আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
547 views
in সালাত(Prayer) by (86 points)
আসসালামু আলাইকুম,
1.বিয়ের রাতে যে স্বামী স্ত্রী দুই রাকাত স্বলাত আদায় করে.. ওই স্বলাতে কি স্বামী স্ত্রী জামাতে আদায় করতে হয় নাকি.. আলাদা আলাদা পড়লেও হবে ?

2. জামাতে পড়লে স্ত্রী মুক্তাদী হিসেবে কি কি পড়তে হবে.

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


বাসত রাতে স্বামী স্ত্রী জামাতের সাথেই দুই রাকাত স্বলাত আদায় করবে।
অনেক ইসলামী স্কলারগন  এ দু রাকআতকে মুস্তাহাব বলেছেন।
,
তবে স্বামী স্ত্রী চাইলে তারা একাকীও আদায় করতে পারে,কোনো সমস্যা নেই।

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, স্ত্রী স্বামীর কাছে গেলে স্বামী দাঁড়িয়ে যাবে এবং স্ত্রী তার পিছনে দাঁড়াবে। অতঃপর তারা একসঙ্গে দুই রাক‘আত সালাত আদায় করবে এবং বলবে:

اَللّهُمَّ بَارِكْ لِىْ فِىْ أَهْلِىْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِىَّ، اَللّهُمَّ اجْمَعْ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ بِخَيْرٍ و فَرِّقْ بَيْنَنَا إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ

উচ্চারণ: উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বা-রিকলী ফী আহলী, ওয়া বা-রিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লাহুম্মাজমা’ বাইনানা মা জামা’তা বিখাইর, ওয়া ফাররিক বাইনানা ইযা ফাররাকতা ইলা খাইর।

অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন এবং আমার ভিতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। হে আল্লাহ! আপনি তাদের থেকে আমাকে রিযিক দিন আর আমার থেকে তাদেরকেও রিযিক দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্রে রাখুন। আর আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলে কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ ঘটান।” 
(তাবারানী, মু‘জামুল কাবীর, হা/৮৯০০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৭৫৪৭; সিলসিলাতুল আছার আছ-ছহীহাহ হা/৩৬১; আদাবুয যিফাফ, পৃঃ ২৪।)

আবু উসাইদ . এর গোলাম আবু সাঈদ হতে বর্ণিত। তনি বলেন, আমি গোলাম থাকা অবস্থায় বিয়ে করলাম এবং কয়েকজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীকে ডাকলাম। তাদের মধ্যে ছিলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, আবু যর এবং হুযায়ফা রা.।
তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বললাম, আমাকে (আমার করণীয় সম্পর্কে) শিক্ষা দিন। তারা বললেন,

إذا أدخل عليك أهلك فصل عليك ركعتين ، ثم سل الله تعالى من خير ما دخل عليك ، وتعوذ به من شره ، ثم شأنك وشأن أهلك

“যখন তোমার ঘরে তোমার স্ত্রীকে প্রবেশ করানো হবে তখন তুমি দু রাকাআত সালাত আদায় কর এবং তোমার ঘরে যে এসেছে আল্লাহর নিকট তার কল্যাণ প্রার্থনা কর এবং অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। তারপর তুমি এবং তোমার স্ত্রীর যা করণীয় কর।”(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৪০১ এবং মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৬/১৯১, শাইখ আলবানী রহ. বলেন, আবু সাঈদ পর্যন্ত এ হাদীসের সনদ সহীহ)

 শাকীক রহ. তবে বর্ণিত, এক লোক আব্দুল্লাহ (অর্থাৎ ইবনে মাসঊদ) এর নিকট আগমন করলেন (তিনি আবু জারীর নামে পরিচিত)। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা কে বললেন, আমি এক যুবতী মেয়ে বিয়ে করেছি। কিন্তু আমার আশংকা হচ্ছে, সে আমাকে অপছন্দ করবে (বা আমার প্রতি রাগ-গোস্বা করবে)।

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ বললেন,

ن الإلف من الله ، والفرك من الشيطان ، يريد أن يكره إليكم ما أحل الله لكم ، فإذا أتتك فمرها أن تصلي وراءك ركعتين

“ভালবাসা ও সুসম্পর্ক আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় আর ঘৃণা বা রাগ-গোস্বা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। কারণ সে আল্লাহর হালাল করা বিষয়ে তোমাদের মাঝে ঘৃণা সৃষ্টি করতে চায়। সুতরাং তোমার স্ত্রী তোমার কাছে আসলে তাকে আদেশ করবে, সে যেন তোমার পেছনে দু রাকাআত সালাত আদায় করে।” ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৩/৪০২ এবং মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ৬/১৯১, ত্বাবারানী কাবীর ৯/২০৪ শাইখ আলবানী রহ. বলেন, হাদীসের সনদ সহীহ- আদাবুয যাফাফ পৃষ্ঠা ২৪)

উক্ত হাদীসগুলো দ্বারা অনেক আলেম, বাসর রাতে নতুন স্বামী-স্ত্রীর কর্তৃক দুরাকাআত নামায আদায় করাকে মুস্তাহাব বলেছেন।
,
(০২)
নামায পড়ার নিয়ম হল, স্বামী ইমাম হিসেবে আগের কাতারে দাঁড়াবে আর স্ত্রী তার পেছনের কাতারে দাঁড়াবে। 
জামাআতের সাথে দু রাকাআত নফল সালাত আদায় করবে।
স্ত্রী মুক্তাদী হিসেবে শুধু কিরাআত পড়বেনা,অন্যান্য কাজ যেমন নামাজ শুরুর তাকবিরে তাহরিমা ,রুকু সেজদার তাকবির তাসবিহ,তাশাহুদ,দরুদ শরীফ,দোয়ায়ে মাছুরা অবশ্যই পড়বে।
,
তারপর তারা উভয়েই তাদের নতুন জীবনের কল্যাণ চেয়ে এবং অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চেয়ে মহান আল্লাহর নিকট দুআ করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 247 views
...