ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/66696/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
কার সাথে কার
বিয়ে হবে সেটা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে
ইরশাদ করেছেন,
وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا [٧٨:٨
আমি তোমাদেরকে
জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, {সূরা নাবা-৮}
,
সুতরাং বুঝা
গেল জীবনসঙ্গী কে হবে? তা আল্লাহ তাআলা জানেন। নির্ধারিত
রয়েছে। কিন্তু বান্দা জানে না। তাই বান্দা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ভাল পাত্রি/পাত্র দেখে
বিবাহ করতে।
হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ
ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা
প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর
পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে। (ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)।
,
https://ifatwa.info/25636/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
জন্ম মৃত্যুর
মত বিয়ে শাদী ইত্যাদি সবকিছুই নির্ধারিত রয়েছে। তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।তাকদীরে
যার সাথে বিয়ের কথা লিখিত রয়েছে, তার সাথেই বিয়ে হবে। হ্যাঁ তাকদীরে যা
লিখা রয়েছে, তা দু'আর মাধ্যমে পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে।
,
হযরত সালমান
ফারসি রাযি থেকে বর্ণিত,
سَلْمَانَ رضي الله عنه ، قَالَ: قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا
يَرُدُّ القَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ، وَلَا يَزِيدُ فِي العُمْرِ إِلَّا البِرُّ
রাসূলুল্লাহ
সাঃ বলেন,তাকদীরকে দু'আ ব্যতীত অন্যকিছু বদলাতে পারে না। আর নেকী ব্যতীত অন্যকিছু
হায়াতকে বৃদ্ধি করবে না।(সুনানু তিরমিযি-২১৩৯)
,
কুফু সম্পর্কে
বিস্তারিত জানুনঃ https://www.ifatwa.info/4541/
ইস্তেখারার
নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/14451/
,
https://ifatwa.info/44421/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও প্রেম ভালবাসা হারাম।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
.............. وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ
خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ
يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
..........পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো
কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর।
আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর।
বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (সূরা বাকারা-২১৬)
,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
,
কে তার জন্য কল্যাণকর আর কে অকল্যাণকর? তা আল্লাহই ভালো জানেন। সুতরাং নির্দিষ্টকরে কাউকে পাওয়ার
জন্য দু'আ না করে বরং যা তার জন্য কল্যাণকর হবে, যিনি তার জন্য কল্যাণকর হবেন, তার জন্যই তিনি দু'আ করবেন।
,
আল্লাহর কাছে এভাবে দু'আ
করবেন,
হে আল্লাহ! যে আমার জন্য কল্যাণকর হবে, তাকেই আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে দিয়ে দেন। অথবা ঐ মেয়ে যদি আমার
জন্য কল্যাণকর হয়, তাহলে তাকেই আমার জন্য জীবন সাথী বানিয়ে
দিন।