আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
reshown by

১।অমুসলিম দের ধর্মীয় বিষয় বা সকল বিষয় কে প্রবল ধারনা করে  হোক না জেনে বা জানার পরে   একা একা মনে মনে বা কোনো মুসলমানের সামনে গালি দিলে, অসম্মান করলে, অপমান, ঘৃণা করলে  ইত্যাদি    হক নষ্ট অতিতে  করলে বা বর্তমানে বা ভবিষ্যতে করলে  তারা যদি না জানে তাদের কাছে মাফ চাইতে হবে না । আল্লাহ পাক এর কাছে মাফ চাইলে হবে এ আকিদা সঠিক কিনা?


২।আমি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমার সালার বউয়ের রুমে যাই খারাপ কাজ করতে। সে আমাকে বলছে চলে যেতে  আমি বেড়িয়ে যাই তাকে কিছু করিনি। সে অনেকের কাছে বলে দেয় পরে তার কাছে মাফ চাই সে বলছে বাবা মার কাছে মাফ চাইতে কার বাবা মার কথা বলছে আমি বুঝতে পারিনাই। তার রুমে যাওয়ার আগে তার মোবাইল ফোন হ্যাক করে রাখছিলাম সে পরকিয়া করে কিনা দেখার জন্য যাতে করে তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারি।সে আমার কথা সবার কাছে বলার পর অনেকদিন তাকে মনিটরিং করি।  সে এখনো জানেনা তার মোবাইল ফোন হ্যাকড হয়েছিলো। হ্যাকড করে তার মোবাইল ফোন এর ক্যামেরা দিয়ে তার কিছু ছবি তুলি উরনা ছাড়া। আরও অনেক কে দেখি কথা শুনছি তাদের। কেউই জানেনা যে আমি তাদের কে দেখছি।পরে আল্লাহ পাক এর ভয়ে সব ছবি ডিলেট করে দিয়ে তাকে আর মনিটরিং করি না। নিচে এই বিষয়ে কয়েকটি প্রশ্ন।
(ক)তাদের কাছে মাফ চাইতে হবে কি। চাইতে গেলে যদি জামেলা করে সে তো আমার সাথে রাগ।

(খ)৫ মাস আগের ঘটনা তো এখন একটু সাভাবিক হয়ে গেছে এখন মাফ চাইতে গেলে যদি সে ঝামেলা করে এই ভয় হয়।শুধু আল্লাহ পাক এর কাছে খাস দিলে তওবা করলে কি মাফ হবেনা?


(গ)তিন দিনের বেশী কথা না বলে থাকা জায়েজ নাই।মনে হয়না সে আমার সাথে জীবনে কখনো কথা বলবে। সালাম দিতে গেলে মনে হয় ঝামেলা হতে পারে। এখন আমি সালাম না দেই কথা না বলি সমস্যা হবে কি?


৩।বান্দার হক থেকে তওবা করলাম আল্লাহ পাক এর কাছে মানে সেই কাজ টা ছেড়ে দিলাম আর করার ইচ্ছা নাই কিন্ত আমি কোনো কারনে বান্দার কাছে মাফ চাইতে পারলাম না। আমি কি সয়তানের ওলি হিসেবে থাকবো?
<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250106_141729_712.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (606,810 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ؟» . قَالُوا: الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لَا دِرْهَمَ لَهُ وَلَا مَتَاعَ. فَقَالَ: «إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَأْتِي يَوْم الْقِيَامَة بِصَلَاة وَصِيَام وَزَكَاة وَيَأْتِي وَقَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا. وَأَكَلَ مَالَ هَذَا. وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يَقْضِيَ مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرح فِي النَّار» . رَوَاهُ مُسلم

আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জানো, (প্রকৃত) গরীব কে? সাহাবায়ে কিরাম বললেনঃ আমরা তো মনে করি, আমাদের মধ্যে যার টাকা-পয়সা, ধনদৌলত নেই, সে-ই গরীব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি গরীব হবে, যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে সালাত, সিয়াম ও যাকাত আদায় করে আসবে; কিন্তু সাথে সাথে সেসব লোকেদেরকেও নিয়ে আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারো অপবাদ রটিয়েছে, কারো সম্পদ খেয়েছে, কাউকে হত্যা করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে; এমন ব্যক্তিদেরকে তার নেকীগুলো দিয়ে দেয়া হবে। অতঃপর যখন তার পুণ্য শেষ হয়ে যাবে অথচ পাওনাদারদের পাওনা তখনো বাকি, তখন পাওনাদারদের গুনাহ তথা পাপ তার ওপর ঢেলে দেয়া হবে, আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

(মুসলিম ৫৯-(২৫৮১), তিরমিযী ২৪১৮, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৮৪৫, সহীহুল জামি‘ ৮৭, সহীহ আত্ তারগীব ২২২৩, শু‘আবুল ঈমান ৩৩, আহমাদ ৮০২৯, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৬৪১৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৪১১, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ৫৬১, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ২৭৭৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৮৩৮।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এ আকীদা সঠিক। 
তবে শর্ত হলো শারীরিকভাবে ও আর্থিক ভাবে তাদের কোনো হক নষ্ট করা যাবেনা।

(০২)
ক,খ, মাফ চাইতে হবে। 
তবে এক্ষেত্রে আপনার দোষ যেহেতু তারা জানেনা,সুতরাং দোষ উল্লেখ করা আবশ্যক নয়।

এমনিতেই স্বাভাবিক ভাবে মাফ চাইতে পারেন।

এভাবে বলতে পারেনঃ-
  "ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকলে,হক নষ্ট করে থাকলে মাফ করে দিয়েন"
পাশাপাশি আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করে ফিরে আসতে হবে।

গ, সে আপনার গায়রে মাহরাম, তাই এমনিতেই তো তার সাথে কথা বলা জায়েজ নেই।

সুতরাং তাকে সালাম না দিলে কথাবার্তা না বললে আপনার গুনাহ হবেনা।

(০৩)
শয়তানের ওলি হবেন,এমন কথা কোথাও নেই।

তবে এমতাবস্থায় আল্লাহ আপনাকে মাফ করবেননা,এমন কথা আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...