ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’যে ব্যক্তি আমার কোন বন্ধুর সাথে শত্রুতা করবে, তার বিরুদ্ধে আমার যুদ্ধের ঘোষণা রইল। আমার বান্দা যে সমস্ত জিনিস দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করে, তার মধ্যে আমার নিকট প্রিয়তম জিনিস হল তা---যা আমি তার উপর ফরয করেছি। (অর্থাৎ ফরয ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করা আমার নিকটে বেশী পছন্দনীয়।)
আর আমার বান্দা নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে, পরিশেষে আমি তাকে ভালবাসতে লাগি। অতঃপর যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার ঐ কান হয়ে যাই, যার দ্বারা সে শোনে, তার ঐ চোখ হয়ে যাই, যার দ্বারা সে দেখে, তার ঐ হাত হয়ে যাই, যার দ্বারা সে ধরে এবং তার ঐ পা হয়ে যাই, যার দ্বারা সে চলে! আর সে যদি আমার কাছে কিছু চায়, তাহলে আমি তাকে দিই এবং সে যদি আমার আশ্রয় চায় তাহলে আমি অবশ্যই তাকে আশ্রয় দিই।’(সহীহুল বুখারী ৬৫০২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর জিম্মায় থাকা বা আল্লাহর জিম্মাদারি /আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকার অর্থ হল, সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করবেন।
(১) আল্লাহর ফরয বিধান সমূহ পালন করার পাশাপাশি কেউ যদি নফল বিধানাবলীকে অত্যান্ত গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে আসতে পারে, তাহলে সে আল্লাহর যিম্মাধারীতে চলে যাবে।
(২)যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করল সে আল্লাহর জিম্মার অন্তর্ভুক্ত হল,(সহীহ মুসলিম) এদ্বারা উদ্দেশ্য হল, ঐ দিন আল্লাহ তা'আলা তার প্রতিটি কাজে সহযোগিতা করবেন।