আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ মোহতারাম।
আমি হলে থাকি।আমাদের কলেজ থেকে হলে ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।তারপরও হলের প্রায় সবাই ব্যবহার করেন এমনকি অনেকের ফ্রিজ ও আছে।স্যার / ম্যাম রাও জানেন এই বিষয়টা।তেমন কিছু বলেন না।বছরে একবার হয়তো হল সুপার এসে দেখে যান।কোনো পদক্ষেপ নেন না।তাদের মৌন সম্মতি আছে মনে হয়।একবার প্রিন্সিপাল স্যার একটা সেমিনারে বলছিলেন তোমরা হলে রান্না করো এতে আমার এত টাকা বিল দিতে হয়।স্যার ও জানে বিষয়টা।আমরা হলে রান্না না করলে খাবার সমস্যা হয়,কোনো সময় না খেয়েও থাকতে হয়।যেমন,রোজা রাখবো নিয়ত করেছি, কিন্তু খাবার না থাকায় থাকতে পারি নি।কলেজ ক্যান্টিনে প্রতিদিন রান্না করে না হুট হাট করেই বলে আজকে খাবার দিবে না।হোটেলে অর্ডার দিতে চাইলে অনেক সময় ফোন ধরে না। এখন শীত এর সময় একটু গরম পানি করে না নিলে গোসল ও ওযু করা অনেক কষ্ট হয় যায়,কিন্তু গরম পানি করতেও তো ওগুলা ব্যবহার করতে হবে,,,একটা পাবলিক মেডিক্যাল হিসেবে আমাদের যেই সুবিধা দেবার কথা,সেটা দেওয়া হয় না।এমনকি খাবারের সমস্যা টা পরীক্ষার আগের দিন বেশি হয় ,, হুট করে বলে দেয় আজকে ডাইনিং বন্ধ,,উল্লেখ্য প্রফেশনাল পরিক্ষায় বেশি ফি নেওয়া হয়।সেটা তো কলেজ ফান্ডেই জমা হয়।আমার প্রশ্ন হচ্ছে, স্যার যেই বেশি বিলের কথা বলছেন সেটা তো কোনো না কোনোভাবে আমাদের থেকেই পরিশোধ করছেন।তাহলে কি আমরা হলে রান্না করলে গুনাহ হবে? যেহেতু জানার পরও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এটাকে কি ওনাদের সম্মতি ধরে নেওয়া যায়?আমরা ৩/৪ জন যারা এবিষয়ে হারাম হালাল প্রশ্নে আপাদত রান্না বন্ধ রেখেছি।কিন্তু এতে আমাদের খুব সমস্যায় হচ্ছে। আমরা ভেবেছি যে আমাদের তো ফ্যান/ লাইট ব্যবহারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই,তো আমরা যদি টুকটাক রান্না করি ওই সময় টুকু বা তার চেয়ে বেশি সময় আমাদের ফ্যান /লাইটর বন্ধ রেখে বিদুৎ সাশ্রয় করি। তাহলেও কি গুনাহ হবে?।প্রয়োজনে পরবর্তীতে কিছু টাকা হিসাব করে কলেজ ফান্ডে জমা করে দিলাম। এখন আপাদত কোনো হোস্টেল সুপার নাই তাই অনুমতি আনতেও যেতে পারছি না।সরাসরি প্রিন্সিপাল স্যার এর কাছে গেলে আমাদের সমস্যার কথা পুরোপুরি বুঝানোর আগেই তিনি আমাদের সম্পূর্ণ কথা না শুনেই তিনি সরাসরি বলেন রান্নার করা যাবে না,বেশি প্রবলেম হলে বাইরে বাসা নিয়ে থাকতে,কিন্তু আমাদের সামর্থ্য নেই বাইরে বাসা নিয়ে থাকার। এই অবস্থায় আপনার পরামর্শ কামনা করছি।
জাযাকাল্লাহ খইরন