ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শুধুমাত্র বীর্যপাত হলেই গোসল ফরয হয়। বীর্যপাত ব্যতিত উত্তেজনার মুহূর্তে আরো একটি তরল পদার্থ বের হয়, যেটাকে মযি বলা হয়। মযি বের হলেও গোসল ফরয হবে না। বীর্য,মযি ও ওদী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1689
হযরত জাবির ইবনে যায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে,
نَظَرَ إِلَى امْرَأَتِهِ فِي رَمَضَانَ فَأَمْنَى مِنْ شَهْوَتِهَا، هَلْ يُفْطِرُ؟ قَالَ: «لَا، وَيُتِمُّ صَوْمَهُ
কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে কামভাবের সাথে তাকিয়েছে। ফলে তার বীর্যপাত ঘটেছে তার রোযা কি ভেঙ্গে গেছে? তিনি বললেন, ‘না। সে রোযা পূর্ণ করবে।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬-২৫৯, হাদীস নং-৯৪৮০]
وَقَالَ جَابِرُ بْنُ زَيْدٍ: «إِنْ نَظَرَ فَأَمْنَى يُتِمُّ صَوْمَهُ
হযরত জাবের বিন জায়েদ রহঃ বলেছেন, যদি নারীদের দিকে তাকানোর কারণে বীর্যপাত হলেও রোযা পূর্ণ করবে। [সহীহ বুখারী-১/২৫৮]
الصَّائِمُ إذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ حَتَّى أَمْنَى يَجِبُ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَهُوَ الْمُخْتَارُ كَذَا فِي التَّجْنِيسِ والولوالجية وَبِهِ قَالَ عَامَّةُ الْمَشَايِخِ كَذَا فِي النِّهَايَةِ (البحر الرائق، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم وما لا يفسده-2/475، وكذا فى الهندية-1/205، الباب الرابع فيما يفسد وما لا يفسد، كتاب الصوم)
(قَوْلُهُ: أَوْ احْتَلَمَ أَوْ أَنْزَلَ بِنَظَرٍ) أَيْ لَا يُفْطِرُ لِحَدِيثِ السُّنَنِ «لَا يُفْطِرُ مَنْ قَاءَ، وَلَا مَنْ احْتَلَمَ، وَلَا مَنْ احْتَجَمَ» وَلِأَنَّهُ لَمْ يُوجَدْ الْجِمَاعُ صُورَةً لِعَدَمِ الْإِيلَاجِ حَقِيقَةً، (البحر الرائق، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم وما لا يفسده-2/475
قَوْلُهُ وَكَذَا إذَا نَظَرَ إلَى امْرَأَةً) بِشَهْوَةٍ إلَى وَجْهِهَا أَوْ فَرْجِهَا كَرَّرَ النَّظَرَ أَوْ لَا لَا يُفْطِرُ إذَا أَنْزَلَ (فتح القدير، كتاب الصوم، باب ما يوجب القضا والكفارة-2/329، كذا فى الهندية، كتاب الصوم، الباب الرابع فيما يفسد الصوم ومالا يفسد–
"مس الصائم امرأته و أمذی لا یفسد صومه."(الفتاوي التتارخانية،2/ 281،ط. قديمي)
"و لا بأس بالقبلة إذا أمن على نفسه من الجماع و الإنزال و يكره إن لم يأمن والمس في جميع ذلك كالقبلة، كذا في التبيين ... أو كان شيخًا كبيرًا، هكذا في السراج الوهاج."(الفتاوی الهندية، كتاب الصوم، الباب الثالث فيما يكره للصائم وما لا يكره 1/ 200 ،ط : رشيديه)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) স্বামী একটু আদর করলে বা স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করলে, যেই তরল পদার্থ বের হয়ে থাকে, সেটাকে মযি বলা হয়ে থাকে। এদ্বারা রোজা ভঙ্গ হবে না। এবং গোসলও ফরজ হবে না।
(২) রোজা থাকা অবস্থায় শারীরিক উত্তেজনার কারনে কল্পনায় ঐসব ভাবতে থাকলে যদি কিছু বের হয়, তাহলে এদ্বারা রোযা ভঙ্গ হবে না এবং গোসলও ফরয হবে না।
(৩) কাল্পনিক উত্তেজনার যদি কিছু বের হয়, তাহলে এদ্বারা রোযা ভঙ্গ হবে না এবং গোসলও ফরয হবে না।
(৪) এমন কল্পনা করে বীর্যপাত হলে রোযা ভঙ্গ হবে। তবে শুধুমাত্রে কল্পনার দ্বারা সাধারণত বীর্যপাত হয় না।
(৫) বীর্যপাত হয়েছি কি না? সেটা যাচাই-বাছাই করার জন্য যদি গোপনাঙ্গে আঙ্গুল ঢোকানো হয়, এতে রোযা ফাসিদ হবে না। তবে ভিজা আঙ্গুল প্রবেশ করালে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৬) যাচাই-বাছাই করার সময় উত্তেজিত হলে,সেটাকে হস্তমৈথুন বিবেচনা করা যাবে না।এবং এজন্য রোজাও ফাসিদ হবে না।
(৭) কেউ যদি মনে করে তার গোসল ফরজ হয় নাই। সে জন্য সে ফরজ গোসল করে নাই,অথচ তার উপর গোসল ফরজ ছিলো, তাহরে তাকে পূনরায় নামাজগুলো পুনরায় পড়তে হবে।
(৮) কেউ যদি রোজা থাকাবস্থায় ফরয গোসল নিয়ে সন্দিহান থাকে, এজন্য সে রোযাদারের মত হালকাভাবে ফরজ গোসল করে। কিন্তু বাস্তবে তার উপর গোসলই ফরয ছিলনা, এজন্য তার পবিত্রতা অর্জনে কোনো সমস্যা হবে না।
(৯) কল্পনার মাধ্যমে বীর্যপাত হলে রোজা ভেঙ্গে যায়,কিন্তু সাধারণত কল্পনার কারষে বীর্যপাত হয়না বরং মযি নির্গত হয়। যেই জায়গায় রোযা ভঙ্গের কথা বলা হয়েছে, সেখানে বীর্যপাত হয়েছে, সেটা ধরে নিয়ে বলা হয়েছে। নতুবা কল্পনা দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয় না।