ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
https://ifatwa.info/32009/ নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি
যে, ইসলাম মানুষকে যেসব উন্নত চরিত্রের শিক্ষা দেয়, তন্মধ্যে অন্যতম গুণ বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির বাস্তবায়ন। যেকোনো ভালো কাজের অঙ্গীকার
পূরণ করা ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনে ওয়াদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ হয়েছে,
يا ايها
الذين امنوا اوفوا بالعقود
'হে ইমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করবে।' (সুরা আল-মায়িদা, আয়াত : ১)
الا الذين
عاهدتم من المشركين.....
তবে যেসব মুশরিকের
সঙ্গে তোমরা চুক্তি করেছ, পরে তারা চুক্তি রক্ষার
ব্যাপারে কোনো ত্রুটি করেনি, আর তারা তোমাদের বিরুদ্ধে
কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সেই চুক্তি তোমরা
মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ করবে। অবশ্যই আল্লাহ দায়িত্বনিষ্ঠদের ভালোবাসেন।
(সুরা তাওবা, আয়াত ৪)
ওয়াদা (চুক্তি)
পালনকারীকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তার
জানা উচিত অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব
পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ
তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ
ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ
ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ!
তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে
যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ
তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে
আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى
اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ
বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের
মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
আরো জানুন-
https://www.ifatwa.info/3747
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত
ছুরতে আপনাদের পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী মৌখিক বেচাকেনার সাথে সাথে আপনারা টাকাও
গ্রহণ করেছেন। বিধায়, উক্ত দোলনাটির মালিক আপনাদের সেই আত্নীয়। তবে ক্রেতার উচিত
ছিল তার ক্রয়কৃত দোলনাটি আপনাদের বাসায় রাখার ক্ষেত্রে আপনাদের অনুমতি গ্রহণ করা। এখন
যদি আপনারা সেই দোলনাটি পুনরায় ক্রয় করতে চান তাহলে সেই (আত্নীয়) মালিকের সাথে কথা
বলে নতুন চুক্তির মাধ্যমে ক্রয় করা জায়েয আছে। তবে হ্যাঁ দোলনাটির মালিক যদি স্বেচ্ছায়
সন্তুষ্টির সাথে পূর্ব মূল্য তথা ১৫হাজার টাকার বিনিময়ে আপনাদের নিকট বিক্রি করে তাহলে
তা ক্রয় করা আপনাদের জন্য জায়েয আছে।