জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এমতাবস্থায় সাহু সেজদাহ আদায় করলে নামাজ পূর্ণ হয়ে যাবে। পুনরায় নামাজ আদায় করতে হবেনা।
(০২)
আবু সাঈদ খুদরী রাযি. বলেন, আমি রাসুল ﷺ -কে বলতে শুনেছি,
لا صَلاةَ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَرْتَفِعَ الشَّمْسُ وَلا صَلاةَ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ
ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত কোনো নামাজ নেই। আসরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো নামাজ নেই। (বুখারী ৫৫১)
عَنْ أَبِي هُرَیْرَةَ رضی الله عنه، قَالَ: نَهَی رَسُولُ ﷲِ صلی الله علیه وآله وسلم عَنْ صَلَاتَیْنِ بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّی تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّی تَغْرُبَ الشَّمْسُ.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ সময়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ফজরের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত এবং ‘আসরের পর সূর্য ডুবা পর্যন্ত। (বুখারী ৩৬৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৬১)
فتاوی ہندیہ:
"تسعة أوقات يكره فيها النوافل وما في معناها لا الفرائض...منها ما بعد طلوع الفجر قبل صلاة الفجر. كذا في النهاية والكفاية يكره فيه التطوع بأكثر من سنة الفجر."
(كتاب الصلاة، الباب الأول، الفصل الثالث في بيان الأوقات التي لا تجوز فيها الصلاة وتكره فيها، ج:1، ص:52،ط:دارالفكر)
সারমর্মঃ-
ফজর উদিত হওয়ার পর ফজরের নামাজের পূর্বে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ফজরের নামাজের পূর্বে ও পরে (ইশরাকের ওয়াক্ত আসার আগ পর্যন্ত) নফল নামাজ পড়া যাবেনা। এসময়ে নফল নামাজ আদায় করা মাকরুহ।
আসরের পূর্বে নফল নামাজ আদায় করা যাবে। তবে আসরের পর নফল নামাজ আদায় করা যাবেনা। আসরের পর নফল নামাজ আদায় করা মাকরুহ।
(০৩)
নাম করন তো অবশ্যই ৭ দিনের মধ্যেই হয়ে থাকে।
বাকি বিষয়গুলি অজ্ঞতা বশত আদায় না করলে গুনাহ হবেনা।
পরবর্তীতে আদায় করলেও আদায় হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-