَانُ بْنُ فُلَانٍ . فَقَالَ أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا
عَلَيْهِ سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَأَى
مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ
فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ
وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ
"
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন,
একদা ‘ঈদের দিন মারওয়ান ঈদের মাঠে
মিম্বার স্থাপন করে সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করায় জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলেন,
হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাত বিরোধী কাজ
করলে। তুমি ‘ঈদের দিন বাইরে মিম্বার এনেছো এবং সলাতের পূর্বেই খুত্ববাহ শুরু করেছো।
অথচ ইতিপূর্বে (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খুলাফায়ি রাশিদীনের যুগে) কখনো
এমনটি করা হয়নি। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন,
লোকটি কে?
লোকজন বললো,
অমুকের পুত্র অমুক। তিনি বললেন,
সে তার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করেছে।
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ কেউ কোন গর্হিত (শারী‘আত
বিরোধী) কাজ সংঘটিত হতে দেখলে তাকে হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে। এরূপ করতে অক্ষম হলে তা
কথার দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি এতেও অক্ষম হয় তাহলে সে তা অন্তরে ঘৃণা করবে (বা তা
দূর করার উপায় অন্বেষনে চিন্তা-ভাবনা করবে)। তবে এটি হচ্ছে দুর্বলতম ঈমানের পরিচায়ক। (মুসলিম ,
ইবনু মাজাহ হাঃ ১২৭৫, হাঃ ৪০১৩), আহমাদ (৩/১০)
পন্য বয়কট সংক্রান্ত শরীয়তের বিধান জানুনঃ https://ifatwa.info/18568/
তবে অমুসলিমদের কেহ যদি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে,অন্যায় ভাবে নির্যাতন চালায়,অথবা কোনো মারাত্মক চক্রান্তে লিপ্ত থাকে,সেক্ষেত্রে ঈমানী দাবীর প্রেক্ষিতে তাদের উপর উলামায়ে
কেরামগন পন্য বর্জনের ডাক দিয়ে থাকেন। যেটি এক ধরনের আন্দোলন।
ঈমানের তাকাজা হিসেবে সেই আন্দোলনে
শরীক হয়ে পন্য বয়কট করা উচিত। তবে সেক্ষেত্রেও তাদের পন্য ক্রয় বিক্রয় করা নাজায়েজ
বা হারাম হবেনা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত প্রডাক্ট গুলি গ্রহণ করা নাজায়েজ নয় যদি
সেগুলো কোন হারাম পণ্য না হয়। (যদি সূদের টাকা হতে এগুলো দেয়,
সেক্ষেত্রে গরিব দরিদ্র ব্যাতিত কোনো
নেসাব পরিমান সম্পদের মালিকগন এগুলো নিতে পারবেনা।
যাকাত গ্রহনের উপযুক্তরাই কেবল ঐ প্রডাক্ট
গুলি নিতে পারবে।) তবে ঈমানী দাবিতে কেহ যদি ব্রাক বয়কট হিসেবে উপরোক্ত প্রডাক্ট গুলি গ্রহন না করে,
সেক্ষেত্রে তাহা ঈমানী জজবার পরিচায়ক
হবে। আরো জানুন : https://ifatwa.info/12431/
মেয়েদের প্রাইমারী স্কুলে চাকুরীর বিধান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/32530/