আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
edited by

প্রশ্ন,https://ifatwa.info/110498/ হুজুর পরিবার কে আমাদের কথা বা সম্পর্কে জানিয়ে সোজা কথা যেইভাবে পারি পারিবারিক ভাবে বিয়ের জন্য রাজি করিয়ে আমি মেয়েকে পারিবারিক ভাবে ও বিয়ে করে উঠিয়ে আনবো বা বিয়ে করে উঠিয়ে আনবো কিন্ত তা সময় হলে আর মেয়ের আর আমার কুফু ও সমান হয়ত এইটা ও বলতে পারি আমার অবস্থান মেয়ের থেকে ও উপরে মানে কুফু মেয়ের থেকে কম না আমার এইটা ঠিক তো যেহেতু বল্লামি সময় হলে পরিবার কে জানিয়ে পারিবারিক ভাবে ও বিয়ে করে নিবো আর মেয়েকে ও উঠিয়ে আনবো যেহেতু ওই বিবাহটা পরিবার সহ সবাইকে আমাদের বিয়ে সম্পর্কে অবগত করতে হবে এখন এর বিবাহটা শুধু কিছু মানুষ এই জানে এইটা কেউ কে জানাবো না পারিবারিক ভাবে বিয়ের জন্য রাজি করাইয়া ইনশাআল্লাহ কয়েক বছর পরে পারিবারিক ভাবে ও বিয়ে করে আনবো  কিন্ত এখন আমাকে হুজর আমি নামাজ নিয়ে যেইটা জিজ্ঞাসা করসি ওই ব্যাপারেও পরামর্শ দিলে ভালো হতো।
 

আর হুজুর আগের প্রশ্নে শেষ প্রশবটার ও জবাব দেন নাই তা ও দিয়েন আর আমি আপনার কথা মতাভেক এই অভ্যাস টা ও পরিহার করার চেষ্টা করবো দ্রুত।

এবং হুজুর আমরা যে এখন বিবাহ করেছি আপনি বলেছেন গোপন জিনার মতই আমরা বুজি এইভাবে করা উচিত না কিন্ত আমরা করেছি যেন হালাল সম্পর্কে থাকি তাই তো আমাদের সম্পর্ক তো ঠিক আছে হুজুর প্লিস বলবেন।

সব কথা উত্তর দিয়েন উস্তাদ।

1 Answer

0 votes
by (65,520 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল  আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দু’জন মুসলিম পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা স্বাক্ষীর সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষ পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। সুতরাং বিয়ের মজলিসে সাক্ষীর উপস্থিত ছাড়া বিয়ে সহীহ হবে না।

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ لا نِكَاحَ إِلا بِوَلِيٍّ وَشَاهِدَيْ عَدْلٍ ، وَمَا كَانَ مِنْ نِكَاحٍ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ ، فَهُوَ بَاطِلٌ

আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্  বলেছেন, অভিবাক ও দু’জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিত বিয়ে শুদ্ধ হয় না। যে বিবাহ অভিবাক ও সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিত হবে তা বাতিল। (সহিহ ইবন হিব্বান ৪০৭৫)

ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

যদি উপরে উল্লেখিত শর্ত মেনে কমপক্ষে দুজন পুরুষ সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের সম্পর্ক বৈধ হিসেবে গণ্য হবে। তবে অনতিবিলম্বে পরিবারকে অবগত করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। আর আপনার নামাজ সম্পর্কিত প্রশ্নটি স্পষ্ট করে কমেন্টে লেখার বিনীত অনুরোধ করছি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (16 points)
হুজুর আমার আগের প্রশ্নে দেখলেই বুজবেন নামাজ এর ব্যাপার টা এবং বিবাহ আমার ২জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে মেয়ের পক্ষ হয়ে আমার বন্দু উকিল/প্রতিনিধি হয় আর সাক্ষীর সামনে আমরা ইজাব কবুল করি তো বিবাহ হয়েছে তা জানি আগে ও তা নিশ্চিত করেছি আমি শুধু হুজুর আগের প্রশ্নে যেই জবাব দিয়েছে তা নিয়ে কিছু চিন্তিত হওয়ায় প্রশ্নটা করি এবং হুজুর আগের প্রশ্নে আমার নামাজ এর বিষয় টা দেখলেই বুজবেন।

//musterbate এর পরে হুজুর লজ্জাস্থান দিয়ে যেই পানি বের হয় যেইটা উত্তেজনা অবস্থায় ও হয় সহজ কথায় বীয না কিন্ত তরল করে তো ওইটা বের হলে তো কোন ফরজ গোসল হয় না শুধু অযু করলে বা অযু করা থাকলে তা break হয় তাই এমতাবস্থায় অযু করে নিলেই হবে কি উস্তাদ ?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...