আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমার বোনের গ্রামে বিয়ে হয়েছে তো আমার মা প্রায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আমার বোন কে বিয়ে যে তার এখানেই তাকদিরে ছিলো এটা মানতে পারে না। তো আমি বললাম তোমার কপালে ভালো ছিলো বলে আমার বাপ কে পাইছো তখন আমার মা বলে উঠে আমার বাপ খুজে এনে দিছে বলে পাইছি তখন রাগ করে বলে উঠছি যে তোমার বাপ কি আল্লাহ নাকি যে খুজে এনে দিছে তাই পাইছো? রাগে বলে ফেলছি কারন বিয়ে এসব যে তাকদির আল্লাহ যার সাথে ঠিক করছে তার সাথেই হবে এই জিনিস বুঝে না আমার মা। নিজের বাড়ির বড়াই করে।
তো আমি জানতে চাই আমার এই কথা কি শিরকের অন্তর্ভুক্ত কিনা আমি কি শিরকি কথা বলে ফেলছি? আমি বলার সাথে সাথেই তওবা করছি যে কি বের হয়ে গেলো মুখ দিয়ে আমি। আমি কিভাবে এটা করলাম জানি না।  আমি খুব অশান্তি তে ভুগছি৷ আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয় এটা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি।

1 Answer

0 votes
by (64,500 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/3012/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

কুফরী বাক্যর অর্থ জানা নেই এবং বলার ইচ্ছে নেই তবে মুখ ফসকে কোনো কুফরী বাক্য মুখ থেকে উচ্ছারণ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাফির হবে না। যেমন হযরত আবু যর রাযি. থেকে বর্ণিত রয়েছে,

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رضي الله عنه قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :(إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মত থেকে ভূল ভ্রান্তি এবং নিরুপায় মূলক কাজ কে ক্ষমা করে দিয়েছেন।(সুনানু উবনি মা'জা-২০৪৩)

,

কুফরী বাক্যর অর্থ জানা রয়েছে, এবং বলার ইচ্ছাও রয়েছে, তবে কাফির হওয়ার জন্য বলেনি, বরং রং তামাশ মূলক কেউ বলল, তাহলে এমতাস্থায় সে কাফির হয়ে যাবে,

"مَنْ تَكَلَّمَ بِكَلِمَةِ الْكُفْرِ هَازِلًا أَوْ لَاعِبًا كَفَرَعِنْدَ الْكُلِّ وَلَا اعْتِبَارَ بِاعْتِقَادِه

যে ব্যক্তি কোনো কুফুরি বাক্য রং তামাশা করে বলবে, সে কাফির হয়ে যাবে। যদিও তার এ'তেকাদ বা বিশ্বাসে কুফরি না থাকুক। (বাহরুর রায়েক-৫/১৩৪, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/২৭৫-২৭৬)

,

https://ifatwa.info/66696/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

কার সাথে কার বিয়ে হবে সেটা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত।

আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেন,

وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا [٧٨:٨

আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, {সূরা নাবা-৮}

,

সুতরাং বুঝা গেল জীবনসঙ্গী কে হবে? তা আল্লাহ তাআলা জানেন। নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু বান্দা জানে না। তাই বান্দা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ভাল পাত্রি/পাত্র দেখে বিবাহ করতে।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 

ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.

আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে। (ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯) 

,

https://ifatwa.info/25636/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 

জন্ম মৃত্যুর মত বিয়ে শাদী ইত্যাদি সবকিছুই নির্ধারিত রয়েছে। তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।তাকদীরে যার সাথে বিয়ের কথা লিখিত রয়েছে, তার সাথেই বিয়ে হবে। হ্যাঁ তাকদীরে যা লিখা রয়েছে, তা দু'আর মাধ্যমে পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে।

,

হযরত সালমান ফারসি রাযি থেকে বর্ণিত,

سَلْمَانَ رضي الله عنه ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَرُدُّ القَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ، وَلَا يَزِيدُ فِي العُمْرِ إِلَّا البِرُّ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তাকদীরকে দু'আ ব্যতীত অন্যকিছু বদলাতে পারে না। আর নেকী ব্যতীত অন্যকিছু হায়াতকে বৃদ্ধি করবে না।(সুনানু তিরমিযি-২১৩৯)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

ভুলবশত মুখ ফসকে হঠাৎ উক্ত কথা বের হয়ে গেলে এতে ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে তারপরও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া ও তওবা করা। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...