আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমার দাদার বোন মারা যাওয়ার ১৫ বছর হয়ে গেছে।আমার দাদাও মারা গেছেন। আমার দাদার সম্পত্তি উনার ছেলেদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েগেছেন।দাদার বোন প্যারালাইজড ছিলেন।উনার কোনো ছেলে নাই এক মেয়ে আছে।মারা যাওয়ার সময় দাদা উনার দেখাশুনা করেছেন।উনি বেঁচে থাকতে সম্পদের কোনো হক চাননি।এখন উনার মেয়ে মায়ের সম্পদের ভাগ চাচ্ছেন।দাদাও বেঁচে নেই,সম্পদও ভাগাভাগি হয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময় পরে এসে উনি সম্পদের ভাগ চাচ্ছেন।এখন কি সম্পদের ভাগ দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তা’আলা বলেন,
 
 يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا
 
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। (সূরা নিসা-১১)       
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত শুরুতে আপনার দাদার বোনের উপর আপনার দাদা জুলুম করেছেন।

আপনার দাদার বাবা মা মারা যাওয়ার পর তাদের সম্পদের যতটুকু অংশ শরীয়তের আইন অনুযায়ী আপনার দাদার বোন পাবে, সেটা তার জীবদ্দশায় তাকে অবশ্যই দিতে হতো।

তিনি চান আর না চান এতে কিছু আসে যায় না,এটা তার সম্পদ তার সম্পদ তাকে অবশ্যই বুঝিয়ে দিতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার দাদার বোনের জীবদ্দশায় তার সম্পদ তাকে বুঝিয়ে না দিয়ে তার ওপর অন্যায় করা হয়েছে।

★প্রশ্ন উল্লেখিত শুরুতে আপনার দাদার বোনের মেয়ে যে তার সম্পদের হক চাচ্ছেন, এটা অবশ্যই তার অধিকার।

এ অধিকার থেকে তাকে কোনভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না।

শরীয়তের বিধান অনুসারে আপনার দাদার বোন তার বাবা-মা এর সম্পদ হতে যতটুকু অংশ পাওয়ার অধিকার রাখেন, তার সম্পূর্ণ অর্ধেক অংশ পাবেন আপনার দাদার বোনের মেয়ে।

আর বাকি অর্ধেক অংশ পাবেন আপনার দাদা যদি তার আর অন্য কোন ওয়ারিশ না থাকে।

সুতরাং আপনার দাদার বোনের যতটুকু সম্পদ পাওয়ার অধিকার ছিল তার অর্ধেক সম্পদ অবশ্যই এখন আপনার দাদার বোনের মেয়েকে দিতে হবে।

নতুবা কিয়ামতের ময়দানে সকলকেই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...