আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in সাওম (Fasting) by (1 point)
কেউ অসুস্থ থাকলে যদি নিয়ত করি যে তার জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত রোযা রাখব পরবর্তীতে সম্ভব না হলে বা জ্ঞান ফিরলেও ঘুমের ঔষধ দিয়ে ঘুম পারিয়ে রাখলে তখন রোযা না রাখলে কি গুন্নাহ হবে বা সেই ব্যাক্তির কোনো ক্ষতি হবে???

1 Answer

0 votes
by (62,280 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/41379/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপনার এ কাজ নিয়ত হিসেবে গণ্য হবে। এ কাজ মান্নত হবে না। নিয়ত বা ওয়াদাকে প্রয়োজনে বদলানোর সুযোগ রয়েছে।

https://www.ifatwa.info/13507  নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে, ওয়াদা করার পর ওয়াদাকে পূর্ণ করা উচিৎ। তবে পূর্ণ না করলে সে গোনাহগার হবে না।

«وَأَسَاسُ الْمَسْأَلَةِ عِنْدَ الْحَنَفِيَّةِ: أَنَّ الإِْنْسَانَ إِذَا أَنْبَأَ غَيْرَهُ بِأَنَّهُ سَيَفْعَل أَمْرًا فِي الْمُسْتَقْبَل مَرْغُوبًا لَهُ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ الأَْمْرُ غَيْرَ وَاجِبٍ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ لَا يَلْزَمُهُ بِمُجَرَّدِ الْوَعْدِ؛ لأَِنَّ الْوَعْدَ لَا يُغَيِّرُ الأُْمُورَ الاِخْتِيَارِيَّةَ إِلَى الْوُجُوبِ وَاللُّزُومِ.» - «الموسوعة الفقهية الكويتية» (44/ 76)

হানাফি ফিকহ অনুযায়ী ওয়াদাকে পূর্ণ করার বিষয়ে মূলনীতি হল, কোনো মানুষ যখন অন্যকে সংবাদ দেয় যে, সে ভবিষ্যতে ঐ কাজটি করবে, যদি ঐ কাজটি তার উপর মূলত ওয়াজিব না হয়ে থাকে, তাহলে ঐ তার উপর ওয়াদাকে পূর্ণ করা অত্যাবশ্যকীয় হবে না। কেননা ওয়াদা ইচ্ছা স্বাধীন বিষয়কে পরিবর্তন করে অত্যবশ্যকীয়র দিকে নিয়ে যায় না। ( আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪৪/৭৬) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/13507

https://ifatwa.info/16066/  নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- হাদীস শরীফে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেছেন-

أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَوْمًا يَنْهَانَا عَنِ النَّذْرِ وَيَقُولُ إِنَّهُ لاَ يَرُدُّ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الشَّحِيحِ

রাসূলুল্লাহ (সা.) একদিন আমাদের মান্নত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, মান্নত কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। তবে মান্নতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং- ৪৩২৫)।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মান্নত এমন কোনো কিছুকে আদম সন্তানের নিকটবর্তী করে দিতে পারে না যা আল্লাহ তাআলা তার জন্য তাকদীরে নির্দিষ্ট করেননি। তবে মান্নত কখনো তাকদীরের সাথে মিলে যায়। এর মাধ্যমে কৃপণের নিকট হতে ঐ সম্পদ বের করে নিয়ে আসা হয় যা কৃপণ (এমনিতে) বের করতে চায় না। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৬৪০

মান্নত শরিয়তে পছন্দনীয় নয়। শরিয়ত উদ্বুদ্ধ করে নফল সদকার প্রতি; মান্নতের প্রতি নয়।

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন-

 بَاكِرُوا بِالصَّدَقَةِ ؛ فَإِنَّ الْبَلَاءَ لَا يَتَخَطَّى الصَّدَقَةَ

“তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না”। (বাইহাকী ৭৩৭৪)।

মান্নত করার পর তা থেকে রুজু করার কোন সুযোগ নেই। তাই মান্নতকৃত ইবাদতটি করা আবশ্যক।

وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ [٢٢:٢٩]

তাদের মানত পূর্ণ করে [সূরা হজ্জ-২৯]

মনে মনে মান্নত করলে মান্নত হয় না। মান্নত হবার জন্য মুখে উচ্চারণ করা জরুরী।

النذر لا تكفى أيجابه النية بل لابد من التلفظ به (الأشباه والنظائر-89)

সারমর্মঃ মান্নত ছাবেত হওয়ার জন্য শুধু নিয়ত যথেষ্ট নয়,বরং উচ্চারণ করা জরুরী।

المسألة الأولى فى حقيقة النذر، وهو التزام الفعل بالقول مما يكون طاعة لله عز وجل، من الأعمال قربة (احكام القرآن لابن عربى، دار الكتب العلمية-1\352، كرتاشى-2\18)

فركن النذر: هو الصيغة الدالة عليه، وه قوله: لله عز شانه على كذا، أو على كذا، وهذا هدى، أو صدقة، أو مالى صدقة أو ما أملك صدقة أو نحو ذلك (بدائع الصنائع، كتاب النذر-4\226)

সারমর্মঃ মান্নতের রুকন হলো এমন শব্দ ব্যবহার করতে হবে,যেটি তার উপর বুঝায়,,,,

وصيغته تكون بلفظ النذر نحو "نذرت" أو ما يدل على الإلزام نحو "لله علي" أو ما شابه ذلك.

সারমর্মঃ মান্নতের শব্দ হলো যেখানে নযর তথা মান্নতের শব্দ ব্যবহার হবে। যেমন আমি মান্নত করিলাম,বা যে শব্দ গুলো নিজের উপর কোনো কাজ আবশ্যকীয় করে নেওয়া বুঝায়,,,,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি যদি শুধু মনে মনে নিয়ত করে থাকেন, মুখে উচ্চারণ না করেন, তাহলে সেটি মান্নত হয়নি। বিধায়, রোজা না রাখলে কোন গুনাহ হবে না এবং এতে সেই রোগীর কোন ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...