আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ মোহতারাম।

আমি হলে থাকি।আমাদের কলেজ থেকে হলে ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।তারপরও হলের প্রায় সবাই ব্যবহার করেন এমনকি অনেকের ফ্রিজ ও আছে।স্যার / ম্যাম রাও জানেন এই বিষয়টা।তেমন কিছু বলেন না।বছরে একবার হয়তো হল সুপার এসে দেখে যান।কোনো পদক্ষেপ নেন না।তাদের মৌন সম্মতি আছে মনে হয়।একবার প্রিন্সিপাল স্যার একটা সেমিনারে বলছিলেন তোমরা হলে রান্না করো এতে আমার এত টাকা বিল দিতে হয়।স্যার ও জানে বিষয়টা।আমরা হলে রান্না না করলে খাবার সমস্যা হয়,কোনো সময় না খেয়েও থাকতে হয়।যেমন,রোজা রাখবো নিয়ত করেছি, কিন্তু খাবার না থাকায় থাকতে পারি নি।কলেজ ক্যান্টিনে প্রতিদিন রান্না করে না হুট হাট করেই বলে আজকে খাবার দিবে না।হোটেলে অর্ডার দিতে চাইলে অনেক সময় ফোন ধরে না। এখন শীত এর সময় একটু গরম পানি করে না নিলে গোসল ও ওযু করা অনেক কষ্ট হয় যায়,কিন্তু গরম পানি করতেও তো ওগুলা ব্যবহার করতে হবে,,,একটা পাবলিক মেডিক্যাল হিসেবে আমাদের যেই সুবিধা দেবার কথা,সেটা দেওয়া হয় না।এমনকি খাবারের সমস্যা টা পরীক্ষার আগের দিন বেশি  হয় ,, হুট করে বলে দেয় আজকে ডাইনিং বন্ধ,,উল্লেখ্য প্রফেশনাল পরিক্ষায় বেশি ফি নেওয়া হয়।সেটা তো কলেজ ফান্ডেই জমা হয়।আমার প্রশ্ন হচ্ছে, স্যার যেই বেশি বিলের কথা বলছেন সেটা তো কোনো না কোনোভাবে আমাদের থেকেই পরিশোধ করছেন।তাহলে কি আমরা হলে রান্না করলে গুনাহ হবে? যেহেতু জানার পরও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এটাকে কি ওনাদের সম্মতি ধরে নেওয়া যায়?আমরা ৩/৪ জন যারা এবিষয়ে হারাম হালাল প্রশ্নে আপাদত রান্না বন্ধ রেখেছি।কিন্তু এতে আমাদের খুব সমস্যায় হচ্ছে। আমরা ভেবেছি যে আমাদের তো ফ্যান/ লাইট ব্যবহারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই,তো আমরা যদি টুকটাক রান্না করি ওই সময় টুকু বা তার চেয়ে বেশি সময় আমাদের ফ্যান /লাইটর বন্ধ রেখে বিদুৎ সাশ্রয় করি। তাহলেও কি গুনাহ হবে?।প্রয়োজনে পরবর্তীতে কিছু টাকা হিসাব করে কলেজ ফান্ডে জমা করে দিলাম। এখন আপাদত কোনো হোস্টেল সুপার নাই তাই অনুমতি আনতেও যেতে পারছি না।সরাসরি প্রিন্সিপাল স্যার এর কাছে গেলে আমাদের সমস্যার কথা পুরোপুরি বুঝানোর আগেই  তিনি আমাদের সম্পূর্ণ কথা না শুনেই তিনি সরাসরি বলেন রান্নার করা যাবে না,বেশি প্রবলেম হলে বাইরে বাসা নিয়ে থাকতে,কিন্তু আমাদের সামর্থ্য নেই বাইরে বাসা নিয়ে থাকার। এই অবস্থায় আপনার পরামর্শ কামনা করছি।


জাযাকাল্লাহ খইরন

1 Answer

0 votes
by (622,350 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হোষ্টেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত হিটার, কারেন্টের চুলা ইত্যাদি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ।হাউজ টিউটর ম্যামরা দেখেন,তবে কিছুই বলেন না, এদ্বারা বৈধতার হুকুম আসবে না, বরং হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ যদি বৈধতার হুকুম দেয়, বা অন্য কোনো সুবিধা যেমন চুলা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দেয়নি, তাহলে এমতাবস্থায় প্রয়োজন পূর্ণ করতে হিটার ব্যবহার করতে পারেন।যদি হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ সবকিছু ঠিকঠাকমতে দেয়, এরপরও কেউ হিটার ব্যবহার করে, তাহলে এমতাবস্থায় অনুমান করে ঐ পরিমাণ বিল হোষ্টেলের একাউন্টে জমা দিয়ে দিতে হবে। যদি হোষ্টেল কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করা সম্ভব না হয় বা একাউন্টে টাকা জমা দেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে কয়েকজন মিলে গ্যাসের চুলা ক্রয় করে নিবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/34844

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে ইলেক্ট্রনিক চুলা ব্যবহারের পূর্ণ অনুমোদন বুঝা যাচ্ছে না। তাই আপনার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিবেন । প্রয়োজনে টাকার বিনিময়ে অনুমতি নিয়ে নিবেন। অথবা গ্যাসের চুলা ব্যবহার করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...