আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,,
আমি এখানে আক্ষরিক নাম ব্যবহার করছি)।  A ও B একই মায়ের দুই মেয়ে। A বোনের স্বামী তার  ছোট বোন B এর সাথে হারাম সম্পর্কে জরায়। B বোন এবং Aবোনের স্বমীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলে পরিবারের অনেকের ধারনা, কিন্তু এ বিষয়ে খোলাসা হয় নি। সেই হারাম সম্পর্ক ৬/৭ বছর আগেই শেষ হয়ে যায়, B বোনকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়া হয়। তখন A বোনের ২ টা বাচ্চা ছিল। এখন ২ বোনই সুখে সংসার করছে। A বোনের এখন তিনটা,B বোনের দুইটা বাচ্চা। তারা নরমালি জীবন যাপন করছে।

এখন যদি A বোনের স্বামী এবং B বোনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়ে থাকে তাহলে এতদিন A বোন হারাম সম্পর্কে আবদ্ধ আছে, কারন তাদের বিয়ে ৬/৭ বছর আগেই ভেঙে গেছে। আল্লাহুম্মাগফিরলি। এখন যেই পরিস্থিতিতে তারা আছে তাদের তালাক / সংসার ভাঙা অসম্ভব। এখন এই বিশাল গুনাহ থেকে বাচার উপায় কি, তালাক ছাড়া কোন উপায় কি আছে Aবোনের বিয়েকে হালাল করার?

1 Answer

0 votes
by (583,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হযরত উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত।

وَعَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِن الله بعث مُحَمَّدًا وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ فَكَانَ مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى آيَةُ الرَّجْمِ رَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ وَالرَّجْمُ فِي كِتَابِ اللَّهِ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أُحْصِنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ إِذَا قَامَتِ الْبَيِّنَةُ أَوْ كانَ الحَبَلُ أَو الِاعْتِرَاف

 তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন এবং তাঁর ওপর কিতাব নাযিল করেছেন, তন্মধ্যে ’রজমের’ আয়াত ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজম করেছেন এবং তারপরে আমরাও রজম করেছি। আর রজমের দণ্ড আল্লাহর কিতাবের মাঝে অপরিহার্য সত্য ঐ সমস্ত পুরুষ ও নারীর ওপর যারা বৈবাহিক হওয়া সত্ত্বেও যিনা করে। যখন তা প্রমাণসাপেক্ষ হয় অথবা গর্ভধারিণী হয় অথবা স্বীকারোক্তি দেয়। (বুখারী ৬৮৩০, মুসলিম ১৬৯১, দারিমী ২৩৬৮, তিরমিযী ১৪৩২, ইবনু মাজাহ ২৫৫৩, আহমাদ ৩৯১, ইরওয়া ২৩৩৮,মিশকাত-৩৫৫৭)

ব্যভিচার একটি বড় পাপ, তা কারো সাথেই হোক না কেন, তাই শালীর  সাথে ব্যভিচার করা খুবই জঘন্য কাজ এবং গায়রে মাহরাম থেকে এ ধরনের অনৈতিকতা রোধ করার জন্য শরিয়ত পর্দা করার নির্দেশ দিয়েছে

 সুতরাং এখন শালীর সামনে পরিপূর্ণ পর্দা করা প্রয়োজন। যাতে আর এমন ঘটনা না ঘটে। 

এই কাজের দরুন নিজ স্ত্রীর বিবাহকে প্রভাবিত করেনি, উল্লিখিত ব্যক্তির সাথে তার স্ত্রীর বিবাহ এখনও স্থাপিত আছে, তবে, উল্লিখিত ব্যক্তির জন্য, এই সহবাসের পরে একটি মাসিক অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত বা গর্ভ ধারন করলে সেক্ষেত্রে গর্ভপাত না হওয়া পর্যন্ত নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করা জায়েয নয়।

فتاوی شامی:

"وفي الخلاصة: وطئ أخت امرأته لاتحرم عليه امرأته.

(قوله: وفي الخلاصة إلخ) هذا محترز التقييد بالأصول والفروع وقوله: لايحرم أي لاتثبت حرمة المصاهرة، فالمعنى: لاتحرم حرمة مؤبدة، وإلا فتحرم إلى انقضاء عدة الموطوءة لو بشبهة، قال في البحر: لو وطئ أخت امرأة بشبهة تحرم امرأته ما لم تنقض عدة ذات الشبهة، وفي الدراية عن الكامل: لو زنى بإحدى الأختين لايقرب الأخرى حتى تحيض الأخرى حيضةً". (3/ 34، کتاب النکاح، فصل فی المحرمات، ط: سعید)
সারমর্মঃ-
নিজ স্ত্রীর বোনের সাথে সহবাসের কারনে নিজ স্ত্রী হারাম হয়ে যাবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি A বোনের স্বামী এবং B বোনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েও থাকে,তবুও A বোনের বিবাহ বহাল রয়েছে।

B বোনকে যে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে,সেই বিবাহও শুদ্ধ আছে।

তবে A বোনের স্বামী এবং B বোনের জন্য খালেস দিলে তওবা আবশ্যক। 
এবং পরিপূর্ণ পর্দা ও দূরত্ব অবলম্বন করা প্রয়োজন। যাতে পরবর্তীতে আর এহেন ঘটনা না ঘটে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...