ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/52737/ নং
ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
لَا
یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا
عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُہٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ
مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَہۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُہُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ
لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا
حَلَفۡتُمۡ ؕ وَ احۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ
لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۸۹﴾
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে,
কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে
কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান
করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান,
কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর
যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফ্ফারা,
যদি তোমরা কসম কর,
আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাযত কর। এমনিভাবে
আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর। (সুরা মায়েদা
৮৯ নং আয়াত)
★ শপথ তিন প্রকার:
এক. যদি অতীত ঘটনা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা শপথ করা হয়,
তাকে 'ইয়ামিনে গুমুস' বা পাপে নিমজ্জিত শপথ বলা হয়। উদাহরণত,
কেউ কোনো কাজ করে জেনেশুনে শপথ করে
বলল যে সে কাজটি করেনি। এ মিথ্যা শপথ কবিরা গুনাহ। তবে এর জন্য কাফফারা ওয়াজিব হবে
না।
দুই. নিজ ধারণায় সত্য মনে করে কোনো অতীত ঘটনা সম্পর্কে শপথ করা।
অথচ বাস্তবে তা অসত্য। যেমন- কোনো অসমর্থিত সূত্রে জানা গেল,
অমুক ব্যক্তি এসে গেছে। এর ওপর নির্ভর
করে কেউ আল্লাহর নামে শপথ করে বলল, 'অমুক ব্যক্তি এসে গেছে।'
এরপর দেখা গেল,
এটি বাস্তবের বিপরীত। এ ধরনের শপথকে
'ইয়ামিনে লগ্ভ' বলা হয়।
এ ছাড়া অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখে শপথবাক্য উচ্চারিত হলে একেও 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বা অহেতুক শপথ বলা হয়। এ-জাতীয় শপথে কোনো গুনাহ নেই।
কাফফারাও দিতে হয় না।
তিন. আল্লাহর নাম নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ
করা। এ রকম শপথকে 'ইয়ামিনে মুনআকিদ' বা কার্যকর শপথ বলা হয়। এ শপথ ভঙ্গ করলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। এমনকি কোনো কোনো অবস্থায়
গুনাহও হয়।
আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/9671/
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো
কাজ করা বা না করার কসম করে থাকে, তাহলে এক্ষেত্রে কসম ভঙ্গ করলে কাফফারা আদায় করতে হবে। আপনি যেহেতু প্রশ্নের
বিবরণ মতে প্রতিটি কসমের কাফফারা স্বরুপ দশজন মিসকীনকে খাবার দান করার,
অথবা তাদের বস্ত্র দান করার উপর সামর্থবান
নন, তাই আপনি যদি প্রত্যেক কসমের কাফফারা স্বরুপ তিন টি করে রোযা রাখেন,
তাহলে কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য যে আপনি যদি একই ধরনের কাজ সম্পর্কে একাধিকবার কসম
করে একাধিক বার কসম ভেঙ্গে ফেলেন, তাহলে একটি কাফফারাই যথেষ্ট হবে।
আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/13796/