আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (62 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

দরুদ মানে হচ্ছে আল্লাহর কাছে রসুল ﷺ এর জন্য রহমত,বরকত ও শান্তির দোয়া করা!

صلى الله عليه وسلم
এই দরুদের অর্থ হচ্ছে- আল্লাহ তাঁর প্রতি সালাত (দয়া) ও সালাম (শান্তি) বর্ষণ করুন।

অর্থাৎ যখন আমরা বলি, রসুল ﷺ তখন আমরা আসলে বলি, "আল্লাহ রসুলের প্রতি সালাত ও সালাম বর্ষন করুন"
অতএব রসুল ﷺ এর নাম নিলে এই দরুদ পড়া জায়েজ!

তবে যখন আমরা জিকির করি তখন আমরা রসুল ﷺ এর নাম নেই না! শুধু বলি, সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
যার অর্থ, "তার উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক!
এখন প্রশ্ন হলো এখানে তার মানে কার? এটা এই দরুদে উল্লেখ নেই।
তাই জিকিরের সময় যে দরুদ পড়তে হবে সেই দরুদে উনার নাম উল্লেখ করতে হবে।
যেমন নিচের দরুদগুলো ও তাদের অর্থ লক্ষ্য করুন-

১.
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি মুহা’ম্মদ এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের উপর রহমত বর্ষণ কর।

২.

اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبَيِّنَا مُحَمَّدٍ
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন।

দুইটা দরুদেই মুহাম্মদ নামটি এসেছে! অর্থাৎ এগুলো দিয়ে জিকির করা যাবে।
তবে সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দরুদটিতে শুধু সর্বনাম ব্যবহৃত হয়েছে, রসুল ﷺ এর নাম আসেনি । যার কারনে প্রশ্ন থেকে যায় যে,শান্তি ও সালাম কার ওপর বর্ষিত হবে?

তাই এই দরুদ জিকির হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না!

শায়েখ আসিম আল হাকিমকে প্রশ্ন করা হয় যে, সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দরুদটি কি শুক্রবারে আযকারে ব্যবহার করা যাবে যেহেতু এই দরুদে মুহাম্মদ নামটি নেই?

উত্তরে তিনি বলেন, "এটা বৈধ হবে না কারন এখানে রসুল ﷺ এর নাম/সর্বনাম নেই!"

এখন শায়েখ আমার প্রশ্ন হচ্ছে - আমরা তো এতোদিন অনেক পরিমানে এই দরুদ টা পরেছি (সাল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাহলে কি এই দরুদ বৈধ /কবুল হয়নি?
বিস্তারিত জানাবেন ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (601,620 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কা'ব ইবনে উজরা রাযি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাঃ কে দুরুদ শরীফ পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি, যখন
وَعَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ كَعْبِ بن عُجْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ قَدْ عَلِمْنَا كَيْفَ نُسَلِّمُ عَلَيْكَ، فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ ؟ قَالَ: «قُولُوا: اَللهم صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجيدٌ . اَللهم بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجْيدٌ» . متفقٌ عَلَيْهِ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (একদা) আমাদের নিকট এলেন। আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আঁপনার প্রতি কিভাবে সালাম পেশ করতে হয় তা জেনেছি, কিন্তু আঁপনার প্রতি দরূদ কিভাবে পাঠাব?’ তিনি বললেন, “তোমরা বলোঃ- ‘আল্লা-হুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা বা-রাকতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।’(সহীহ বুখারী-৫৯৯৬)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম উল্লেখ ব্যতিত শুধুমাত্র সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করা নিয়ে উলামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। সর্বোত্তম হল, দুরুদে ইবরাহিমি পাঠ করা যা হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...