আসসালামু আলাইকুম। আমি বর্তমানে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের শেষ দিকে আছি। হলের জন্য আবেদন করি এবং ভাইবা ও দেই। এখন আমার ব্যাচ এর এক জন পেয়েছে কিন্তু সে উঠবে না কখনো। বরং সে সিট দখল করে রাখবে যেন ওর প্রয়োজনে উঠতে পারে। তার সিটে এখন অন্য আমাদের ব্যাচমেট উঠবে। এছাড়াও আগে থেকেই অন্য আপুর সিটে থাকতো এক আপু,সেই আপু ও সিট পায়। এখন উনার ঐ সিটে চাইলে উঠা যাবে, যেহেতু উনি আগে থেকেই অন্য আপুর সিটে থাকতো। এখন আমার ব্যাচমেট আমি উঠলে ঐ আপুর সাথে কথা বলবে। আমি উঠতে চাই,কারণ আমার অনেক প্রয়োজন সিট এর। কারণ আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো না এবং আমি প্রায়ই অসুস্থ থাকার কারণে আমার ডাক্তার ওষুধের পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এছাড়াও আমি বর্তমানে যে বাসায় থাকি সেখানে প্রায় বিভিন্ন সমস্যা হয়। আমি একা থাকতে পারিনা আবার রুমমেট এর প্রায়ই অনেক বন্ধ থাকে তো তাদের সবাইকে চলে যেতে হয়, তখন আমার একা থাকা নিয়ে অনেক সমস্যা হয় সেজন্য আমি ক্লাসও ঠিক মতন করতে পারি না অনেক সময়। এছাড়াও এখানে মাঝে মধ্যে পর্দা নিয়েও একটু সমস্যা হয়ে যায়। হলে যেহেতু সব মেয়েরা থাকে তাই ওখানে পর্দা নিয়ে তেমন কোন সমস্যা হয় না।। আমি যে হলে উঠতে চাই ওই হলে আমার অ্যাটাচমেন্ট দেয়া। এবার হয়নি কিন্তু একবার দেড় বছর পরে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর প্রতিটি হলে সিট দখল করে রাখে সবাই আর এটা অফিস থেকে সমাধান করে না। এই জন্য সিট পেতে অনেক সমস্যা হয়। ইল্লিগ্যাল ভাবে না উঠলে লিগালি সিট পেতে অনেক সময় লাগে প্রায় দেখা যায় ফাইনাল ইয়ারে সিট দেয়। যেহেতু এক বছর পরে হলেও আমি এই হলে সিট পেতে পারি ,সেই ক্ষেত্রে যে আপু থাকবেন না সিট রেখে দিয়েছে উনার সিটে কি আমি থাকতে পারবো? কাগজে কলমে উনার পরিচয় থাকবে। আমি না উঠলে অন্য কেউ উঠবে,তখন ঐ সিট ও দখল থাকবে। এমন অবস্থায় আমার করণীয় কি? আমি বুঝতে পারিনা যারা সিট পেল তাদের আসলে প্রয়োজন নেই, তাও তারা পায়। আর আমার প্রয়োজন যেনেও কেন আল্লাহ দিল না? আমার এ ব্যাপারে কেমন ধারণা করা উচিত? সার্বিক বিবেচনায় কি করণীয়?