জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হ্যাঁ, এটিকে আপনি দলিল হিসেবে পেশ করতে পারবেন।
আরো জানুনঃ-
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো কোনো ব্যাক্তি যদি ৭৮ কিলোমিটার বা তার থেকে বেশি দুরত্বে কোথাও সফর করে সেখানে ১৫ দিনের চেয়ে কম থাকার নিয়ত করে,তাহলে সে মুসাফির বলে গন্য হবে।
সফরের নিয়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজ এলাকার সীমানা পার হওয়ার পর থেকে কসর করতে হবে।
মুসাফিরের জন্য যোহর আসর ও ইশার ফরয নামায দুই রাকাত পড়া (কসর) ওয়াজিব; চার রাকাত (পূর্ণ পড়া) নাজায়েয,এতে সে গুনাহগার হবে । কারণ মুসাফিরের নামাযের বিধান হল কসর।
,
আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)
অপর হাদিসে এসেছে,
عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)
বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যেই গ্রামে থাকেন,সেখান হতে আপনার বোনের বাসা যদি ৭৮ কিলোমিটার বা তার থেকে বেশি দুরত্বে হয়,সেক্ষেত্রে আপনার বোনের বাসায় ১৫ দিনের কম থাকলে আপনি কসর নামাজ আদায় করবেন।
(০৩)
এটা ডিপেন্ড করছে আপনি যে গ্রামে থাকেন,সেখান হতে আপনার বোনের বাসার দূরত্ব কত কিলোমিটার?
আর আপনার বোনের বাসায় গিয়ে আপনি কয়দিন থেকেছিলেন?
২ নং প্রশ্নের জবাবের আলোকে আপনি যদি মুসাফির হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে তো পূর্বের নামাজ গুলি আদায় হয়ে গিয়েছে।
কাজা আদায় করতে হবে না।
আর যদি আপনি মুসাফির না হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে পূর্বের নামাজ গুলোর কাজা আদায় করতে হবে। আপনি পূর্বে কত ওয়াক্ত নামাজ এভাবে কসর হিসেবে আদায় করেছেন,প্রবল ধরনের ভিত্তিতে সেটার হিসাব কষে নামাজগুলোর কাজা আদায় করে নিতে হবে।