আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমরা অনেকেই সাধারণত গরু বা মহিষের "পা" বা পায়া দিয়ে রান্না করা খাবার অর্থাৎ যেটাকে নিহারী বা নেহারি বলে এটা খেয়ে থাকি।এই খাবারটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে ছোটবেলায় দেখতাম কোরবানি ঈদের সময় গ্রামের লোকেরা এই গরু কিংবা  মহিষের "পা" দিয়ে নিহারি বানানো যায় তা তারা জানতো না এর ফলে তারা এই পা ফেলে দিত মাঠের মধ্যে। না জানার ফলে তারা এই পা ফেলে দিত এতে কি অপচয় হয়েছে? কারন এই নীহারী খাবারটি বাজারে হোটেলে বেশি মূল্যে বিক্রি হয়।
প্রশ্ন (১) খাওয়ার শেষে প্লেটে লেগে থাকা খাবার চেটে খেতে হবে যেটা আমাদের জন্য অনেক কল্যাণকর।  এইটা আল্লাহ আমাদেরকে তার রাসুলের মাধ্যমে  জানিয়েছেন। হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতি, সভ্যতা অনেক কিছু জানতে পারা যায়  তাই কোন হাদিসের বর্ণনায় প্রমাণ কি মিলে যে সাহাবীরা নিহারী খেয়েছেন?  সাহাবীরা কি না জানার ফলে তারাও কি এই রিজিকগুলো ফেলে দিয়েছেন? যদি তারা না জানার ফলে ফেলে   দিয়ে থাকেন খাবারগুলো তাহলে আল্লাহ  রাসুলের মাধ্যমে কেন জানাননি?
প্রশ্ন (২)আমরা দেখেছি অনেক আগেকার দিনে গ্রাম বাংলার মানুষেরা গরুর লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করতো এর ফলে তাদের অনেক কষ্ট হতো এবং অনেক সময় ও লাগতো। এখনকার দিনে বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় সহজ হয়েছে, কষ্ট কমেছে, এবং সময় কম লাগে।
★এখন প্রশ্ন হচ্ছে,আল্লাহ কেন এমনটি করেন তিনি চাইলে তো প্রথমেই আমাদেরকে প্রযুক্তির জ্ঞান দিতে পারতেন।

1 Answer

0 votes
by (585,060 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ لاَ نُرَى إِلاَّ الْحَجَّ فَلَمَّا دَنَوْنَا مِنْ مَكَّةَ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ إِذَا طَافَ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ أَنْ يَحِلَّ قَالَتْ فَدُخِلَ عَلَيْنَا يَوْمَ النَّحْرِ بِلَحْمِ بَقَرٍ فَقُلْتُ مَا هَذَا قَالَ نَحَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَزْوَاجِهِ قَالَ يَحْيَى فَذَكَرْتُهُ لِلْقَاسِمِ فَقَالَ أَتَتْكَ بِالْحَدِيثِ عَلَى وَجْهِهِ

‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যিল-কা‘দাহ মাসের পাঁচ দিন বাকী থাকতে আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। হাজ্জ আদায় করা ব্যতীত আমাদের অন্য কোন ইচ্ছা ছিল না। যখন আমরা মক্কার কাছাকাছি পৌঁছলাম, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করলেনঃ যার সাথে কুরবানীর জানোয়ার নেই সে যেন বাইতুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার সা‘ঈ করে হালাল হয়ে যায়। ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেন, কুরবানীর দিন আমাদের কাছে গরুর গোশ্ত আনা হলে আমি বললাম, এ কী? তারা বলল, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ হতে কুরবানী করেছেন।

সহীহ বুখারী ১৭০৯

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ، عُيَيْنَةَ - قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ نُرَى إِلاَّ الْحَجَّ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِسَرِفَ أَوْ قَرِيبًا مِنْهَا حِضْتُ فَدَخَلَ عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ " أَنَفِسْتِ " . يَعْنِي الْحَيْضَةَ . - قَالَتْ - قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " إِنَّ هَذَا شَىْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاقْضِي مَا يَقْضِي الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَغْتَسِلِي " . قَالَتْ وَضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِسَائِهِ بِالْبَقَرِ .

আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একমাত্র হজ্জের উদ্দেশে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে রওনা হলাম। আমরা সারিফ নামক স্থানে বা এর কাছাকাছি পৌছলে আমার মাসিক ঋতু শুরু হয়ে যায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন এবং আমি তখন কাঁদছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি হায়য হয়েছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহ তা'আলা এটা আদম (আঃ) এর কন্যাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন। অতএব তুমি হাজ্জের (হজ্জের/হজের) যাবতীয় অনুষ্ঠান পূর্ণ কর, শুধু (হায়যকাল শেষ হবার পর) গোসল না করা পর্যন্ত বায়তুল্লাহ তওয়াফ করবে না। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সহধর্মিণীগণের পক্ষ থেকে গরু কুরবানী করেন।

সহীহ মুসলিম ১২১১ ও সহীহ বুখারী ৫৫৫৯

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অজ্ঞতা বশত এমনটি করায় আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন।

(০১)
সাহাবায়ে কেরামগন গরুর গোশত খেয়েছেন,কিন্তু নেহারী খেয়েছেন কিনা,সেই মর্মে স্পষ্ট কোনো হাদীস পাইনি।

(০২)
আল্লাহ তায়ালার উপর এমন প্রশ্ন করা অযৌক্তিক। এটা একান্তই আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাধীন বিষয়। 
তিনি বান্দার জন্য যখন যাহা করতে চান করেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...