আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
edited by
১)আমি একটা মেয়ের সাথে চলাফেরা করতাম। তবে prem  ছিলো না। প্রায় ৬/৭ মাস ওর সাথে চলাফেরা ছিলো। তারপর ২০২৪ এর রমজানের এতেকাফের কয়েকদিন আগে ওকে আমার সাথে কথা বলতে মানা করে দিই। তারপরে আমরা কয়েকদিন কথা বলিনি।  তারপরে পরীক্ষা দিতে যাই। ও আমার সাথে কথা বলতে চায়নি। আমার হঠাৎ কী জানি হয়ে গিয়েছিলো। আমি তাকে বললাম আমার সাথে রাগ না করে থাকতে, ওকে বোঝাতে থাকলাম। সে না করে দেয় কথা বলবে না৷ তারপরে আমি ওকে বলি """"" আমি তোকে পরীক্ষার সবকিছু রেডি করে দেবো"" তবুও তুই কথা বল৷  সে বলেছে সে সবকিছু পারে৷  নোটস লাগবে না৷।।।।  ( আর এই নোট ছিলো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নোট))পরে পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি গিয়ে ৪/৫ দিন পরে  আমার আরেক বন্ধুকে বলে আমি যেনো তাকে নোটস দেই। আমি দুই চার ডেট নোট দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। আমি আর দেইনি।।। এখন চার মাস পরে পরীক্ষা। হুজুর আমি যে তাকে নোটস দেইনি আমার কী গুনাহ হবে??  যেহেতু আমি তাকে প্রথমে বলেছিলাম যে তুই আমার সাথে কথা বল,  আমি তোর সব নোট প্রস্তুত করে দেবো""  প্রথমে সে মানা করে দেয় লাগবে না, কিন্তুু পরবর্তীতে কিছু দিন পরে নোটসের জন্য  মেসেজ দেয়।
২) যেহেতু প্রথমবারে বলাতে মানা করে দিয়েছিলো,,  তাই  দ্বিতীয়বারে নোটস চাওয়ায় প্রথম শর্ত যে "আমার সাথে কথা বল,  আমি তোর সব নোট প্রস্তুত করে দিবো"" কী লাগু হবে?? জানাবেন চিন্তায় আছি।
৩)আর এরপর সেই মে মাস থেকে আজ ডিসেম্বর শেষ হবে ( আট মাস এখানে)। আরো চারমাস পরীক্ষার বাকি আছে।  সে একটা টিচার রেখে পড়তে পারতো,  তাও করেনি।  মাঝে নাকি একদিন আমার সেই বন্ধুকে কলে বলেছিলো,  আমি ওকে নোটস দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি৷৷ আমার সেই বন্ধু উত্তর দিয়েছিলো, তুমি নিজে যোগাযোগ রাখবা না,  তোমার দরকার নোটস, ....  কী কী নাকি বলে দিয়েছিলো।
ভাবছিলাম ওকে এই ব্যপারে মেসেজ দিবো। কিন্তুু ওই মেয়ের সাথে কথা বলতেও মন চায় না। আমার বন্ধুর সাথেও এই কথা বলেছিলাম যে ওকে নোট দিবো বলে যে দু তিন ডেট দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি,  একটু টেনশনে আছি। সে বলেছিল তুই কী একথা বলেছিলি নাকি যে তুই ওর সব দায়িত্ব নিয়েছিস৷ আর ওর কী কমনসেন্স নাই।  তারপরে সে দেখলাম ওই মেয়ের প্রতি অনেকটা রাগান্বিত।  সে আমাকে বলে তুই ওকে চিনিস না ও কেমন। আমি ওকে ৬/৭ বছর ধরে চিনি৷ আরো দুআারটি কথা বলেছিলো। ( হুজুর আমি নিজের দিকে ফতোয়া আসার জন্য ওই মেয়ের এসব কথা বলিনি)  আমার ভিতরে একটা ভয় কাজ করছে। তাই লিখে দিয়েছি। আমি দুইদিন ওকে মেসেজ করেছি। যে, আমি যে নোটস গুলো দিয়েছি,  সেখানে অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকতে পারে, একটু carefully  পড়তে। মাঝে সে নাকি আমার আরেক বন্ধুকে কল দিয়েছিলো ওর সাথে আগরতলা প্রাইভেত পড়তে যাওয়ার জন্য৷ সে বন্ধু নাকি যাবে না বলেছিলো। তারপরে সে স্যরের কাছে হয়তো নোটের ব্যপারে কথা বলেছিলো। কেউ ছিলো না বিধায় আনতে পারে নি। বা পরে এনেছিলো কী না জানিনা আমি।  আর মাঝে একটা প্রাইভেটে ভর্তি হয়েছিলো।  ওই স্যর বোধ হয় নোটস দেন না সব বিষয়ের।  মানে সে চেষ্টা করেছিলো।  এখন শুনলাম পরীক্ষা দিবে না। আমি এর জন্য দায়ী থাকব কিনা?? জানাবেন।
(সেই এপ্রিলের দু চার ডেট ওকে কিছু নোটস দিয়েছিলাম,,,  তারপরে আমি দেখলাম সে একপ্রকার নোটস এর জন্যই আমাকে মেসেজ দেয়,,,, তাই আমি নোট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি)

1 Answer

0 votes
by (579,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(১-৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার গুনাহ হবেনা।
আপনি তার জন্য দায়ী থাকবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...