ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
এ সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে রাহমানিয়াতে(১/৩৪৮পৃঃ) সবিস্তারে বর্ণিত আছে,প্রয়োজনীয় অংশ নিচে উল্লেখ করা হচ্ছে......
এখানে তিনটি বিষয় জেনে রাখার দরকারঃ
১মঃ দাঁড়িয়ে নামায পড়া ।
২য়ঃ কিবলার দিকে মুখ রাখা ।
৩য়ঃ নিয়ম মুতাবিক রুকু-সিজদা সহ নামায পড়া । অর্থাৎ, ইশারায় রুকূ সিজদা না করা ।
যদি ট্রেন বা লঞ্চে বা বাসে উল্লেখিত তিনটির কোন একটি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে নিবে । কিন্তু পরে দোহরানো জরুরী হবে। বিস্তারিত জানতে উপরের লিংকে ক্লিক করুন।
হানাফি মাযহাবের পরবর্তী উলামাদের অনেকেই অপর তিন মাযহাবের মতই দুই নামাযকে সফরের সময় একত্রিকরণের বৈধতা প্রদান করে থাকেন।কেননা অনেক হাদীসে বিশেষ উযর ব্যতিতও দুই নামাযকে একত্রিত করার প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে মতবিরোধ থেকে বাঁচার জন্য প্রত্যেক নামাযকে তার সময়ে আদায় করে নেয়াই উত্তম হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/827
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এমন সময সফরে বের হবেন, যাতে কোনো নামায কাযা না হয়। তারপরও কেউ নিরুপায় হয়ে সফরে বের হলে, তখন সঠিক সময়ে নামায পড়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়জোনে যানবাহনে নামায পড়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি কখনো মুশকিল কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে দুই নামাযকে একত্রিত করা পড়া যাবে। অথবা ওয়াক্তের শেষে কিংবা কাযা করা যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/9190