আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)

জাযাক আল্লাহু খইর শাইখ, 

আপনার উত্তরে আমি খুবই উপকৃত হয়েছি, তবে, একটা বিষয়ে একটু clear হলে ভালো হইত। 

★ হারাম সম্পর্ক থেকে বের হওয়ার পর বিয়ের উদ্দেশ্যে একে অপরের জন্য হারাম যোগাযোগ ছাড়া নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা কি হালাল? 

★এবং এই অপেক্ষা যদি দুনিয়াবি হালাল কোনো কারণে (সৌন্দর্যধন সম্পদ) ভালবাসার জন্য হয়, তবে কি তা হালাল? আংশিক দ্বিনদারির কারণে হলে কি হালাল? সম্পূর্ণভাবে দ্বিনদারির কারণে হলে কি হালাল? 

1 Answer

0 votes
by (603,480 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। 
عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشباب من استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»
তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর উপর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2276


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) হারাম সম্পর্ক থেকে বের হওয়ার পর বিয়ের উদ্দেশ্যে একে অপরের জন্য হারাম যোগাযোগ ছাড়া নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে যদি কোনো প্রকার হারামে জড়িত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থাকে। তবে যদি হারামে জড়িত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে, তাহলে কিন্তু তখন অপেক্ষা করা যাবে না। কথা পারিবারিক ভাবে কথা পাকাপোক্ত না হলে, অপেক্ষা করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

(২) এই অপেক্ষা যদি দুনিয়াবি হালাল কোনো কারণে (সৌন্দর্য, ধন সম্পদ) কিংবা ভালবাসার জন্য হয়,তাহলেও রুখসত থাকবে যদি হারামে জড়িত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থাকে।
আংশিক দ্বিনদারির বা সম্পূর্ণভাবে দ্বিনদারির কারণে হলে তো প্রশ্নই বাকী থাকবে না, তবে শর্ত হল কোনো প্রকার হারামে জড়িত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকতে পারবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...