আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আমি এবারের এইচএসসি পাস করা একজন ছাত্র। আমাদের ফলাফলে এসএসসির ফলাফল ও যুক্ত হয়েছে। ফলাফল ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো আমি দুই পরীক্ষাতেই বন্ধুদের থেকে পরীক্ষাগুলোয় সাহায্য নিয়েছি আবার সাহায্য করেছি। এখন খুব অপরাধবোধ লাগছে। তাওবা ও করেছি। এখন বিষয় হলো, আমি ভর্তি পরীক্ষার্থী। মেডিকেলে সহ আরও অনেক পরীক্ষায় এসব পরীক্ষার মার্ক যোগ হয়। যদিও আমাদের ভর্তি পরীক্ষাও দিতে হবে। চান্স পেলে তো সেখানেও এসব পরীক্ষার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এগুলো ভেবে খুব টেনশন হচ্ছে। আমার সপ্ন ডাক্তার হবার এবং মানুষের সেবা করার। তাই আমি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আমার জন্য পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষাসহ সকল অংশগ্রহণ করা, এসব সার্টিফিকেট ব্যবহার করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা, পরবর্তী পরীক্ষায়(সেসবে এস সার্টিফিকেট ব্যবহার হবে) ভালো করার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা এবং ফলাফল ভালো আসলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় এবং অন্যদের বলা জায়েজ হবে?

দয়া করে এর সমাধানটা জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (585,060 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/44781/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
পরীক্ষায় নকল করা এটি ধোকার শামিল,বিধায় তাহা জায়েজ নেই।

হাদিস শরীফে এসেছে
আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়; আর যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেবে সেও আমাদের দলভুক্ত নয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৯৪)

ইবনে মাসউদের (রা.) হাদিসটি যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন: যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং ষড়যন্ত্রকারী ও প্রতারক জাহান্নামে যাবে না।  এবং আবু বকর সিদ্দিক রা. থেকে বর্ণিত ‘অভিশপ্ত সে যে কোনো মুসলমানের ক্ষতি করে বা তার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে।’ তিরমিজি বর্ণনা করেছেন। (জামিউল উলুম ওয়াল হিকামি: ৯/৩৫)

কোনো ব্যক্তি যদি ছাত্র জীবনে নকল করে পরীক্ষা দেয়,আর সেই সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে চাকরি নেয়, তা হলে সে গুনাহগার হবে। 

ফলে তার জন্য আন্তরিকভাবে তওবা করা আবশ্যক  হবে। তবে ওই ব্যক্তি যদি সেই চাকরির জন্য যোগ্য হন এবং তিনি তার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে পারেন, তা হলে সেই অবস্থায় বেতন গ্রহণ করা হালাল হবে। কারণ বেতন বা মজুরি কর্মের বিনিময়ে হচ্ছে।

বেতন হালাল হওয়ার সম্পর্ক হলো দায়দায়িত্ব সঠিকভাবে আদায় করার সঙ্গে।
আর যদি এমন হয় যে সেই ব্যক্তি ওই দায়িত্ব ও চাকরির যোগ্য না হয় অথবা চাকরির যোগ্য কিন্তু সঠিকভাবে দ্বীনদারির সাথে কাজ করে না, তাহলে তার বেতন গ্রহণ করা হালাল হবে না।(অর্থাৎ যে পরিমাণ খিয়ানত হবে সে পরিমাণ বেতন হালাল হবে না।)
 
 নকলকারী সেই এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ভার্সিটিতে ভর্তি হলে সে গুনাহগার হবে। 
এক্ষেত্রে বান্দার হকও নষ্ট হবে। 

আরো জানুনঃ 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষাসহ সকল অংশগ্রহণ করা জায়েজ আছে,তবে সেখানে এসব সার্টিফিকেট ব্যবহার করা গুনাহ হবে। 

এক্ষেত্রে পরবর্তী পরীক্ষায়(সেসবে এসব সার্টিফিকেট ব্যবহার হবে) ভালো করার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা এবং ফলাফল ভালো আসলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় এবং অন্যদের বলা জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...