আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
মুহতারাম মুফতি সাহেব,

আমি একজন বিবাহের উপযুক্ত পাত্র। পেশায় সরকারি চাকুরিজীবী(প্রকৌশলী), তাবলীগের দ্বীনি মেহনতের তিন চিল্লার সাথি। বিবাহের উদ্দেশ্যে দ্বীনদার সংঙ্গী খোঁজার আমাল চলমান।

সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার দ্বিধা ও সংশয় কাজ করছে। আমি জেনারেল শিক্ষিত হওয়ায়, জেনারেল শিক্ষিত দ্বীনদার পাত্রী চিন্তা-ভাবনায় ক্লোজ ম্যাচিং হবে বলে মনে হয়। কিন্ত, যখন দ্বীনি মজমায় বসি, হক্কানী উলামায়ে কেরামের সহবতে বসি, ইলমে দ্বীনওয়ালাদের মর্যাদার কথা শুনি তখন কুরআন/এলেম ওয়ালাদের ব্যাপারে আকর্ষণ অনুভব করি। যেহেতু, দুনিয়ার জাগতিক ডিগ্রি ও পরিচয় আখেরাতে কোন উপকার পৌঁছাবেনা। তবে হাফেজ/আলেমদের আলাদা মর্যাদার কথা বলা হয়েছে।

এখন সাধারণ শিক্ষিত হিসেবে আলেমা/হাফেজাকে বিয়ে না করলে কি আখেরাতকে কম প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে? দুজনেই জেনারেল দ্বীনদার হলে হেদায়েত হতে বিচ্যুত হবার আশঙ্কার ওয়াসওয়াসা কাজ করে। তা কি অমুলক?

তাই, সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ আফিয়াতের ব্যাপারে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত কি হবে?
by
জেনারেল জেনারেল দ্বীনদার জীবনসঙ্গী উত্তম।আমরা জেনারেল হয়ে বড় আলেম পরিবারের একজন আলেমা এনেছি আমার ভাইয়ার জন্য আল্লহর হুকুমে,আমার ভাইয়াও একজন প্রকৌশলী আলহামদুলিল্লাহ ।কিন্তু এখন তার ভয়ে থাকতে হয়।বিলাসিতায় ভরপুর। সবসময় নিজেরটাই বুঝে পাশের মানুষের অবস্থা বুঝে না।হিংসা অহংকার,রিয়ার যেন পা মাটিতে পরে না। নিজেকে জান্নাতি মনে করা আর জেনারেলদের খারাপ মনে করাই বোধহয় অনেক আলেমাদের কাজ।ম্যাচ হয় না পরিবারের সাথে।আমাদের পরিবারের দ্বীনহীন নই প্রাক্টিসিং ম্যাক্সিমাম,। বিয়ের ৮ বছরে আমার ভাবিকে কখনও রান্না করতে হয়নি,খাবার পরে প্লেটও ধুইতে হয়নি। বছরে ১৫-১৬ টা ড্রেস নিবে।এইদিকে তার ননদ বছরে ২ টা ড্রেস নেয় সেদিকে হিসেব নেই।আবার পূর্বের পছন্দ করা টাইপ অব বয়ফ্রেন্ড তাদের সাথে চুটিয়ে চ্যাটিং করা কথা বলা,ক্বুরআন তার কাছে পড়া সবই চলে।এটা আমিই জানি বাসায় বললে সংসার তচনস হয়ে যাবে।(আল্লাহ না করুন)।আমাদের বাসায় আমরা কেওই দোষ ধরি না বা তার সাথে কিচ্ছু বলি না,তাও চাইবে একা থাকতে।কিন্তু এটাও সম্ভব হচ্ছে না কারন আমার পড়াশুনা আর আব্বু আম্মুকে একা থাকতে না দেয়া এজন্য ভাইয়া আলাদা হতে চাননা।আমার পড়াশুনার খরচ কেন দেয়া হয় সেটা নিয়ে তুমুল মান অভিমান।আমার জন্য বিয়ের প্রপোজাল আসলে মান অভিমান এত্তো পরিমাণে করে কী বলব! মানে কী চায় আল্লাহই ভালো জানে।সব মিলিয়ে কি বলবো পারি না বাসা ছেড়ে চলে যেতে আল্লাহ আটকে রেখেছেন পরীক্ষা নেন কী না!
ভালোর মধ্যে বোরকা হাতমুজা পা মুজা পড়েন,নামাজ পাচ ওয়াক্ত পড়েন,আস্তে কথা বলে,অনেক বেশি মিশুক+কথায় পারদর্শী এইতো....আলেমা পেয়েছি দ্বীনদার পাইনি।চোখের সামনে ভাইয়ের জীবনটাও নাজেহাল অবস্থা। আয় ১০ টাকা হলে খরচ ১৫ টাকা করে বসে থাকার মতো মানুষ হলে যা হয়।আল্লাহ মাফ করুন
সবাই খারাপ এমনটা না।তবে আমার দেখা সবাই এমন।
আপনার জন্য দুয়া রইল।কওমীয়ান দেখতে পারেন,তবে খুব সতর্কতার সাথে যাচাই বাছাই করে নিতে পারেন,মিষ্টি কথা বলা,বেশি মিশুক এগুলো এড়ায়ে চলতে পারলে ভালো।জেনারেল জেনারেই ভালো মনে হয়।এক্সপেরিয়েন্স থেকে বলা

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

রাসুলুল্লাহ সাঃ উক্ত হাদীসে বলেছেনঃ
তোমরা ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)।
,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
রাসুলুল্লাহ সাঃ এক্ষেত্রে দ্বীনদার মহিলাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন উক্ত মহিলার আলেমা বা হাফেজা হতেই হবে বিষয়টি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় মূলত দ্বীনদার হলে যথেষ্ট।

সুতরাং প্রশ্নে আলেমা/হাফেজাকে বিয়ে না করলে আখেরাতকে কম প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে,এমনটি বলা যাবেনা। 

দুজনেই জেনারেল দ্বীনদার হলে হেদায়েত হতে বিচ্যুত হবার আশঙ্কার ওয়াসওয়াসা কাজ করলে তা অমুলক বলেই বিবেচিত হবে।

ওই দ্বীনের পথে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবেন, সুতরাং আশা করি হেদায়াতের পথ হতে বিচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা নেই।

বিশেষ করে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে উভয়ে যুক্ত থাকবেন। বাসায় তা'লিম চালু রাখবেন,সুন্নাতের উপর আমল চালু রাখবেন, মাঝে মাঝে স্ত্রীকে নিয়ে মাস্তুরাত জামাতে যাবেন ইনশাআল্লাহ কোন সমস্যা হবে না।

সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ আফিয়াতের ব্যাপারে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত হবে দ্বীনদারকে বিবাহ করা। 
চাই সে মাদ্রাসা পড়ুয়া হোক,চাই জেনারেল পড়ুয়া হোক,দ্বীনদার ও কুফুর অন্যান্য বিষয়ে সামঞ্জস্যতা থাকলেই হলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...