আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম একটি বিষয় নিয়ে কয়েকদিন যাবত খুবই দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। আমি আপনাদের তাকফির সম্পর্কে আলোচনা পড়েছি এখন আমার প্রশ্ন হল,  
কুফরি করতে বাধ্য করলে শুধুমাত্র অঙ্গ হানি এবং হত্যার ভয় থাকলে মুখ দিয়ে কুফর শিকার করা যায় কিন্তু অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা যায় না। কেউ যদি অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে তাহলে কাফির সাব্যস্ত হবে। ।।।
এ দুই বাধ্যবাধকতা ছাড়া কেউ যদি মুখেও শিকার করে কুফুরি করেছে বলে বিবেচিত হবে।
এখন আমাদের দেশে যে সমস্ত ওলামায়ে কেরাম গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তারা অনেকে অনেকে অথবা না জেনে অথবা জেনে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাদের মধ্যে যারা জেনেশুনে ভালো ধারনা রেখে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এখানে একটি বিষয় আমার কাছে খুব দিদা দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি। তা হলো, যখন একজন আলেম মন্ত্রী হবেন তখন সাধারণত তাকে শপথ করানোর সময় তিনি মুখ দিয়ে হলেও সংবিধানকে রক্ষা করার বা কুফরি আইনকে মান্য করার স্বীকারোক্তি করতে হয়।
কিন্তু এখানে তো অঙ্কহানি অথবা মৃত্যুর কোন আশঙ্কা নাই। কিন্তু আমার মাঝে বারবার একটা জিনিস আসছে এত উলামায়ে কেরাম যেহেতু রাজনীতি করছেন তাদেরও এই মূলনীতি জানা আছে। তারা কোন মূলনীতির ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
কিন্তু আমি না জানার দরুন আমার মধ্যে কৌতুহল দেখতেছে কিভাবে তাদের এই কাজগুলি করলে কুফরি হবে না।  
আমি জানি তাকফির করা আমার কাজ নয় ততাপি জিনিসটা একটু ভেঙ্গে বললে আমার কাছ থেকে অনেক সন্দেহ দূর হয়ে যেত। আল্লাহতালা আমাকে যেন হকের পতে রাখেন এই জন্য দোয়ার মুহতাজ। আল্লাহ তাআলা খারেজি ফিতনা থেকে হেফাজত করুন।

1 Answer

0 votes
by (603,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
পরামর্শঃ
আলহামদুলিল্লাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না।
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,

فَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...